জামায়াতের রাজনীতির পোস্টমর্টেম ও আগামীর পথচলা - পর্ব - ১

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:২৬:৪৭ দুপুর

এক)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বর্তমান সময়ে বেশ মজাদার কিছু বিতর্ক শুরু হয়েছে। মজাদার বললাম এ জন্য - আজ থেকে কয়েক বছর পূর্বে যে বিষয়গুলো জামায়াত ইনসাইড (ভিতরে) আলোচনার সুযোগ কল্পনা করা যেত না।আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই বিষয়গুলো জামায়াত ইন আউট উভয়ই হচ্ছে। আউট আব বক্স - চিন্তা-ভাবনা করার বেশ কিছু সাহসী মানুষ তৈরী হয়েছে। এর শুরুটা হয়েছিল - কামরুজ্জামান সাহেবের একটি চিঠির মাধ্যমে। তখন তা মিডিয়াতে বেশ কিছুদিন আলোচনা হয়েছিল। জামায়াতের দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতারা এটা নিয়ে ভাসুর ভাসুর জবাব দিয়েছেন। না গ্রহন আর না হজম।

দেশ থেকে আসা বড় মাপের একজন নেতাকে কামরুজ্জামান সাহেবের চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে - তিনি তাচ্ছিল্য ভাবে বলেছিলেন - 'বাড়িতে মুর্দা রেখে কোন বিয়ের আলাপ করা যায় না'।এই নেতার দীর্ঘদিনের সাথী সম্পর্কে মূল্যায়ন ছিল এমন - একজন হতাশ আর জীবন সম্পর্কে নিরাশ ব্যক্তির কাছ থেকে এরকম চিন্তাই স্বাভাবিক।সংস্কার বা রি-থিংক করার সময় এখন নয়। বরং চার দেয়ালের ভিতর থেকে এরকম মজার মজার কল্পনা করা যায়।আপত্তিকর আরো বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। অবশ্য বিরাট উচু মাপের এই নেতার বক্তৃতার ষ্টাইলই এরকম।

দুই)

কামরুজ্জামান সাহেবের পত্রটি বের হবার পর সোনার বাংলা ব্লগে প্রচুর লেখা হয়। ঐ সময় সাপ্তাহিক সোনার বাংলায় ফিচার লেখেন মুহতারামা শামছুর নাহার নিজামী। তার লিখাটির মূল আবেদন ছিল - কামরুজ্জামান সাহেবের লিখাটিকে কনডেম করা (বিবেচনায় নিতে ...... এরকম কিছু)। ঐ সময় দেখেছি আব্দুল কাদের বাচ্চু সাহেবের এক সময়ের সাথী - যিনি বর্তমানে একটি দেশের, বড় শহরের জামায়াতের দায়িত্বশীল। তিনি শামছুর নাহার নিজামীর পক্ষে মন্তব্য করেছেন।

এটা একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা।কেন জানি মনে হয়েছে পদ পদবীর প্রয়োজনটা বড়।আউট অব বক্স চিন্তা করার কোন সাহস - সঠিক সময়ে এই শ্রেণীর প্রিয় মানুষগুলো দেখাতে পারে না।

মুক্তচিন্তা,গতিশীলতা,নতুনত্বকে আলিঙ্গন করা,সময়কে ধারণ করা,আগামীর পরিকল্পনা করা,আপন জনশক্তিকে সময়ের সাহসী মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা - একটি গণমুখি চরিত্রের গণ সংগঠনে পরিণত করার সময় ও সুযোগ নেই বলা যায়। এটাকে অযোগ্যতা বা সিসটেমের সমস্যা না ক্ষনস্থায়ী পদবীর হাতছাড়া হওয়ার লোভ। কি ভাবে মূল্যায়ন করবো।

তবে আমার বিশ্বাস - সম্ভাবনার যে দিগন্ত জামায়াতের ছিল সেটা এখনো আছে। তার সঠিক মূল্যায়ন এবং সফলতার সমীকরণে পৌছার মত সাংগঠনিক অবস্থা রয়েছে।

কিসের প্রয়োজন - কেন প্রয়োজন - কিভাবে হতে পারে - ইত্যাদি বিষয়গুলোর জন্য কিছু লোকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।


তিন)

ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক সাহেব নয়া দিগন্তে একটি প্রবন্ধ লিখেন।প্রসঙ্গ ইসলামী আন্দোলনের সংস্কার। এটা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। ব্লগে এবং ব্লগের বাহিরে ও ব্যারিষ্টার সাহেবকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে লিখা হয়।যদিও ব্যারিষ্টার সাহেব খুবই চমৎকার ভাবে ঐ সময়ের বিশ্ব পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলনগুলোর কী করনীয় তার একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করেছিলেন।যে সময় এই লিখাটা নয়া দিগন্ত ছাপে তখন আরব বসন্তের হাওয়া নীল নদের পাড়ে ডঃ মোহাম্মদ মুরসী সহ ইখওয়ানের হানিমুণ পিরিয়ড চলছিল। তার পরের ইতিহাস আমাদের সবার জানা।

বলা যায় জামায়াতের বড় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে কামরুজ্জামান এবং আব্দুর রাজ্জাক সাহেবরা কিছুটা গলা ঝেড়ে কাশি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আর কেউ এই পথে অগ্রসর হন নি।অথবা শেষ পরিণতির ভয়ে হয়তো............. অথবা অনেক কিছূ।

এখানে জানিয়ে রাখি - ঐ বড় উচু মাপের নেতা যিনি এখনো বিদেশে আসা যাওয়ার মধ্যে আছেন।তাকে ব্যারিষ্টার সাহেবের লেখার প্রতি দৃর্ষ্টি আকর্ষন করলে - জবাব দিলেন, আমি পড়েনি। আবার নিজে শুধরালেন - পড়ার সময় পাননি। আবার অন্য এক ঘরোয়া পরিবেশে এই নেতা বললেন - লেখাটা আসলে শিশির মোহাম্মদ লিখে দিয়েছে।(প্রাক্তন শিবিরের নেতা ও ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের জুনিয়র।) আমি তাকে কোট করছি যে, জামায়াতের সমালোচনা নয় বরং গঠন মূলক লিখা,বক্তব্য,মতামতগুলোকে কি চোখে দেখেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।গ্রহন করা অথবা আউট আব বক্স চিন্তা করার কল্পনাও তাদের চিন্তার জগতে নেই।

চার)

এ বিষয়ে ব্লগে লেখা লেখি যারা বেশি করেন। তাদের মধ্যে উ্ল্লেখযোগ্য জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক,জনাব এম এন হাসান, জনাব হাসান তারিক,জনাব মুহসিন আব্দুল্লাহ। জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক এবং লোকমানবিনইউসুপ - আরো অনেকেই সরাসরি লেখেন ও মন্তব্য করেন। তাদের লেখায় যেমন তথ্য থাকে তেমন চিন্তার খোরাক ও থাকে।

ইসলামীক মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামে নতুন একটি ব্লগ খোলা হয়েছে। ব্লগটি সাজানো হয়েছে গোটা বিশ্বের ইসলামী আন্দোলনের তথ্য তথ্যাদি দিয়ে। মুক্ত চিন্তার একটি প্লাট ফরম বলা যায়।যারা নিজেদের বিবেককে প্রকাশ করতে চান তাদের জন্য সুন্দর একটি আয়োজন।

http://www.onbangladesh.org

নতুন এই ব্লগে জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক সাহেব ধারাবাহিক একটি সাক্ষাৎকার পোষ্ট করেছেন। তিন পর্বের এই লিখাটিতে বেশ কিছু বিষয় তুলে এনেছেন। যা এতদিন খুবই হিডেন ছিল।তার লেখার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে একমত হওয়া যায়।আবার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে মোটেই একমত হওয়া যায় না। আবার কয়েকটি বিষয় এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা তথ্যগত দিক থেকে মোটেই সঠিক নয়।

আইএমবিডি ব্লগে লেখাটি প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে বিডি টুডেতে লিংক দিয়ে একটি লেখা ছাপা হয়।

সব মিলিয়ে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত বা চিন্তার ক্ষেত্রে নৈরাজ্য তৈরী হতে পারে এমন আশংকায় আমার এই দৃষ্টি আকর্ষণ।

আমি মনে করি লেখালেখি বা মতামত দেবার ক্ষেত্রে আমাদের সবার কয়েকটি জায়গায় একমত হওয়া জরুরী।একমত বলতে বুঝাচ্ছি যাদের জন্য এই আয়োজন তাদেরকে কতটুকু রিডিং করা হচ্ছে।

প্রথমত যাদের নিয়ে এই চিন্তা তাদের মনোজগতটা কেমন?আমি জামায়াত নেতৃবৃন্দের কথা বলছি।

২য় - শুভাকাংখী হয়ে যারা এই কল্যাণকর সংগঠনকে সাহায্য করার নিয়তে চেষ্টা করছেন। তাদের সামাজিক ও সাংগঠনিক অবস্থান কী?আবেদন বা নিবেদন যাই বলি না কেন তা সীসা ঢালা প্রাচীর ভেদ করে যথাস্থানে পৌছবে?

৩য় - পরামর্শ বা সমালোচনা যাই বলি না কেন, তা কি নির্মোহ? এবং সঠিক অর্থে মূল্যায়নের জায়গাটা তৈরী হচ্ছে? নাকি নতুন করে ফিতনা তৈরী হবে?

৪র্থ - যারা জামায়াতকে আপন পছন্দের জায়গা থেকে এত চেষ্টা করছেন তার ফলোআপটা কী হবে? পৃথিবীর সব প্রতিষ্ঠানের একটি উপদেষ্টা কমিটি বা গ্রুপ থাকে।একমাত্র জামায়াত ব্যতিক্রম। কারন টা কি - জামায়াতের সিসটেম না কিছু লোকের একছত্র মালিকানার বিষয়।

আগামী পর্ব - ২ - যে বিষয়গুলোর দৃষ্টি আকর্ষন

বিষয়: বিবিধ

২১৫৬ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

183245
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
আবু সাইফ লিখেছেন : ধন্যবাদ এমন বিষয়ে লেখা শুরু করার জন্য-
জাযাকাল্লাহ..

আইএমবিডি-র লিকংকটা ঠিক হয়নি-
ওটা দিলাম
imbdblog.com


আইএমবিডি-র পোস্টে নজর রেখেছি, তাই আপনার পোস্ট পূরোটা ভালো করে পড়ে মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ..
আপাততঃ হাজিরা দিয়ে গেলাম!
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
135440
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে মোবারকবাদ। আশা করছি তিন পর্বের মত হবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
135474
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : আইএমবিডিতে লেখাটি দিন। ইবনে আহমাদ ভাই। এটা একটা স্টোর হাউজ হিসেবে কাজে লাগানোর টার্গেট উদ্যোক্তাদের।
183246
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
মুিনর লিখেছেন : একটি যুগপুযোগী লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তবে কথাগুলো আরো পরিস্কার করলে অনেকে উপকৃত হত।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
135442
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : পরিস্কার করার চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী পর্বগুলো পড়লে মনে হয় স্পষ্ট হবে। সাথে থাকবেন আশা করছি।
183250
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০১
হতভাগা লিখেছেন : ''জামায়াতের রাজনীতির পোস্টমর্টেম ও আগামীর পথচলা - পর্ব - ১ ''

০ রাজনীতির পোস্টমর্টেম মানে রাজনীতি ডেড । পোস্টমর্টেম মানে মৃত্যুর পর তদন্ত হওয়া মৃতের উপর ।

জামায়াতের এই মৃত ইস্যুটিকে নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করে নতুন ক্ষেত্রের অনুসন্ধান করা উচিত ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২২
135445
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বিষয়টা নিয়ে অনেক ভাই লিখেছেন। তাদের পোষ্ট পড়ে মনে হল এমন। আগামী পর্বগুলো পড়বেন। এই প্রত্যাশা। মোবারকবাদ।
183254
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : লিখাটা একবার পড়ে মন ভরেনি। আবারও পড়ে বিস্তারিত মন্তব্য করবো। তবে সময়ের সাহসী পোস্ট। বাস্তবতা বিশ্লেষন করে যে সংগঠন নিজেদেরকে আপডে করে, তাদেরকে কেউ ঠেকাতে পারেনা। অন্ধ ভাবে নেতৃত্ব মানার পদ্ধতি ইসলামে নেই। বরং নেতাকে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার গণতান্ত্রিক প্রচলনে সংগঠন দারুণভাবে উপকৃত হন। যারা এটিকে হজম করতে পারেনা তারাই সিষ্টেমের দিকে ডাকে।

আজ এক কঠিন মুহুর্ত পার হচ্ছি। আমাদের অতীতে অনেক ভূল আছে এটি অস্বীকার করার যো নেই। আজকের এ বাস্তবতায় বিশ্লেষনের পথ বন্ধ করে দিয়ে যদি অন্ধ আনুগত্যর কথা বার বার বলি তাহলে কাল হাশরের মাঠে এ ভূলের দায় দায়ীত্ব আমাকে নিতেই হবে।

একজন নেতার ভূল সিদ্ধানে্ অনেক কর্মির প্রাণ হানি হয় বলে নেতাকে ঠিক পথে রাখার জন্য আত্ম সমালোচনা, যুদ্ধের ময়দানে বিশ্লেষন অতীব জরুরী।

সবাই গঠনমুলক সমালোচনা বিশ্লেষন করেবে এটাই দাবী রাখি।

লেখককে ধন্যবাদ। এগিয়ে যান। আমরা জামায়াত ছাড়ার নয়। জামায়াতের জন্য সবই বিলিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে তাদের বিশ্লেষন দৃস্টিভঙ্গীকে বাকা চোখে দেখার সুযোগ নেই।

ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
183266
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বাস্তবতা বিশ্লেষন করে যে সংগঠন নিজেদেরকে আপডে করে, তাদেরকে কেউ ঠেকাতে পারেনা। অন্ধ ভাবে নেতৃত্ব মানার পদ্ধতি ইসলামে নেই। বরং নেতাকে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার গণতান্ত্রিক প্রচলনে সংগঠন দারুণভাবে উপকৃত হন। যারা এটিকে হজম করতে পারেনা তারাই সিষ্টেমের দিকে ডাকে।
সহমত পোষন না করে উপায় নেই। আপনাকে ধন্যবাদ।
183278
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
ডাহুকী লিখেছেন : “ইসলামী আন্দোলনের জন্য আমার এই ভয়টাই সবচাইতে বেশি হয় যে, এই আন্দোলন তার সন্তানদের মধ্যে যাঁরা বুদ্ধিজীবি তাদেরকে পছন্দ করেনা। এটা পুনুরুজ্জীবন (তাজদীদ) এবং ইজতিহাদ এর দরজা বন্ধ করে দিয়ে শুধু একধরনের চিন্তার মধ্যে নিজেকে আটকে ফেলে। এই চিন্তা পদ্ধতি বিভিন্ন লক্ষ্য, উপকরণ এবং সময়কাল এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন পথ নির্দেশকারী অন্য যেকোনো মতামতকে অস্বীকার করে, অথচ স্বাধীন ইজতিহাদের মাধ্যমে বিভিন্ন পথ তালাশ করার স্বাধীনতা এক্ষেত্রে স্বীকৃত।
শায়খ ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ী
183280
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : এটা পুনুরুজ্জীবন (তাজদীদ) এবং ইজতিহাদ এর দরজা বন্ধ করে দিয়ে শুধু একধরনের চিন্তার মধ্যে নিজেকে আটকে ফেলে।
183282
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
ডাহুকী লিখেছেন : শায়খ ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ীর মন্তব্যটা একটু বড়। আপনারা চাইলে পুরোটা দিতে পারি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
135570
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : পুরাটা না দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশ দিয়ে একটি পোষ্ট দিতে পারেন।
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
138814
আবু সাইফ লিখেছেন : @ডাহুকী : শায়খ ইউসুফ আল ক্বারাদাওয়ীর মন্তব্যটা এখানে না হলেও পোস্ট আকারে দিয়ে দিন- অনেকেই উপকৃত হবেন!
183313
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : আইএমবিডিতে লেখাটি দিন। ইবনে আহমাদ ভাই। এটা একটা স্টোর হাউজ হিসেবে কাজে লাগানোর টার্গেট উদ্যোক্তাদের।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
135572
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভাইজান দেয়া হয়েছে। আপনাকে মোবারকবাদ।
১০
183314
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩২
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ভাই ...ফেইসবুকে পেলে উপকৃত হতাম।

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
135574
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ফেবুতে আছি তো এই নামে
Azad Subhan Ahmod
১১
183362
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : অনেক সুন্দর বিশ্লষন, জাজাকাল্লাহুল খাইরান।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
135575
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকেও মোবারকবাদ।
১২
183367
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
সজল আহমেদ লিখেছেন : বাকি পর্বটা কাল দিলেই ভাল হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
135576
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : পর্বটা কাল নয় ইনশাআল্লাহ পরশু দেয়ার চেষ্টা করবো।
১৩
183370
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৪
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : সম্পূর্ণ পড়ার অপেক্ষায় আছি ,আপনার বিশ্লেষণ ভালো মনে হচ্ছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
135577
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সাথে আছেন ইনশাআল্রাহ পেয়ে যাবেন। কাশি দিয়ে মন্তব্য করুন।
১৪
183418
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : সময়োপযোগী চমৎকার লেখাটি শুরু করায় আপনাকে ধন্যবাদ । সময় অতিবাতিত হবার সাথে সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তনশীল। তেমনি ভাবে "আউট অব বক্স" চিন্তা করাও সময়ের দাবী রাখে আমার মতে । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
135579
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য অনেক মোবারকবাদ।
১৫
183428
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
সাদাচোখে লিখেছেন : পাবলিকলী জামায়াত নিয়ে গঠনমূলক ও ক্রিটিক্যাল লিখার গুরুত্ব অনেক।

জামায়াত নেতৃত্ব এই লিখা পড়লো কি পড়লো না, এর বিপরীতে কোন কর্ম করলো কি করলো না, এ সব লিখা হতে কোন ফসল তুললো কি তুললো না - আমার মতে, তার চেয়ে বড় যে বিষয়টি সামনে চলে আসে - তা হল জনমানুষের কাছে

১। আলোচনা সমালোচনার ইসলামী মাপকাঠিটি প্রকাশিত হয়।
২। দুনিয়াবী কোটি কোটি মানুষ রাষ্ট্র, সংগঠন ও নেতাকর্মীদের নিয়ে 'আজকের দিনের মুসলিম থটস্‌' সম্পর্কে জানতে পারে।
৩। আলটিমেটলী এই ধরনের লিখালিখি ইসলামী রিসোর্স এর সমৃদ্ধি করে, চিন্তার পরিপক্কতা আনায়ন করে। ফলশ্রুতিতে জামায়াত উপকৃত না হলেও ইসলাম উপকৃত হয়, ইসলাম কেন্দ্রীক সংগঠন উপকৃত হয়, মুসলিম উপকৃত হয়, মানব সভ্যতা উপকৃত হয়।

আর কোন কারনে জামায়াতে ইসলামী যদি রেডিমেইড এসব রিসোর্স থেকে ঝাচাই বাচাই করে কিছু মধু সংগ্রহ করে - তবে আপনারা যারা এ নিয়ে সময় দিচ্ছেন, শ্রম দিচ্ছেন - তারা বাড়তি বোনাস পেলেন।

আল্লাহ আপনাদের এই পরিশ্রমের উপযুক্ত পারিশ্রমিক ইহকালে ও পরকালে দিক - এই প্রত্যাশা।

ধন্যবাদ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
135583
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : প্রত্যাশার জায়গাটা এরকম। দোয়া করবেন। যেন নিয়তট সহিহ রেখে লিখতে পারি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৯
136299
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ভাই ...ফেইসবুকে পেলে উপকৃত হতাম।

১৬
183441
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
নূর আল আমিন লিখেছেন : যাযাকাল্লাহ খাইরান
১৭
183451
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে যাযাকাল্লাহ খাইর। ভাল থাকুন।
১৮
183475
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাল লাগল৷ এতে কলম ঘোরানোর যোগ্যতা নেই৷ সহমত থাকল৷
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
136049
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : কেন ভাই। আপনার সেই যোগ্যতা রয়েছে। লিখুন। লোকমান ভাইর মত করে বলূন আদর্শ আমার সমালোচনা করার অধিকার আমার।
১৯
183694
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:০৬
ভিশু লিখেছেন : কথাটি শুনে অনেক ইসলামী দল মাইণ্ড করলেও এটাই বাস্তব সত্য যে, বাংলাদেশের সত্যিকারের এবং মূলধারার ইসলামী আন্দোলন বলতে জামায়াতকেই বুঝায়! তাই তো এটিকে নিয়ে ইসলাম-বিরোধীদের ঘুম নেই! এর নাম-কর্মপদ্ধতিসহ অনেক যুগোপযোগী সংস্কার প্রয়োজন - তবে আবার এক্ষেত্রে অতিরিক্ত উদারপন্থীদের বাড়াবাড়ির একটা ব্যাপার সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার বলে মনে করি! বিভিন্ন ফর্মে/টায়ারে উপদেষ্টা মণ্ডলী তো অবশ্যই থাকা উচিত - তাঁদের মতামত/পরামর্শের এক্সেপ্টেন্সেও ভ্যারিয়েশন থাকবে অবশ্য! তবে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিনিয়ত রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন! সময় চলে যাচ্ছে! নতুনদের জন্য একটিদিনও কিন্তু অনেককিছু! ধন্যবাদ সুন্দর সুচনা-পরিবেশনাটির জন্য!
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
135840
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : তবে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিনিয়ত রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন! সময় চলে যাচ্ছে! নতুনদের জন্য একটিদিনও কিন্তু অনেককিছু! ধন্যবাদ সুন্দর সুচনা-পরিবেশনাটির জন্য!
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
136051
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : তবে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিনিয়ত রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন!
সহমত।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
136052
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : তবে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিনিয়ত রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন!
সহমত।
২০
183853
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ‘জামায়াতে ইসলামীতে কিছু কিছু বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন’ এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই। গঠনমূলক সমালোচনাও খুবই উপকারী। কিন্তু বর্তমানে যে পদ্ধতিতে জামায়াতকে সংস্কার করার জন্য তার কিছু শুভাকাঙ্খি উঠে পড়ে লেগেছেন, তারা যদি জামায়াতে ইসলামী তথা ইসলামী আন্দোলের সত্যিকার শুভাকাঙ্খি (তিনি ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক গোলাম আযম, কামারুজ্জামান বা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীই হোন না কেন) হয়ে থাকেন তাহলে তাদের জন্য দুয়েকটি পরামর্শ -
১। যেহেতু আপনারা অবগত আছেন যে, জামায়াতে ইসলামী একটি শুরায়ী নেজাম দ্বারা পরিচালিত। শূরার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ। সূতরাং আপনাদের উচিৎ হবে সমস্ত পরামর্শ ’খোলা চিঠি’ আকারে না হয়ে মজলিশে শুরা বা কেন্দ্রে উপস্থাপন করা। শূরা এবং কর্ম পরিষদ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে যথাযত সিদ্ধান গ্রহণপূর্বক অধঃস্তন সংগঠনে নির্দেশ পাঠালেই তা খুব সহযে বাস্তবায়ন সম্ভব।
২। যদি বলেন, বর্তমানে জামায়াতের বড় নেতৃবৃন্দ কারাবন্দী এবং বাকীরা অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন, এখন ব্লগ আর পত্র পত্রিকা ছাড়া আমাদের বলার যায়াগা কোথায়? যদি তা বুঝে থাকেন তাহলে-
৩। এটাও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, ব্লগ এবং পত্র পত্রিকা এসব পরমর্শের কোন কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারবেন। পারবে শুধু মাত্র আপনার প্রিয় সংগঠনটিতে ফাটল ধরাতে।
৪। অত্র অর্টিক্যালে উল্লিখিত জনৈক উচু নেতার মন্তব্য 'বাড়িতে মুর্দা রেখে কোন বিয়ের আলাপ করা যায় না' অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং বাস্তব মন্তব্য বলে আমি মনে করি। কারণ, জামায়াতে ইসলামী তথা ইসলামী ইন্দোলনের এমন বিপদসংকুল মুহুর্তে দলে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, এমন কর্মকান্ড মোটেই কাঙ্খিত নয়।
৫। তাই বলবো,বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু’। এখন আপনারা ভেবে দেখতে পারেন এসব কর্মকান্ড কী প্রমাণ করে।
৬। একটু ভাবুন! জনাব কামারুজ্জান আর ব্যারিস্টার আব্দুররাজ্জাক সাহেব আগে কোথায় ছিলেন? তাঁদের আন্তরিকতা এবং নিয়্যাতের উপর কোন হামলা না করেই বলতে হয় এখানে ’ডালমে কুচ কালা হ্যয়’ অথবা তাঁরা কোন কিছুর শিকার হয়েছিলেন, আমি মনে করি।
৭। কোন কোন বন্ধু জামায়াতের নাম পরিবর্তন করাকেই ’সর্বরোগের ঔষধ’ মনে করে অন-লাইন আন্দোলন চালাচ্ছেন। বিষয়টি একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি আমি। ইসলামের বিরুদ্ধচারণকারীরা নাম বা একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের বিরোধীতা করেন না, তা কে না জানেন? তবে নিষিদ্ধ অথবা মূল মূলধারার কৌশলমূলক যেকোন সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে কোন সমস্যা নেই।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
136197
আবু সাইফ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ মোহাম্মদ লোকমান ভাই,
জামায়াতের কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বমুলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

পোস্ট যাঁর, আপনার কথার জবাব দেয়া তাঁরই দেয়া উত্তম!

তবে আপনার বলা কিছু বিষয়ে আমার কথাও এখানে জুড়ে দিলে বেমানান হবেনা মনে হয়-
(১)জামায়াতে ইসলামীর শুরায় কর্ম/নির্বাহী পরিষদের প্রস্তাব পাশ করানোর প্রক্রিয়া কাছে থেকে দেখার/জামার সুযোগ হয়েছে এবং
নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষিত মানুষের দুটি ভিন্ন ভিন্ন সভায় একই বিষয়ে সম্পুর্ণ বিপরীত প্রস্তাব পেশ, আলোচনা ও অধিকাংশের মতে পাশ করানোর অভিজ্ঞতা দিয়ে জামায়াতের শুরায়ী নেজাম বুঝেছি!
যে কারণে বিশেষজ্ঞ তৈরীর জায়গাটা দুর্বলই রয়ে গেছে!
এর বেশী বলতে চাইনা!
**
বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু’, ’ডালমে কুচ কালা হ্যয়’, এসব কর্মকান্ড কী প্রমাণ করে,.. এসব কথায় কী বোঝাতে চেয়েছেন বুঝিনি!
সোজাসুজি যা বোঝায় তা বুঝলে তো সেই পূরণো কাহিনীই রয়ে যায়- গবেষণা/আলোচনার প্রয়োজন পড়েনা!
যেমনটা বলেই ফেলেছেন-
৭। কোন কোন বন্ধু জামায়াতের নাম পরিবর্তন করাকেই ’সর্বরোগের ঔষধ’ মনে করে অন-লাইন আন্দোলন চালাচ্ছেন। বিষয়টি একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি আমি।

**

আমার মনে হয়/প্রস্তাব-
(মোহাম্মদ লোকমান ও ইবনে আহমাদ)
আপনারা দুজনে স্কাইপ/ফেবুতে আলোচনা/বিতর্ক করতে পারেন
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২১
136293
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : বড়ভাই মাইন্ড করবেননা।আপনি অনেক সিনিয়র ও সম্মানীয়। যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই আপনার প্রত্যেকটি পয়েন্টের উত্তর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখায় দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনার দৃষ্টি ভঙ্গীর বিপক্ষে বলার মত আরো অনেকগুলো ভাল যুক্তি আছে।
---------
১.শুরায়ী নেজামের ব্যাখ্যার দাবী রাখে। শুরায়ী নেজামে যদি আপনি মনোনয়নের মাধ্যমে কাংখিতদের প্রথমত ঢুকিয়ে পরবর্তীতে তাদেরকে ভোটদানে উৎসাহিত করে টেকনিক্যালী জিতিয়ে আনা হয় তবে সেটা শুরায়ী নেজাম থাকেনা। এটা পকেট শুরায়ী নেজাম। ** বয়স এখনো খুব বেশী নয় বিধায় কঠিন করে বলার অভ্যাস আছে আমার।আলহামদুলিল্লাহ এখন কিছুটা ধীরস্থির হচ্ছি।নেটে অনেক দ্বীনি ভাই বোন ইনবক্স করে সহযোগিতা করেন। অনেকে ফোন করেন** আপনি যেভাবে সংগঠনের কল্যান এর কথা চিন্তা করে বলেছেন ঠিক তেমনি অনলাইনে এইসব বিষয় অনন্যেপায় হয়ে শুরায়ী নেজাম সমাধান করবেনা বিধায় আন্দোলনের অন্য দায়িত্বশীলদের গোচরীভূত করার জন্যে আমার বা আরো অনেকের নিরন্তর পথচলা । আমাদের ভরসা ছিল আল্লাহ ও সংগঠনের হবু/ফিউচার বড় নেতারা যাতে তারা ঠিক জায়গায় গেলে একটা অর্থবহ পরিবর্তন হয়। আমি আপনাকে অনেকগুলো ময়দানের স্যাম্পল দিতে পারব। আপনি যখন দেশে এসেছিলেন আমি আপনার সাথে আলোচনায় আগ্রহী ছিলাম। কোন কারনে হয়ত হয়নি।

টেষ্ট কেইস হিসেবে আপনি সংগঠন সম্পর্কিত বিভিন্ন লেখা কালেক্ট করে শুরায়ী নেজামের কাছে পাঠাতে পারেন। এবং আপনার অভিজ্ঞতাটা বর্ননা করতে পারেন।


আমি পারসোনালী জামায়াতকে আমার আপনার বা জামায়াতের মনে করিনা। আমি মনে করি জামায়াত উম্মাহর সম্পদ। আপনি যেহেতু ইসলামী আদর্শ নিয়ে কাজ করবেন সুতরাং ইসলাম মনস্ক সবার জামাতকে নিয়ে সমালোচনার অধিকার আছে। যেহেতু ইসলামকে আপনি নিয়েছেন। সেহেতু ইসলাম ভক্ত সবাই ইসলামকে নিয়ে যা হচ্ছে সবগুলোর উপর চোখ রাখবে এবং এটাই স্বাভাবিক। একজন সাবেক/বর্তমান দায়িত্বশীল হিসেবে আপনার এই বিষয়টা ক্লিয়ার যে জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং আমরা কেহই আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত নই। যে কুরআন হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে অধিক যুক্তিপূর্ন কথা বলে আসলেই তার অথেনটিকেশান বেশী। ইসলামী আন্দোলন সর্বহারা পার্টি নয়।বাংলাদেশের আইন পক্ষপাতদুষ্ট না হলে জামায়াতের সকল প্রোগ্রাম লাইভ টেলিকাস্টেও কোন সমস্যা নেই। কুরআন হাদীস ওপেন । সুতরাং ইসলামী আন্দোলনে কোন গোপন কিছু নেই। কিছু গোপন করছেন মানে আপনি দোষ লুকাতে চাইছেন। হযরত সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী রঃ এর মতে এটা হল কর্মীয় বৈসাদৃশ্য। এটা স্পষ্টতই সত্য যে আপনি যে বিষয়ে পেরেশান হয়ে সংগঠন ক্ষতির আশংকা থেকে সামথিং গোপন করতে চাচ্ছেন আর আমি বা অনেকেই সেই কর্মী বৈসাদৃশ্য ইসলামের নামে জায়েজ করে ফেলার নির্ভরযোগ্য আশংকা থেকে অনলাইনে একটিভ। কারন এধারা অব্যাহত থাকলে কর্মীয় বৈসাদৃশ্য গুলোই ইসলামের অংশ হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকট হয়ে উঠবে। এই জায়গাটাতে জামায়াতের স্বার্থ দেখার চেয়ে উম্মাহর স্বার্থ দেখা জরুরী। মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় যদি জামায়াতের বিরুদ্ধে যায় তাহলে আমার মত "ইন্নাস সালাতি ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।" শপথ পড়াদের এমন কি কারন ঘটেছে যে চুপ থাকবে। কারন আপনি কাউকে কাউকে পদ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারবেন । আপনার ভিতরে কর্মীবৈসাদৃশ্য লোপ হলেই সমালোচনা থেকে আপনাকে রেহাই দেয়া যেতে পারে। আপনার এটা জানা আছে যে সমালোচনা পরামশৃ এনালাইসস করার জন্যে কেন্দ্রীয় কোন বিভাগ নেই। শুধু তাই নয় জনগনের মনে করা কোন ইসলামী দল বা প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শক্তি ইসলাম এর মৌলিক স্ট্রাকচার থেকে বিচ্যুত হলে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার জীবনী সহ অসংখ্য মুজাদ্দেদের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরা , বক্তব্য দেয়া আন্দোলন করা বৈধ নয় শুধু ফরজ।

