জামায়াতের রাজনীতির পোস্টমর্টেম ও আগামীর পথচলা - পর্ব -৩

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৩ মার্চ, ২০১৪, ০২:৫০:৫২ দুপুর

যে বিষয়গুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ - ২

২) জঙ্গিবাদের সাথে যারা জড়িত - তারা জামায়াতের প্রোডাক্ট।

যে ভাবে (জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক) আপনি বিষয়টা সরলিকরণ করেছেন।তাতে এটা জামায়াতের ওপর মারাত্মক একটি অন্যায় আক্রমন।বুহতানের (অপবাদ) বিষয়টা আপনার এবং আল্লাহ ভাল জানেন। কিন্তু এর তথ্যসুত্র কী? এ নিয়ে কারা গবেষনা করেছেন?

আমি মনে করি না আপনার মত গবেষক - আবুল বারাকাতের মত আবুল গজব মার্কা কোন গবেষনা থেকে এই ধারণা হয়েছে। জঙ্গিবাদের যে রুপ এবং সঙ্গা আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রশক্তি দিচ্ছে, তার সাথে আপনি একমত? পাশ্চ্যত্য সভ্যতার দৃষ্টিতে দেখলে আমাদের রাষ্ট্র জঙ্গিবাদকে যেভাবে চিত্রায়িত করছে- আপনার উপসংহারটা অনেকটা এরকমই। কিন্তু এটাই কি বাস্তবতা।

আসলেই বিষয়টা এতই সরলিকরণ করা যুক্তি ও বিবেকের দাবী।

কারো বই পড়লে অথবা কারো সাথে কিছু দিন সম্পর্ক থাকলেই অপরাধী হয়ে যাবে? এটাই কি একমাত্র লজিক? এপর্যন্ত যত লোক জঙ্গি নামে শায়েস্তা করা হয়েছে তাদের সবাই কি সত্যিকার জঙ্গি। বিষয়টা এক পেশে হয়ে গেল না। আপনার পক্ষ থেকে বিষয়টা আরো পরিস্কার করা প্রয়োজন।

কোরআন পড়ে বা বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর লিখে লোকেরা শিয়া মাতালম্বী হয়েছেন। কাদিয়ানীরা ও কোরআন পড়ে তাদের কুফরীমত প্রচার করেন। তাহলে কি বলবো - সমস্যাটা কোরআনে রয়েছে!

সাবেক শিবির নেতা বর্তমানে জামায়াত (প্রবাসী ব্যবসায়ী) নেতা খুবই চমৎকার করে বলেছেন - আমার ঘরে ডাকাত পড়েছে।এর জন্য আদালতে যাওয়া হল। ডাকাত আমার মা ভাই বোন সাবাইকে মেরে শেষ করে দিয়েছে।মনে করুন - বিচারপতি মানিক সাহার আদালতে বিচার চলছে।আর্ন্তজাতিক আদলতের প্রসিকিউশন তদন্ত রিপোট জমা দিল। রায় হল - ডাকাতি যারা করেছে তাদের অপরাধ তেমন না - বরং আমি কেন আমার ঘরের পাশের আলো নিভিয়ে ঘুমালাম না।এজন্য মহান আদালত আমার ফাসিঁর রায় দেন।বাংলাদেশের জঙ্গিরা সব জামায়াতের প্রোডাক্ট বলে যে সরলিকরণ করলেন- তাতে আামার কাছে মনে হয়েছে নিজাম এন্ড মানিক সাহার আদালতের ফাঁসির মত।

জঙ্গিদের অর্থ্যায়ন - প্রমোট করা - সেই পরিবেশে তাদেরকে ঠেলে দেয়া ইত্যাদি কোন অপরাধ নয়। বরং কেন সে একদিন মওদুদীর বই পড়লো অথবা জামায়াতের কোন নেতার শুশুর বাড়ির বাংলা ঘরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করল।

বাংলাদেশে সবেচয়ে সহজ লভ্য হল - জুডিশিয়াল কিলারদের দ্বারা আষাড়ে গল্প বানিয়ে এখন ফাঁসির রায় এবং কার্যকর করা।সেই অবস্থায় আমাদের সবার মাথার সাইজ (মাপ) মাননীয় আদালতে জমা দেয়া উচিত।জঙ্গিবাদ আর জঙ্গি উৎপাদন এগুলোর মধ্যে তফাৎ করা আপনার মত বিজ্ঞজনের উচিত।নতুবা কখন কি হয়ে যায়।


বিষয়টা যেভাবে আমাদের সেকুলার মিডিয়া পিকআপ করেছে এবং নতুন নতুন গল্প ছড়াচ্ছে তাতে আমাদের চিন্তাশীল লোকদেরকে ও আচ্ছন্ন করেছে বলে মনে হয়। আপনার এই যুক্তিটা অনেক আগেই আমাদের সুশীল বান্ধব মিডিয়া বাজারজাত করেছে।নতুন করে আবার আপনার সাক্ষাৎকারে কিভাবে আসলো?

আমি মনে করি আপনার আমার সবার এই অধিকার আছে যে, জামায়াতের সমালোচনা করার। কারন ইসলাম শুধুমাত্র জামায়াতের কয়েকজন নেতার সম্পদ নয়। আমার জানা মতে এরকম দাবী ও জামায়াত থেকে করা হয় না।সমালোচনার উদ্দেশ্য যদি এই হয় যে, বাংলাদেশের মৌলিক বোধ বিশ্বাসের পক্ষে আমাদের অবস্থান করা। তা হলে একটি গতিশীল এবং গণমুখি দলে রুপান্তর করার সামগ্রিক চেষ্টা হওয়া উচিত। কয়েকজন নেতার আচরণ অথবা ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে জামায়াতকে টার্গেট করতে গিয়ে আদর্শ টার্গেট করা মোটেই সঠিক হবে না।এটা কারোর জন্যই কল্যাণকর হবে না।

সাত)

৩) সারা পৃথিবী এক দিকে আর ভারত একদিকে।

ভয়টা একটু বেশী দেখালেন মনে হয়। একটা বিষয় আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। সেটা হল - ইসলামকে মানতে গিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিকে শর্ত হিসাবে শরায়েত করেছেন কি না।বিষয়টা আমাকে কনফিউজ করেছে।এক্ষেত্রে জামায়াতের ষ্ট্যাটেজিক ভুলগুলো আলোচনা করা প্রয়োজনীয় ছিল।আমার নিজের বিবেচনায় জামায়াতের বিদেশে বন্ধু বাড়ানো এবং তাদের ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল। অধ্যাপক গোলাম আযমের যে আর্ন্তজাতিক পরিচিতি ছিল - এমারত থেকে অবসরে যাবার পর খুব সহজে বিদেশে একটি বলয় তৈরী করা যেত।কিন্তু এরকম কিছুই হয় নাই।এগুলো চিন্তা করার মত যোগ্যতা -প্লান ইত্যাদি না থাকার কারন রয়েছে অনেক।

পাশের ঘরের লোকদের সাথে কোন আলোচনা হবে না আমাকে জানবে না - আমার কোন চেষ্টা ও হবে না - এগুলো ২০১৪ সালের বিশ্ব রাজনীতিতে শিশুসুলভ আচরণ।

ভারতের সবাই জামায়াতের দুশমন নয়। জামায়াতের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে - বিগত দিনে এমন অনেক অর্জন আছে।যা নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা এবং কাছাকাছি যাওয়ার অনেক মৌলিক বিষয় ছিল। শুধু মৌসুমী আম পাঠিয়ে একটি দল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা যায় না। এগুলো রুটিন ওয়ার্ক এর মধ্যে পড়ে।তার পরও চলেছে।

কিন্তু জামায়াত ভারতকে বড় দেশ হিসাবে ভারতীয়দের মানসিক গোলামে পরিণত করতে দেয়নি তার জনশক্তিকে।সংখ্যায় কম হলেও এই মানুষগুলোই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে কাজ করবে।

বর্তমান বাংলাদেশে ভারতপন্থি দালালরা এরকম একটি আবহ তৈরী করছে - ভারত ছাড়া আমাদের কোন গত্যান্তর নেই। এটা রাজনৈতিক গোলামীর চাইতে আরো বড় জাতীয় সমস্যা।একবার যদি জাতির শিক্ষিত সমাজ কোন দেশের মনস্তাত্তিক গোলামে পরিণত হয় তাহলে সেই দেশ ও জাতিকে দখল করার জন্য সৈন্য সামান্ত পাঠাতে হয় না। ভারতীয় ভাদাদের এটাই কর্মসূচী।

এই পয়েন্টে মনে হচ্ছে - ভারত আমাদেরকে যতটুকুন পারমিশান দিবে ততটুকুন আমরা অগ্রসর হব। এরকম একটি অদৃশ্য মিথ তৈরী করা হয়েছে মিডিয়াতে। আমাদের শিক্ষিত সমাজে এই ধারণা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখন দেখলাম (যদি আমি সঠিক বুঝে থাকি) আপনার লেখায়ও এরকম একটি ইসলামী মিথ গড়তে চাচ্ছেন।

কল্পনা করুন - রাসূল মদিনায় - নগর রাষ্ট্র - সুপার পাওয়ার - রোম ও পারস্য। প্রতিবেশীকে বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু আগে থেকেই যদি পরাজয়ের মানসিকতা তৈরী করে ফেলি।

একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।

বেশ কয়েক বছর আগের কথা। স্থানীয় একটি প্রোগ্রামে পরিচিতি পর্ব চলছে। আমাদের জেলা ভিত্তিক পরিচিতি নেয়া হল। দেখলাম দায়িত্বশীল প্রায় সব জেলার নাম মুখস্ত বলছেন। খুবই ভাল লাগলো।পরে নিজের পরিচয় দিলেন।মোট ১৬টি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যন বা সভাপতি।আমার পাশে বসা একজন বলল। গ্রীনিস বুকে নামটা হয়তো আছে। সুপারম্যান মানুষের গল্প তো শুনেছি।কিন্তু এত হাই হাই সুপার মানুষকে স্বচক্ষে দেখার ভাগ্য হয়নি।

একজন ব্যক্তি যদি বছরের পর বছর অসংখ্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানের (সাংগঠনিক) প্রধান হন - তাহলে সেই সংগঠনে যোগ্য লোক আমদানী করা ছাড়া উপায় থাকবে না।আর এজন্য সিদ্ধান্তগুলো নাযিল করা ছাড়া কোন উত্তম পন্থা থাকে না।চলছে।হয়তো চলবে -

তার পরও বলবো আপনার সম্মানীত একজন বিশেষজ্ঞের মতামত সবগুলোর সাথে মোটেই একমত নই। কিছু ক্ষেত্রে তার মূল্যায়ন সঠিক।আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।

প্রথম পর্ব - http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1876/IBNAHMED/39398

২য় পর্ব -

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1876/IBNAHMED/39487

বিষয়: বিবিধ

১৫৬০ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

186072
০৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
০৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
137900
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
186084
০৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৯
সজল আহমেদ লিখেছেন : আলোচনাটা ভাল লাগল।
০৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
137902
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার মন্তব্য পেলে উপকৃত হত।
186128
০৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
আবু ফারিহা লিখেছেন : আপনার লেখায় সমসাময়িক বাস্তবতার চিত্র ফুঁটে উঠেছে। খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
186129
০৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি লিখলে আরো ভাল হতে পারতো।
186134
০৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১০
মুিনর লিখেছেন : আমি আপনার পর্বগুলি ধারাবাহিকভাবে পড়ার চেষ্টা করি। আলোচনা ভালই লাগতেছে। নাস্তিকদেরকে মনে হয় আরো বড় পরিসরে মোকাবেলা করা দরকার। আবুল গজব (বারাকাত) এর অর্থনৈতিক যে বিশ্লেষন তাকে চ্যালেঙ্জ করা দরকার। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর টাকা পয়সা কোথা আসতেছে এবং কোথায় খরছ হচ্ছে সচ্ছভাবে জনগণের নিকট তোলে ধরা দরকার। আশা করি এব্যাপার পরিস্কার করে লেখার চেষ্টা করবেন।
186142
০৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না। তবে আমার বিশ্বাস এই ফিল্ডে আপনি কিছু করতে পারেন। আমি অর্থনীতি বুঝি না। এজন্য সংসার জীবনে মান অভিমানে আছি। আপনি লিখুন। ধন্যবাদ।
186174
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
আবু সাইফ লিখেছেন : ২) জঙ্গিবাদের সাথে যারা জড়িত - তারা জামায়াতের প্রোডাক্ট।

জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক য়দি আরেকটু ব্যাখ্যা করে লিখতেন তবে ভালো হতো!

আমি তাঁর কথার একটা দিক এভাবে বুঝতে চেয়েছি-
ইসলামী আন্দোলনের ধারণা/কাজটাকে পরিচিত করেছে জামায়াত! তাই এপথের সব শাখা-প্রশাখার লাভ-ক্ষতির দায়িত্বও জামায়াতের!!

বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করি-

ইসলামী আন্দোলনের ধারণা/কাজটাকে পরিচিত করার পাশাপাশি এক বিশাল আত্মত্যাগী জনশক্তিও তৈরী করেছে জামায়াত!

কিন্তু জামায়াত এ জনশক্তির অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়ানোর এবং শাহাদাতের মর্যাদালাভের জযবাকে বাস্তব ময়দানে রাজনীতির জন্য যতটা ব্যবহার করেছে, সমাজের সর্বক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগের ব্আপারে ততটা আগ্রহী/উদ্যোগী হতে পারেনি!

এসব আবেগ-উদ্বেলিত তরুণ-যুবকদেরকে যখন অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়ানোর এবং শাহাদাতের মর্যাদালাভের আপেক্ষাকৃত সোজাপথ দেখানো হয়েছে তখন তারা সেদিকে ঝুঁকে পড়েছে- কেউ বেশী এগিয়ে গেছে, আর কেউ কম সাহসী বা অন্য কোন কারণে কিছুটা পিছিয়ে থেকেছে- কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় এরা সবাই জামায়াতেরই কারখানার কাঁচামাল!!

এ কথাটি ইসলামের দুশমনেরা য়ত সহজে সমীকরণ করেছে জামায়াত সেটা করতে পারেনি- এখানেই জামায়াতের আরেকটি দুর্বলতা!!
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫১
137949
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার অভিজ্ঞতার সাথে একমত। একমত এই জায়গায় -এসব আবেগ-উদ্বেলিত তরুণ-যুবকদেরকে যখন অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়ানোর এবং শাহাদাতের মর্যাদালাভের আপেক্ষাকৃত সোজাপথ দেখানো হয়েছে তখন তারা সেদিকে ঝুঁকে পড়েছে- কেউ বেশী এগিয়ে গেছে, আর কেউ কম সাহসী বা অন্য কোন কারণে কিছুটা পিছিয়ে থেকেছে- কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় এরা সবাই জামায়াতেরই কারখানার কাঁচামাল!!
তবে জামায়াত ই জঙ্গিবাদের প্রোডাক্ট সেটা মনে আপনি ও মনে করেন না।
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
137960
আবু সাইফ লিখেছেন : জামায়াত ও জঙ্গিবাদ -
কেউ কারো প্রোডাক্ট নয়,
তবে একটার বাই-প্রোডাক্ট অপরটায় যেতে পারে
(এবং যায়)
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৯
138980
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ইসলামী আন্দোলনের ধারণা/কাজটাকে পরিচিত করেছে জামায়াত! তাই এপথের সব শাখা-প্রশাখার লাভ-ক্ষতির দায়িত্বও জামায়াতের!! খুবই সুন্দর কথা এবং একমত। কিন্তু জঙ্গীবাদ জামায়াতের শাখা প্রশাখা হতে যাবে কেন এবং এর দায়িত্বও জামায়াত নেবে কেন? জঙ্গিবাদ কি ইসলাম বা ইসলামী আন্দোলন?

ইসলামী আন্দোলনের ধারণা/কাজটাকে পরিচিত করার পাশাপাশি এক বিশাল আত্মত্যাগী জনশক্তিও তৈরী করেছে জামায়াত! ধন্যবাদ এবং একমত।
কিন্তু জামায়াত এ জনশক্তির অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়ানোর এবং শাহাদাতের মর্যাদালাভের জযবাকে বাস্তব ময়দানে রাজনীতির জন্য যতটা ব্যবহার করেছে, সমাজের সর্বক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগের ব্আপারে ততটা আগ্রহী/উদ্যোগী হতে পারেনি! বুঝে আসেনি।
এসব আবেগ-উদ্বেলিত তরুণ-যুবকদেরকে যখন অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়ানোর এবং শাহাদাতের মর্যাদালাভের আপেক্ষাকৃত সোজাপথ দেখানো হয়েছে তখন তারা সেদিকে ঝুঁকে পড়েছে- কেউ বেশী এগিয়ে গেছে, আর কেউ কম সাহসী বা অন্য কোন কারণে কিছুটা পিছিয়ে থেকেছে- কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় এরা সবাই জামায়াতেরই কারখানার কাঁচামাল!! একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। বরং প্রকৃত ব্যাপারটা আপনার যা ভাবছেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন : প্রকৃত ইসলামী আন্দোলনকে ঘায়েল করার জন্য ইসলামের সত্রুরা বিভিন্ন সময় ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ এবং ইসলামী রাজনীতির নামে প্রশ্নবোধক ইসলামী রাজনীতি চালু করার চেষ্টা করেছে এবং সেখান থেকেই কিছু ভালো লোক বের হয়ে এসে ইখলাসের সাথে নিজেরা ইসলামী আন্দোলন চালু করেছেন অথবা কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামীর সাথে যোগ দিয়েছেন। আপনার জানা থাকার কথা- হাফেজ্জী হুজুর যেদিন বট গাছ প্রতীক নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার আগের দিন পর্যন্ত ইসলামী রাজনীতি হারাম মনে করতেন। কার নির্দেশে, কিভাকে তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন তা সকলের নিকট পরিস্কার ছিল। পরবর্তীতে সে আন্দোলন তাদের উস্কানীদাতাদের বিপরীতে প্রকৃত ইসলামী আন্দোল হিসেবে কাজ করেছে।

০৭ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
139731
আবু সাইফ লিখেছেন : @মোহাম্মদ লোকমান: কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন- আলহামদুলিল্লাহ.. ধন্যবাদ

যেটা বলেছেন "বুঝে আসেনি।" সেটার আলোচনায় একটু ব্যাখ্যা লাগবে- সময়সুযোগমত করতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ

আর যেগুলোতে একমত হতে পারেননি বা সম্পূর্ণ বিপরীত বলেছেন সেগুলোর জন্য আগে আমাকে বুঝতে হবে যে, জেএমবির উত্থানের আগে-পরের সময়গুলোতে আপনি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অবস্থার সাথে পরিচিত ছিলেন কিনা! বিশেষতঃ দেশের উত্তর+দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থার খবর!!

কিম্বা জেএমবির সাথে সংশ্লিষ্টদের সুপথে আনার জন্য কোন প্রচেষ্টার অভিজ্ঞতা যদি আপনার থেকে থাকে তবে আলোচনায় সুবিধা হবে!!

*

প্রশ্নবোধক ইসলামী রাজনীতি চালু করা কিংবা হাফেজ্জী হুজুর কার নির্দেশে, কিভাকে তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন .. এসব ব্যাপারে আমার কোন ভিন্নমত নেই!!
186175
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আমার এ বুঝ-বিশ্লেষণ হাওয়া থেকে নয়- বরং বাংলাদেশের তথাকথিত জংগী সংগঠনগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের ব্যাপারে জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তির মনোভাব/আচরণ খুব কাছে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া!
০৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
138435
ইউসুফ বিন রফিক লিখেছেন : Good Luck
186192
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সালাম। ধন্যবা যুক্তিতর্ক তুলে ধরার জন্য। পড়ে ভাল লাগল।
১০
186193
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার অভিজ্ঞতা অবশ্যই সঠিক।আমি একমত।
(তাই এপথের সব শাখা-প্রশাখার লাভ-ক্ষতির দায়িত্বও জামায়াতের!!)
কথাটা এক অর্থে সঠিক। কিন্তু মুহতারাম, যাদেরকে এই দায়িত্ব দিচ্ছেন - তাদের অবস্থান কি?ভুল আছে জামায়াতের - কিন্তু পাশাপাশি এই সংগঠনের বিগত দিনের কার্যক্রম - দ্বায়দ্ধতা ইত্যাদি আমাকে আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। কেন জানি মনে হয় আমরা শুধু জামায়াতকে এককভাবে এবং এক পেশে দায়িত্ব চাপাতে ব্যস্ত। আমার বক্তব্যটা ছিল এই জায়গায়।
আপনার সুচিন্তিত মতামতকে আমি স্বাগত এবং শ্রদ্ধা জানাই।
০৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৭
138436
ইউসুফ বিন রফিক লিখেছেন : Good Luck Happy>-
১১
186194
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : যৌক্তিক লিখা বরাবরের মত ভালো লেগেছে।
১২
186825
০৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১১
সজল আহমেদ লিখেছেন : এ পর্ব ও দারুন।
১৩
187809
০৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার দারুন লেগেছে এটা আমার জন্য বেশী দারুন। মোবারকবাদ।
১৪
210834
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৫
রামির লিখেছেন : ধন্যবাদ
১৫
228281
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
ব১কলম লিখেছেন : হাতি কাদায় পড়লে চামচকিায়ও লাথি মারে
জামায়াতের বর্তমান দুর্দিনে অনেকই অনেক কথা বলছেন ।
সব দেখে আমার মনে পড়ছে সে সময়ের কথা যখন জামায়াত আরেকটা দুর্দিনে পড়েছিল, দেশে শুরু হয়েছিল 'মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা প্রশ্ন । তখন ও শুনেছিলাম সে সব কথা যা এখন শুনতেছি । তখন ও সে সব কথাবার্তার শানে নুযুল ছিল ছাত্র শিবিরের বিভক্তি আর মরহুম আবদুল জব্বারের নেতৃত্ব নতুন জামায়তে ইসলামী গঠন ।
বর্তমান আলোচনার উদ্দেশ্য্ও কি পূর্ববত

মিডিয়ায় এমন কোন কথা আসা অনুচিত যাতে ইসলামেন শত্রুরা উপকৃত হয় ।
১৬
230949
০৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ। তবে আমি একমত নই। মিডিয়াতে কোন জিনিস আসবে আর কোন জিনিস আসবে না। এটা ঠিক করবে কে?
আমার মতে সব কিছুই মিডিয়া নয় গনমানুষের কাছে স্বচ্ছ ও পরিস্কার থাকা চাই। এতে উপকার হয় বেশী যাদের সমালোচনা করা হয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File