স্বাধীনতা দেশের সকল মানুষের - না – বাকশালীদের এবং বহুমাত্রিক কলামিষ্ট জনাব মিনার রশীদ - পর্ব ১
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০১:২৯:০৫ দুপুর
শিরোনামের প্রশ্নটা আজ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের। স্বাধীনতার মাসে জাতির এই বোধটা কেন হল? একই দেশের বাসিন্দা- একই দেশের নাগরিক। স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকারে এত বৈষম্য কেন? আজ সাতক্ষিরা, বগুড়া, দক্ষিণ চট্রগ্রাম বা কুমিল্লার ১৪গ্রামের সাধারণ মানুষের এই জিজ্ঞাসা।
# স্বাধীনতা কি একটি দলের?
# দেশটা কি একটি পরিবারের সম্পত্তি?
# স্বাধীন দেশের আসল মালিক কারা? ভারত না জনগণ?
# দেশের ৯৫ ভাগ জনগনকে মাত্র ৫ ভাগ মানুষ শাসন করবে?
# মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র দাবীদার কি আওয়ামীলীগ?
# মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কি আল্লাহ রাসূল (সাঃ) কুরআন হাদীস এর বিপরীত অবস্থান?
# জঙ্গীবাদ বলতে কি দাড়ি টুপিওয়ালা মানুষ। আর জঙ্গী বই বলতে কি কোরআন - হাদীস?
# ৭১ এর আবেগকে পুঁজি করে একব্যক্তি এবং তার পরিবারকে প্রতিষ্ঠার নাম কি স্বাধীনতা চেতনা?
###
# মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আসলে কী বোঝায়? এটি কি অলীক/কাল্পনিক কিছু?
===================================
বহুমাত্রিক কলামিষ্ট জনাব মিনার রশীদ
জনাব মিনার রশীদের লেখার সাথে পরিচিত যাযাদি থেকে।যায় যায় দিন যখন সপ্তাহিক ছিল। শফিক রেহমানের কৃতিত্ব হল এই জায়গায়। বেশ কিছু নতুন প্রতিভার মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। অবশ্য শফিক রেহমান সাহেবের এই কর্মটি স্বীকার এখন আর কেউ করেন না। তার হাতে গড়া মানুষগুলোর অধিকাংশই এখন শফিক রেহমানের বিপরীত মেরুতে। তাসলিমা নাসরিনের ও লেখালেখি এই যাযাদিতেই শুরু। শফিক রেহমান সাহেব সারাটি জীবন ধর্মহীন সমাজ তৈরীর মানুষ গড়ার কাজে ব্যয় করেছেন। অবশ্য আজ তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উপদেষ্টা হলেও তাঁর আদর্শিক অবস্থান অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে।
==================================
জনাব মিনার রশীদের (১৭.০৩.২০১৪ তারিখের) লেখাটির উপর আমার কিছু কথা/চিন্তা পেশ করছি- যা এতদিন ভাবতাম এবং আমার লেখায় কয়েকবার লিখেছিলাম। একবার সোনারবাংলা ব্লগ এরকম একটি লেখার কারণে আমাকে ব্লক করে দেয়। অবশ্য এটা তাদের বশ্যতা নয় বরং বাধ্য হয়েই করেছে। ডিজিটাল যুগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলে কথা। বেশ কিছুদিন এজন্য এসবিব্লগে ব্লক অবস্থায় ছিলাম।
===================================
# যেভাবে বিষয়গুলো চিন্তা করি -
বাকশালী সুশীল মৌলবাদী এবং মিডিয়া জঙ্গীরা যেভাবে আমাদের জাতীয় ইতিহাসকে এক ব্যক্তির বন্ধনায় আবদ্ধ করেছে, এর বিপরীতে সত্য ও সঠিক ইতিহাস চর্চা একেবারে অনুচ্চারিত। এই অক্ষমতার কারণ গুলোর সাথে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে।
সেই প্রশ্নগুলোর জবাব যদি জাতির সামনে তুলে ধরা যায় তাহলে আজকের সমস্যার সমাধান হতে পারে।
শেখ মুজিব সাহেবের প্রতি কোন দুশমনি নেই। ইতিহাসে তার প্রাপ্যটা সঠিক ভাবে নির্ধারিত হবেই- এই জায়গায় কেউই কম বেশী করতে পারবে না। কিন্তু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, নির্যাতনের বৈধতা দিয়ে দিতে হবে। তাও মহান আদালতের মাধমে। এই বাইপাস সংস্কৃতি থেকে জাতিকে উদ্ধার করার দায়িত্ব কাউকে না কাউকে নিতেই হবে।
কারন তা না হলে জেনারেশান গ্যাপ তৈরী হবেই- যার অনেকটা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। ফলটা ভোগ করছে গোটা জাতি, দল হিসাবে বিএনপি এবং জামায়াত।
==================================
আগামী পর্বে # বাইপাস সংস্কৃতির বচন
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৯ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুখস্ত মন্তব্য করলে যা হয়।
আগামী পর্বের অপেক্ষায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কি আল্লাহ রাসূল (সাঃ) কুরআন হাদীস এর বিপরীত অবস্থান
চিনতে পারলে ফেবুতে লাইক দিয়া শেয়ার করবেন।
এটা আমার ফেইচবুক লিংক। এড করুন https://www.facebook.com/emrul.kayech
আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
শফিক রেহমান সাহেব নিজ অবস্থানে এখনো আছেন, যদিও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উপদেষ্টা হয়েছেন।- ঠিক বলেছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন