জামায়াতের রাজনীতির পোস্টমর্টেম ও আগামীর পথচলা - পর্ব - ৪

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৪ মার্চ, ২০১৪, ০৩:০২:১০ দুপুর

আট)

৪)জামায়াত অখন্ড ভারত চায়?

এই অভিযোগটা নতুন না।অকৃপণ ভাবে মুসলীমলীগ - পাকিস্তান আন্দোলনে মাওলানা মওদুদীর (রঃ) সাহিত্য কাজে লাগিয়েছিল। কিন্তু তার পর কিছু সেকুলার রাজনৈতিক - মাওলানাকে পাকিস্তানের দুশমন হিসাবে প্রচার চালায়।বলা হল অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখতেন মাওলানা মরহুম।নির্ভেজাল অপবাদ।এটা নতুন না।

-----------------------------------------------------------

অথচ আমাদের দেওবন্দি হাজারাত এক জাতি তত্বের ভিত্তিতে অখন্ড ভারতের প্রবক্তা ছিলেন। এই বিষয়ে কেউ কোন কথা বলে না।আক্রমন করে কোন লিখা লেখা হয় না। মাওলানা হোসেন আহমদ মাদানী (রঃ) সহ আকাবিরে দেওবন্দের গোটা মাছলাক (পন্থি) অখন্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন। তাদের ফতোয়া সহ সকল প্রচেষ্টা ছিল অখন্ড ভারতের উদ্দেশ্যে। এমনকি হিন্দু - মুসলিম এক জাতি - এ নিয়ে মাওলানা হোসেন আহমাদ মাদানী পুস্তক লেখেন। কংগ্রেস সেই পুস্তক প্রচার করেছিল।

ঠিক এর বিপরীতে মাওলানা মওদুদী (রঃ) মাসলায়ে কওমিয়াত (ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ) নামে একটি পুস্তিকা লেখেন। যাতে কোরআন হাদীসের দলীল সহ যুক্তিক ভাবে প্রমান করেন- তেল আর পানি সম্পূর্ণ আলাদা। হিন্দু আর মুসলিম জাতি এক নয়।দ্বিজাতি তত্বের পক্ষে তার এই খেদমতের পুরস্কার পেয়েছিলেন পাকিস্তান হওয়ার পর ফাঁসির আদেশের মাধ্যমে।অবশ্য স্পষ্টভাষী মাওলানা মওদুদী (রঃ) পাকিস্তান হবার পূর্বেই এই আশংকা প্রকাশ করেছিলেন।

----------------------------------------------------------

মাওলানা মওদুদী (রঃ) কখনো কংগ্রেস বা মুসলিমলীগের সদস্য ছিলেন না। আমাদের ভাইদের ভুল এই জায়গায়। সমাজে তৃতীয় একটি অবস্থান হতে পারে। এবং আদর্শিক জায়গা থেকে আন্দোলনকে সাহায্য করা যায়। এর প্রমান হল - ইসলাম ও জাতিয়াতাবাদ বইটি। পাকিস্তান আন্দোলনে জামায়াত বুদ্ধিভিত্তিক সাহায্য করেছে।এই সত্যটি অনেকে স্বীকার করতে চান না।

মাওলানা মওদুদী (রঃ) মাসলায়ে কওমিয়াত বইটি যদি তখন না লিখতেন, তাহলে ওলামায়ে দেওবন্দের সাথে জামায়াতের এত বড় সমস্যা তৈরী হত না।আজও সেই একই মানসিক সমস্যায় ভুগছে দেওবন্দের আলেম সমাজ। শাইখুল হিন্দের বিপরীত অবস্থান গ্রহন করা জায়েয হতে পারে। এটা তাদের কল্পনা জগতের বাহিরের বিষয়। বলা যায় চিন্তার ক্ষেত্রে ওলামায়ে দেওবন্দের একটি চরম দৈনদশা।আজও তারা বের হতে পারেননি।

------------------------------------------------------------

নতুন ঢাকা ডাইজেস্ট নামে মাসিক একটি পত্রিকা ছিল। বর্তমানে সম্ভবত ইতিহাস। আমি নিয়মিত রাখতাম। সাউদিতে আসার পর ও প্রায় ৭ বছর রেখেছি। আমার কাছে ডাইজেস্ট সেই কপি গুলো এখনো আছে। আনোয়ার হোসেন মন্জু যিনি কামরুজ্জামান সাহেবের আত্মীয়। ডাইজেস্টে আসার আগে ছিলেন সংগ্রামে। সংগ্রামের সম্পাদক আর আনোয়ার হোসেন মতের মিল অথবা বড় আকারে সমস্যা তৈরী হয়। প্রফেসার গোলাম আযম সহ কেউই সমাধান করতে পারেন নি।তখন বিষয়টা নিয়ে ডাইজেস্টে ধারাবাহিক লিখেন। অবশেষে তিনি সম্পাদক হন ডাইজেস্টে।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের পরাজয়ের পর তিন কিস্তিতে লিখেন একটি পর্যালোচনামূলক কলাম। সেখানে তুলে আনেন বেশ কিছু দুর্বলতা।

পত্রিকার পাতায় জামায়াতের নিজেদের লোকের নিজেদের কাগজে এই প্রথম সমালোচনা শুরু।জামায়াতের জনশক্তির কাছে এটা ছিল চরম অপ্রত্যাশিত।তাই -

চিঠি পাতার কলামে হুমড়ি খেয়ে পড়েন জামায়াত শিবিরের ক্ষুদে আব্দুল গফ্ফাররা। বেচারা সম্পাদক কয়েকবার কাফ্ফারা দিয়ে জবাব লিখতে হয়।আমি ও তখন ঐ গ্রুপে ছিলাম। আমার মনে আছে আমার লিখাতে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে ছিলাম। আজ এই সেই পুরানো কপি গুলোতে যখন চোখ বুলাই তখন মনে হয় - বড় মিস করেছে জামায়াত। বেশ কিছু সমালোচনা করা হয়েছিল চোখে আঙ্গুল দিয়ে। সেগুলোকে যদি জামায়াত বিবেচনায় নিত, তাহলে নিশ্চিত কিছুটা হলেও উপকার হত। সেই সময় এই ধারা চলতে দিলে কিছু জামায়াত পন্থি কলামিষ্ট তৈরী হত।

কিন্তু আমার মনে হয় - (সঠিক জানি না) তার পর তিনি ভারতে গেলেন - তার পর কন্ডোলিসা রাইসের অধিনে কি যেন ডিগ্রি করলেন। মাঝে মধ্যে দেখা যেত নয়া দিগন্তে। বেশ কিছু দিন হয় তার লেখা পড়ি না। জনাব আনোয়ার হোসেন আরেকটি লেখায় নিজের মত করে প্রমান দিলেন - জামায়াত তার ভুল রাজনীতির খেসারতের সুযোগে ২১বছর পর বাকশালীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ হয়েছে। তখনকার চরম আলোচিত প্রবন্ধটির নাম ছিল - আ:লীগ-জামায়াত কি অখন্ড ভারত পূন:প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে? (১০ম বর্ষ,৭ম সংখ্যা অক্টোবর- ১৯৯৬ - আশ্বিন- কার্তিক ১৪০৩)

--------------------------------------------------------------

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থ 'র' এর ওপর লিখা সাবেক সামরিক সদস্য আবু রুশদের একটি অনন্য বই। আমার জানা মতে ইন্ডিয়ার গোয়েন্দা সম্পর্কে জানার জন্য এই বইটি খুবই প্রাসঙ্গিক। সেই বইতে জামায়াতের দুই নেতা সম্পর্কে ইঙ্গিতে বলা হয়েছে তারা 'র'এর জামায়াতের ভিতরের এজেন্ট। অবশ্য আবু রুশদ লিখেছেন - হয়তো কথিত জামায়াত নেতারা সেটা জানেন না।

১/১১ এর রুইকাতলা খ্যাত উপদেষ্টা জেনারেল আব্দুল মতিনের একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে আবু রুশদের বইতে।মঈন ফখরুদ্দিন সরকারের উপদেষ্টা সাহেব বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ছিলেন বিএনপির গত টার্মে। তিনি ইঙ্গিতে বিএনপির নেতাদের এজেন্ট হবার কথা স্বীকার করেছেন।এমনকি তারেক জিয়ার আশে পাশের লোকদেরকেও সন্দেহ করেছেন।

--------------------------------------------------------------

একবার শেখ মুজিব বলেছিলেন,পাকিস্তানীদেরকে - খায় দায় জব্বার আলী আর অপরাধি হয় চিকন আলীরা।

প্রকাশ্যে অখন্ড ভারতের পক্ষে যাদের অবস্থান।যাদের রাজনীতিই হল এই দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল মুছে দেয়া।যারা বাঙ্গালী চেতনার নাম করে বাংলাদেশের বৃহত জনগোষ্ঠীকে অখন্ড ভারতের লীন করার নিরন্তর সংগ্রাম করছে তাদের বিষয়ে আলোচনা,সামালোচনা নেই। ভাবটা এমন যে, বাকশালীরা যেহেতু পরিচিত ভারতের একমাত্র এজেন্ট। তাই তাদের কোন দোষ নেই। যত দোষ হল ব্যটা জামায়াতের।

যেই কাজটা আনোয়ার হোসেন মন্জু করেছিলেন ব্যাখ্যা দিয়ে- ঠিক আপনার (মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক) সাহেবের সাক্ষাৎকারে তাই বলা হয়েছে নতুন করে।

---------------------------------------------------------------

আমি মাওলানা মরহুমকে যতটুকুন পড়েছি।শক্ত ভাবেই বলতে পারি কেউ প্রমান দিতে পারবেন না। মাওলানা মরহুম কখনো তার লিখায় অথবা পাবলিক বক্তৃতায় বলেছেন - অখন্ড ভারতের কথা। হতে পারে আমার জানার বাহিরে।

সাক্ষাৎকারে বিষয়টা এমন ভাবে লিখলেন - মনে হল এটা ছিল জামায়াতের দলীয় ষ্ট্যান্ড। আমাদেরকে কি জানতে দিবেন কোথায় আছে এই তথ্য।

আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কোন তথ্যই হিডেন রাখার পক্ষে নই।এতে ক্ষতির মাত্রাটা বেশী হয়। যে দলটি গনমানুষের মতামত নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখে তাদের উচিত হবে - গনমানুষের সকল প্রশ্নের জবাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখা। জামায়াতের যে সমস্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেগুলোর জন্য জামায়াত প্রকাশ্যে কথা,আলোচনা করা প্রয়োজন।

আমি মনে করি একটি প্লাট ফরম থাকা চাই যারা জামায়াতের কর্মসূচী,রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত,জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সবার পাবলিকলি সমালোচনা করতে পারে নির্ভয়ে। এতে উপকার হবে জামায়াতের ই বেশী।রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আর শরয়ী সিদ্ধান্ত দুটি আলাদা বিষয়।

-------------------------------------------------------------

সত্যি যদি জামায়াত অখন্ড ভারত চাওয়ার দল হত। তাহলে আজ তার নেতৃবৃন্দের ওপর এই কিয়ামত আসতো না।এটা সত্য যে জামায়াতের ভুল রাজনীতির কারনে বাংলাদেশে অখন্ড ভারতীয় দালালরা ক্ষমতার মসনদে বসতে পেরেছ। আমি মনে করি এর বিচার ইতিহাস করবে।

বাংলাদেশী প্রতিটি নাগরিকের উচিত হবে - বর্তমান ভারতীয় দালালদের মুখোশ উন্মোচন করা।

সেকুলার,অসাম্প্রদায়িকতা,৭১এর মেইড ইন আওয়ামী চেতনা এগুলো এক একটি প্রতারণা। এই সত্যগুলো সাহসের সাথে প্রকাশ করা জরুরী।এই প্রয়োজনটা আমাদের জাতির জন্য,বৃহত জনগোষ্ঠীর বোধ বিশ্বাসের জন্য অপরিহার্য।

যার যা আছে তা নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে আসা উচিত। কারন ভারত আমাদের পিছনে যে ইনভেষ্ট করছে তার ষোলআনাই উসূল করছে। ১৯৭১ সালের ইনভেষ্ট দিয়ে কিছু পারিবারিক দালাল তৈরি করতে পেরেছিল। আজ তা একটি শেখ পরিবার থেকে কয়েক হাজার পরিবার হয়েছে। একজন শেখ হাসিনার বদলে তাদের হাতে অসংখ্য অগণিত হাসিনা রয়েছে।

দেশটাই যদি না থাকে তাহলে জামায়াতে ইসলাম আর ইসলামী আন্দোলন থাকবে কোথায়? দেখবেন মিডিয়াতে একটি আবহ তৈরী করা হয়েছে - ভারতের অনুমোদন ছাড়া এদেশে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই মানসিক দাসত্ব করার জন্য ১৯৭১ সালে পিন্ডি থেকে আমরা আলাদা হয়নি। আজ যারা স্বাধীনতা - চেতনা - বাঙ্গালীত্ব নিয়ে বেশী মাতামাতি করছেন, তাদের কাছে এই শব্দগুলো অর্থ,বোধ,বিশ্বাস সম্পুর্ণ ভিন্ন।তারা সবাই একই উদ্দেশ্যে কাজ করছে।এরাই মূলত অখন্ড ভারতের জন্য বাংলাদেশী এজেন্ট।

------------------------------------------------------------

ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশ দখল করার কোন সম্ভাবনা নেই।এই বোকামী ভারত কখনো ই করবে না। ভারত কখনো ১৭ কোটি মানুষের পেটের দায়িত্ব নিবে না।বরং আমাদেরকে মানষিক গোলাম করে আরো কিছু নতুন নতুন শেখ হাসিনা তৈরী করবে। যারা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার নাম করে ভারতের গোলাম বানিয়ে রাখবে।এটাই প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে বর্তমানে ডিজিটাল বাকশালের মাধ্যমে।

ভারতের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে প্রধান বাধা হল জামায়াতের জনশক্তি। অচিরেই প্রমান হবে জামায়াতই বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রধান ভরসা। এই ঐতিহাসিক এবং বড় কাজটি জামায়াতের বর্তমান নেতৃত্ব দিয়ে হবে না নতুন কোন ফরমেটে হবে তা আগামীই ঠিক করবে।

এই বিষয় নিয়ে ঐতিহাসিক এবং একাডেমিক আলোচনার ইচ্ছা রয়েছে। সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছি। সবাইকে ধন্যবাদ।

প্রথম পর্ব - http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1876/IBNAHMED/39398

২য় পর্ব -

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1876/IBNAHMED/39487

৩য় পর্ব -

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1876/IBNAHMED/39767

বিষয়: বিবিধ

১৪৯০ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

186616
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫০
138390
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : কি বললেন বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে বলূন তো।
186659
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
সালাম আজাদী লিখেছেন : ভালো একটা কাজে হাত দিয়েছেন। যদি আমাদের কানে তুলো লাগানো না থাকতো ভালো হত। কাজ তো করে যাচ্ছেন, তাই আল্লাহ বরকত দিবেন
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
138391
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : চেষ্টা করা হলে একদিন কাজ হবে। প্রত্যাশার এই জায়গা থেকে নিবেদন। আপনি লিখুন।
186665
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : অচিরেই প্রমান হবে জামায়াতই বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রধান ভরসা

এই আশা নিরাশাই থাকবে। অচিরেই জামাত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
186690
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভরসায় শুধু থাকবেন কেন? নিজের সব কিছু আগে ইনভেষ্ট করুন। দেখবেন আমাদের আশার সাথে ভরসার মিল হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
186691
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
138404
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
186710
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ আপানার নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক লিখার জন্য। অনেকগুলো ইতিহাস ঐতিহ্য উঠে এেসেছে। পড়ে ভাল লেগেছে। এগিয়ে যান সাথে আছি।
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
138405
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সুন্দর হাসির মানুষ মন্তব্য করেছেন। বড় কিছু প্রত্যাশার ছিল। সময় হলে আপনার মতামত দিয়ে বাধিত করবেন।
186725
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
মুিনর লিখেছেন : প্রথমে শিশির ভেজা ভোরকে বলব, যারা ইসলামী আন্দোলন করে, তারা কোনদিন নিরাশ হতে পারে না। তারা সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোন ঠিকাদারী নেয় নাই যে, বাংলাদেশে ইসলামকে বিজয় করতেই হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একমাত্র আল্লাহর দেওয়া বিধানকে বাংলাদেশের জমিনে প্রতিষ্ঠিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টা সফল হতেও পারে না হতেও পারে।
ইবনে আহমাদ আপনাকে ধন্যবাদ আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমাদের দেশে কিছু চেতনা ব্যাবসায়ী দালালরা কাজ করতেছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আমাদেরকে ভারতের গোলাম বানাইতে চাই। অনেকাংশে তারা সফল ও হয়েছে। ভারত আমাদের স্বাধীন সর্বমৌত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করলেও, এ চেতনা ব্যাবসায়ীর ভারতের বিরুদ্ধে একটি টু শব্দ ও করবে না। তাদের একটাই অজুহাত স্বাধীনতার সময় ভারত আমাদের সহযোগীতা করেছে। ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের সহযোগীতা করেছে তাই বলে আজীবন ভারত আমাদের কাছ থেকে নিবে, আমরা ভারতের কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্যটুকু ও পাব না।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ হিসাবে অবশ্যই ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রাখা দরকার, কিন্তু সুসম্পর্ক একদিক থেকে হয় না। এখন সময় আসছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে এ চেতনা ব্যাবসায়ীদের সম্পর্কে সচেতন হওয়ার। প্রকৃত পক্ষে যারা আমাদের মাতৃভূমিকে ভালবাসে আমাদের স্বাধীন সর্বমৌত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তাদেরকে সহযোগীতা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে ফরিয়াদ তিনি যেন আমাদের এ মাতৃভূমিকে রাক্ষসের গ্রাস থেকে রক্ষা করেন। আমিন
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
138406
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : জনাব
আমাদের সবার উচিত এই কাজটি করা। শুধু বললে ই তো হবে না। চেষ্টা করতে হবে সবাইকে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য মোবারকবাদ।
186729
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯
আবু নাজিব লিখেছেন : অসম্ভব সুন্দর হয়েছে লিখাটি। আশা করি আরো দু-এক পর্ব উপস্থাপিত হবে ইনশাঅাল্লাহ।
186733
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
সজল আহমেদ লিখেছেন : এ পর্ব ও খারাপ লাগেনি।
১০
186746
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আরো তিন পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে। তবে সময় এবং সুযোগ দুটো আমার বিপরীত অবস্থান করছে। দোয়া করবেন। বেশ কিছু বানান সমস্যা আছে। এডিড করে যে দেব। এই সুযোগ পাইনি। মোবারকবাদ।
১১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
141592
আবু আশফাক লিখেছেন : বানানে তেমন সমস্যা নেই। তবুও আমার মেইলে দেয়া ভালো মনে করলে বানান দেখে দেয়ার চেষ্টা করতে পারি।
১১
186771
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে সময় সুযোগ দিক৷ অনেক তথ্য জানলাম যা অত্যন্ত সঠিক৷ আমাদের সাধ্যমত আমরা চেষ্টাই করতে পারি, বাকী আল্লাহর ইচ্ছা৷ ধন্যবাদ৷
১২
187151
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২১
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সকলের চেষ্টা ই একদিন প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
১৩
187263
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
আবু ফারিহা লিখেছেন : ভারত কখনো ১৭ কোটি মানুষের পেটের দায়িত্ব নিবে না। বরং আমাদেরকে মানষিক গোলাম করে আরো কিছু নতুন নতুন শেখ হাসিনা তৈরী করবে।