২.৩ ব্লগ ফেবু অনলাইন কোন কিছু করতে পারবেনা সত্য তবে একটা কাজ করতে পারবে ইসলাম মনস্ক একটি সংখ্যার কাছে তথ্য পৌছিয়ে দিতে পারবে। আগামী দিনের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে সে তথ্যটি পৌছিয়ে দিচ্ছে। ময়দানের অসংখ্য দায়িত্বশীল সংগঠনের চ্যানেলের বাইরে থেকে ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন নিয়ে কথা শুনছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে সাবেক ভাইদের কথাও শুনছে। যিনি ওয়ার্ড থানা সভাপতি (তার ময়দান পরিচালনা করার সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি এসে পাশে বসে থাকেননা) তিনি অধিকতর ভাল যুক্তিটি ইমপ্লিমেন্ট করার সুযোগ পাচ্ছে। আর আপনি ফাটল হিসেবে নিবেন কেন? যারাই ইসলামের কথা বলছে সেখানেই ইসলাম উপকৃত হচ্ছে। যে যে ব্যানারে করুকনা কেন।ইসলাম প্রায়োরিটি পেলে কাজের জন্যে দশহাজার ব্যানার করতেও কোন প্রোবলেম আছে বলে মনে করার কোন কারন আছে? ঈমান হবে আল্লাহ ও রাসুলের সাঃ এর উপর। ঈমান যদি হয় দল, দলীয় নেতা , দলের সাহিত্য ও দৃষ্টিভঙ্গী তবে তো ভীষন ঝামেলা। জামাত দলটি কিছু আল্লাহ ওয়ালা যোগ্য লোক শুরু করেছেন। এই যুগেও আল্লাহ ওয়ালা যোগ্য লোক আছেন। যুগে যুগে নাতিরা পৃথিবী চালানোর জন্যে যোগ্য হয়ে পড়ে। আপনার স্কুল জীবনের সাথে বর্তমান ছাত্রদের স্কুল জীবনে অনেক তফাত। ব্লগার ভিশু একটা চমৎকার কথা বলেছেন। রিএডজাস্টমেন্ট। অর্থাৎ টিউনিং করে নেয়া। অন্ধ আনুগত্য না করা কনসেপ্টটিকে প্রকট করে দেয়া গেলে লেটা চুকে যাবে। আমার কাজ হল ইনফরমেশান দেয়া। আপনি কেন মনে করছেনযে আমাদের কথা গুলো ব্যক্তিগত কন্টাক্টে পাঠচক্রে আলোচিত হয়না। ঘোষনা দিয়ে হয়না তবে বিভিন্ন ভাবে হচ্ছে। কর্মীদের যখন সচেতন করে দেয়া যায় তখন নেতারা প্রস্তুতি না নিয়ে পড়ালেখা না করে সংগঠন চালানো এবং কর্মীয় বৈসাদৃশ্য দীঘদিন ময়দানে ঠিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বিরাট অভ্যন্তরীন প্রেসারের মুখোমুখি হবেন।

৪. বাড়িতে মুর্দা রেখে বিয়ের কথা নয় মানে উনি কিংকর্তব্যবিমুঢ়। এটা কি কুরআন সম্মত? প্রয়োজনে বাড়িতে মুর্দা রেখে ১০০টা বিয়ে হবে। ক্যামোপ্লেজ তৈরীর উদাহরন আছে। বাথরুম বেশী তৈরীর নিদেশ ছিল একটি যুদ্ধে। ম্যাচ বের করে আনতে হয় ক্রিজে থেকে। রাসুল সাঃ এর হায়াতে জিন্দেগীতে কয়টা যুদ্ধ হয়েছিল? আপনি পার্টির জন্যে আন্দোলন করছেন কিন্তু জনগনের জন্যে করছেননা। রাসুল সাঃ এর আন্দোলনের টেকনিক ছিল মানুষের সমস্যা সমাধানের নিমিত্ত। যারা সংগঠন নিয়ে লেখে থাকেন তাদের কয় জনের সাথে আপনি কন্টাক্ট করেছেন? কয় জনের কথা জানেন? সংগঠন সম্পর্কে যারা লিখেন তাদের নিয়ে আপনার কোন সার্ভে আছে? আপনি কতটুকু সংগঠন দেখেছেন? গোপন ময়দান? ওপেন সিক্রেট ময়দান? ওপেন ময়দান? আমাদের জনপ্রতিনিধি হয় এমন ময়দান? আমাদের প্রতিষ্ঠান? আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা? কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের ডিলিং করা? এভাবে নিজেকে প্রশ্ন করে জেনে নিন আপনি পুরো সংগঠনের কতটুকু ক্লিয়ার.... আর মুখস্থ ও ভাসা ভাসা বলে থাকলে কিছু বলার নেই। মানের বলে ময়দান যাদের বিবেচনা করে তাদের কর্মী বৈসাদৃশ্যের কারনে কয়জন কর্মীর চোখের পানি ফেলতে দেখেছেন? শিককাবার আর গ্রিল নানরুটির মত সুস্বাধু ইসলামী আন্দোলন নয়। হাতে গোনা যে কয়েকজন ইসলামী আমলাতন্ত্রকে উপেক্ষা করে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে কলম ধরেছেন তাদের খাটো করে দেখার কোন সুযোগ আছে কি? আশা করি কোন পক্ষই এদের পেট্রো ডলার দেয়না। নিজের খেয়ে দেয়ে বনের মোষ তাড়ানো ছাড়া।
৫. মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামের স্বার্থে একটি মৌলিক কর্মী বৈসাদৃশ্যও মেনে নেয়া যায়না। মেনে নেয়া মানে আযাযীলের দোসর হওয়া।বিদেশের ময়দানে আছেন আলহামদুলিল্লাহ। আশা করি কমলালেবুটা খেয়েই কথা বলেছেন।
৬. রাজ্জাক ভাই কামারুজ্জামান ভাই নিজেদের ব্যাপারে বলতে পারবেন।
৭. মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শুধু একটাই কথা বলতে চাই। স্বাধীনতার বিরুধিতার সাথে যে দল জড়িত ছিল তাদের নাম দেখলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্বজনেরা আহত হয়।

