বিএনপি নেতাদের জামিন বাতিল হওয়ার কারণ এবং একটি পত্রিকার রিপোর্ট।
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০৪:৩৪:১১ বিকাল
আজকের মানব জমীন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। তাতে নানান কায়দা করে তুলে ধরা হয়েছে - জামায়াত সঠিক ভুমিকা না রাখার কারনে নাকি বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যন সংখ্যা কমেছে। এই রিপোর্টের শেষ দিকে কয়েকটি উপজেলার উদাহরণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের দক্ষিন সুরমা।
বলা যায় - 'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে' প্রবাদটির সঠিক প্রতিফলন এই ফরমায়েশী সাংবাদিকতায়।
সিলেট দক্ষিন সুরমাতে সাবেক এবং সফল ক্লিন চরিত্রের চেয়ারম্যন ছিলেন জামায়াতের। প্রাক্তন তুখোড় ছাত্র নেতা ছিলেন মাওলানা লোকমান সাহেব।তিনি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর চাইতে প্রায় ৭ হাজারের বেশী ভোট পেয়েছেন। মাত্র কয়েকটা ভোটে পরাজয় হয় তার।
বিএনপির যিনি প্রার্থী ছিলেন - তিনি ছাত্র অবস্থায় ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। পেঙ্গুইন পোশাক বদল করে এখন তিনি সাফারী পার্টি করেন। অর্থ্যাৎ বিএনপির নেতা। বিএনপি কেন্দ্র থেকে তাকে প্রথমে বহিস্কার করে। তার পর আবার অজ্ঞাত কারনে তা প্রত্যাহার করা হয়। তার পর যা হবার তাই হল। নিশ্চিত জামায়াতের আসনে ডিজিটাল বাকশালীরা জয় পায়।
মানব জমীনের রিপোর্টার কায়দা করে লিখেছেন - এখানে নাকি জামায়াত দায়ী। বলি ভাই - সাংবাদিকতা করেন, ভাল পেশা। কিন্তু বর্নচোরের রুপ ধারন করে অপসাংবাদিকতা করা একেবারে সত্যকে নির্জলা মিথ্যা দিয়ে পর্দা করার কসরত! কোন সাংবাদিকতার এথিক্স এ পড়ে। মানব জমীনের সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান সাহেবের দৃষ্টি এড়াবার কথা নয়।
ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। বিএনপির নেতারা নাকি খুবই নাখোশ। তারা খুবই বিরক্ত।তারা বিএনপির নেত্রীকে নাকি বলছেন - জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে। (সেই রিপোর্ট)
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTU1Mjg=&s=Mg==
একটি বিষয় খু্বই পরিস্কার - আজকের জামায়াত যে অবস্থানে এসেছে - তার জন্য কারোর করুনা বা দয়া দক্ষ্যিনায় নয়। বিএনপির যে সমস্ত নেতারা আজ খুবই বিরক্ত। তারা কোথায় ছিলেন গত চারবছর। কোথায় ছিলেন গত ২৯ তারিখ।জামায়াতের আজকের অবস্থান তার নির্ভেজাল ত্যাগী জনশক্তির কারনে।মহান আল্লাহর সাহায্য ছিল প্রধান।
জামায়াত কর্মীরা সরকারের সকল নির্যাতন সহ্য করবে।ময়দানে জামায়াত এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের মোকাবেলা করবে। আর ড্রইং রুম পার্টির নেতারা ক্ষমতায় যাবেন। টেন্ডারবাজী,দুর্নিতি সব তারা করবেন।বিষয়টা এমন দাড়িয়েছে - তোমরা জামায়াতীরা কেন আমাদেরকে ক্ষমতায় বসার ব্যবস্থা করলে না।ঘরকুনো,মেরুদন্ডহীন বাকশালী পয়সায় পালিত এই সব নেতারা হয়তো জিয়ার সাফারী গায়ে জড়ান - কিন্তু তারা জিয়ার চেতনা বা সততার জীবনকে ভয় পান বেশী।বিএনপির যে সমস্ত নেতারা আন্দোলন বিমুখ তাদের প্রত্যেকের অতীত খুবই পুতিগন্ধময়।বিএনপি হল ক্ষমতায় যাবার উত্তম একটি জাতীয়তাবাদি ক্লাব।