দারুন সত্য কথাটিই বলেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
১৪
187785
০৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : এই সত্যটা আমাদেরকে জানানো প্রয়োজন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য মোবারকবাদ।
১৫
190614
১১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
আবু আশফাক লিখেছেন : ধন্যবাদ ইবনে আহমাদ। আপনার কীবোর্ড চালানো আরো সহজ হয়ে উঠুক। মুখোশ খুলে যাক বিড়ালের আদলে বাস করা নেকড়েদের। আমরা ভাবতে শিখি। আমাদের না হলেও আগামী প্রজন্মের পথচলা মসৃণ হোক- এই কামনায়।
১৬
191336
১২ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৬
অনুরণন লিখেছেন : আপনার সাথে একমত। উস্তাদ মাউদুদীর উপর এটি একটি অপবাদ।

শুধু এই তথাকথিত বিশেষজ্ঞই নন, আরও অনেকেই ডেলিবারেটলি এটি ছড়িয়ে থাকেন। মোজাম্মেল ভাইয়ের ফেইসবুক পোষ্টের নিচে আমি সোজাসাপ্টা জিজ্ঞস করেছিলাম বিশেষজ্ঞ! ভদ্রলোকের কাছে কোন রেফারেন্স আছে কি না এ বিষয়ে। সেটি যে নেই তা উনার উত্তরগুলো থেকেই পরিষ্কার।

দেশে না থাকায় ইসলামি সাহিত্যের বইগুলোতে ইন্সট্যান্ট একসেস নাই। স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে, রাসায়েল মাসায়েল এর কোন এক খন্ডে অথবা বিকেলের আসর বইটাতে এব্যাপারে উনি বিস্তারিত বলেছেন। সারমর্ম মুলত এরকম: জামায়াতে ইসলামি এখন একটি ছোট্ট এবং নতুন আন্দোলন যার লক্ষ্য অনেক সুদুর প্রসারী। মুসলিম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে যে দেশটা গঠিত হতে যাচ্ছে সেই জাতীয়তাবাদে জামায়াত বিশ্বাসী নয়। সুতরাং কঠিন হলেও এই আন্দোলনে জামায়াতের অংশ নেয়ার চেয়ে মানুষের কাছে দাওয়াত পৌছানোতে এবং তারবিয়্যাহ নিয়ে ব্যাস্ত থাকাটা জরুরী। '



১৭
191643
১৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মাওলানার মরহুম (রঃ) চিরদিন ই চেয়েছেন - আমাদেরকে একজন পরিপূর্ণ দায়ীর চরিত্র অর্জন করতে। আমাদের সমাজ ও পরিবেশ এমন করে ফেলেছে যে, আমরা দায়ীর চেয়ে রাজনৈতিক কর্মী হওয়াকে বেশী পছন্দ করছি। বিপত্তিটা এই জায়গায়। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
১৮
192855
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আগামী পর্বের অপেক্ষায়...
১৯
228282
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
ব১কলম লিখেছেন : হাতি কাদায় পড়লে চামচকিায়ও লাথি মারে
জামায়াতের বর্তমান দুর্দিনে অনেকই অনেক কথা বলছেন ।
সব দেখে আমার মনে পড়ছে সে সময়ের কথা যখন জামায়াত আরেকটা দুর্দিনে পড়েছিল, দেশে শুরু হয়েছিল 'মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা প্রশ্ন । তখন ও শুনেছিলাম সে সব কথা যা এখন শুনতেছি । তখন ও সে সব কথাবার্তার শানে নুযুল ছিল ছাত্র শিবিরের বিভক্তি আর মরহুম আবদুল জব্বারের নেতৃত্ব নতুন জামায়তে ইসলামী গঠন ।
বর্তমান আলোচনার উদ্দেশ্য্ও কি পূর্ববত

মিডিয়ায় এমন কোন কথা আসা অনুচিত যাতে ইসলামর শত্রুরা উপকৃত হয় ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File