সময় এসেছে স্থানীয় রাজনীতিতে জামায়াত নিজেদের বিবেচনায় সিদ্দান্ত নেয়ার।১৯ দলীয় যে ঐক্য রয়েছে তা জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে। জামায়াত আর ছাড় দেবার কোন প্রয়োজন নেই। তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৮টিতে জিতেছে জামায়াত - তার ৬টিতে ই ছিল বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী।
তাই কোন হিনমন্যতার কোন প্রয়োজন নেই। জামায়াতকে ভরসা করা প্রয়োজন মহান আল্লাহ প্রতি। গণবান্ধব হবার জন্য চেষ্টা করা প্রয়োজন। বিএনপি বা অন্য কোন দলকে ম্যনেজ করার রাজনীতি ছেড়ে আসা উচিত।
বিএনপির ভারযুক্ত মহাসচিব,ঢাকার আব্দুস সালাম এবং মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেছে আজ্ঞাবহ আদালত। আমার কেন মনে হয় - ১৯৭১ সালে যেমন - শেখ মুজিব নিজে থেকে আত্মসমর্পন করেছিলেন পাকিস্তানীদের হাতে - ঠিক তেমনী এই বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব এই কাজটি করছে।আন্দোলনের কঠিন সময় তাদেরকে সরকার জামিন দেয়। আর এখন জেলে পুরে।ভানমতির খেলা চলছে। যাতে ম্যডাম খালেদার একটু দয়া হয়।
বিষয়টা হয়তো - বিএনপির ঢাকার কমিটিতে জায়গা করা।এটা সরকার কতৃক সাজানো নাটক।২৯ তারিখের রোড টু ডেমোক্রেসীর সকল তথ্য দুই দিন আগে (২৭ তারিখ) রাতে সরকারের হাতে কেমন করে পৌছে?
এই আব্দুস সালামরাই তো আন্দোলনের পীঠে চুরি চালিয়েছেন। শোনা যায় - বিএনপির শুধুমাত্র ঢাকার নেতাদের ক্রয় বিক্রয়তে খরছ হয়েছে শেখ হাসিনার মাত্র দুই শত কোটি টাকা।
তার পর ও চাই - মুক্তিপাক গনতন্ত্র এবং জেলবন্ধী সকল বাংলাদেশপন্থী নেতা কর্মী।
=================================
আরেকটি রিপোর্ট পড়ুন। দেখুন কিভাবে বিএনপির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয় - দ্বায়টা শুধু জামায়াতের। এটাও সিলেট সদর নিয়ে।
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/70674
বিষয়: বিবিধ
১২৯৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদদুনিয়া ওয়া আখেরাহ।
আপনি নিজে পারতেন সেটা লিখতে। আরো সুন্দর হত। কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না। আবার সীমা অতিক্রম করা যাবেনা।
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/70679
যারা নেত্রীর চোখে পানি দেখেছে, নেত্রীকে ঘরবন্ধী করার পরও চীতকার দেবার সাহস নেই, ওরা আবার জামায়াতের উপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়?
ধন্যবাদ আপনার সময়োপযেগিী আলোচিত পোস্টের জন্য।
এই নিউজটা করা হয়েছে ফরমাইশ দিয়ে। আকাশের অবস্থা তো ভাল না।
আগামী কাল কি সচিত্র একটি পোষ্ট পাবো।
বি এন পির নেতারা অনেকটা গা ছাড়া দিয়ে আন্দোলন করছে । ২৯ তারিখে তারা যদি পথে নামত তাহলে একটা কিছু ঘটিতই । এরাও যেন সমন্বয়হীনতাই ভুগছে আর জামাতের প্রতি অনর্থক দোষ চাপাচ্ছে ।
সাংবাদিকরাতো তাদের মনে যখন যা াাসে জামাতের বিরুদ্ধে লিকে দিতে পারলেই যেন মহাখুশী হয় এতে তাদের নীতিবোদ থাকুক আর না থাকুক।
আর বি এন পির নীতি হচ্ছে তুমি মরিয়া হলেও আমাকে ক্ষমতায় দাও।
মন্তব্য করতে লগইন করুন