বিষয়ভিত্তিক কথা বলার ইচ্ছা আছে। স্কাইপিতে সময় দিতে আগ্রহী।

উপস্থাপনায় আমার দুর্বলতা আছে। তাই ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিলাম।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
136598
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : @ ইবনে আহমাদ ভাই, আবু সাইফ ভাই, লোকমান বিন ইউসুফ ভাই এবং সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ; আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাক্বাতুহু।
আমার পরিচয় হচ্ছে- আমি ইসলামী আন্দোলনের মূলধারার সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মী মাত্র। যে কারণে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি হয়ে নয়,ইসলামী আন্দোলনের কল্যাণকামী হিসেবে সংগঠনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যেটা ভাল মনে করেছি সেটাই তুলে ধরেছি মাত্র, যেমনটি আপনারাও কল্যাণ কামনা করেই আপনাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করছেন। এ ক্ষেত্রে অন্যরা তাঁদের দাবী বা মতামতকে একমত্র গ্রহণযোগ্য এবং অনুসরন যোগ্য মনে করলেও আমি কিন্তু আমার বেলায় তা মনে করি না। আমার মতামত শুধুমাত্র প্রস্তাব। তা ইসলামী আন্দোলনের মূলধারার নেতা-কর্মীদের নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে আবার নাও হতে পারে। আমার মতামত গৃহীত না হলে আন্দোলন করারও কোন ইচ্ছে নেই। সূতরাং আমার বক্তব্যের বিপক্ষে অবস্থানকারী বন্ধুদের প্রতিও আমার সম্মান এবং ভালোবাসা রয়েছে,থাকবে। আমি সততার সাথে বিশ্বাস করি, আপনাদের মতামত আন্দোলনের জন্য কল্যাণকর প্রমানীত হতেও পারে, যেমনটি আমার বক্তব্যের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

গোপন ব্যালটে সভাপতি বা আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সেক্রেটারী হিসেবে সেই ব্যক্তিকেই মনোনীত করবেন, যাকে তিনি সবচেয়ে যোগ্য মনে করবেন। সংগঠন বাদ দেন, আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কোন একজন অফিসার নিয়োগ দিতে গিয়েও যোগ্যতা এবং আনুগত্যের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। একজন ইন্টারভিউতে এসেই আপনার প্রতিষ্টানের কল্যাণ কামনার নিয়্যতে অনেকগুলো দোষত্রুটি তুলে ধরার চেষ্টা করলে আপনি এ ব্যক্তিকে মোটেই নিয়োগ দেবেন না, যদিও আপনি আপনার প্রতিষ্ঠাণের কল্যাণের স্বার্থে সমালোচনা আশা করেন। আপনি এ যোগ্য ব্যক্তিটিকে হাতছাড়া করে মনে মনে বলবেন- ইনি প্রতিষ্ঠাণে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করার চেষ্টা করলেই আমরা উপকৃত হতাম।

“শুরায়ী নেজামের ব্যাখ্যার দাবী রাখে। শুরায়ী নেজামে যদি আপনি মনোনয়নের মাধ্যমে কাংখিতদের প্রথমত ঢুকিয়ে পরবর্তীতে তাদেরকে ভোটদানে উৎসাহিত করে টেকনিক্যালী জিতিয়ে আনা হয় তবে সেটা শুরায়ী নেজাম থাকেনা। এটা পকেট শুরায়ী নেজাম।” - এখানেই ভূল করা হচ্ছে আমার মনে হয়। কারণ নির্বাচনের পরই মনোনয়নের প্রশ্ন আসে, মনোনয়নের পর নির্বাচন নয়।

একটা বিষয় বলতেই হয় যে, যে সগঠনের নিয়ম পদ্ধতি ভালো লাগে না, দায়িত্বশীলদেরকে অবৈধ মনোনয়নের মাধ্যমে নিয়োগকৃত বলে বিশ্বাস করা হয়, এমনকি নামটিও পছন্দ নয়- এমন সংগঠনের পেছনে সময় ব্যয় না করে উন্নত সংগঠন খুঁজে নেয়া অথবা নতুন সংগঠন তৈরী করার অধিকার তো কেউ হরণ করেনি?

“** বয়স এখনো খুব বেশী নয় বিধায় কঠিন করে বলার অভ্যাস আছে আমার।????????????????” এটাই নি’আমতের শুকরিয়া!

ইমামের ভুল সংশোধনের জন্য নামাজে শামিল থাকা জরুরী। এটাকে অন্ধ আনুগত্য মনে করা হবে কেন? জামায়াতে ইসলামী তার কর্মীদের নিকট থেকে অন্ধ আনুগত্য আশা করে না।

আন্দোলনের জন্য কাজ করাকে ‘নিজের খেয়ে দেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’ হবে কেন?

“বিদেশের ময়দানে আছেন আলহামদুলিল্লাহ। আশা করি কমলালেবুটা খেয়েই কথা বলেছেন।” ????????? প্রবাসীরা কমলা লেবু নিজেরা না খেয়ে অন্যদেরকে খাওয়ানোর তালে আছে। প্রবাসী সংগঠন কমলা লেবুর মধ্যে ডুবে আছে মনে করার একমাত্র কারণ হলো - তাদের ব্যাপারে ভালো করে না জানা।

মুক্তি যোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে সহীদের একটি অংশ জামায়াতে ইসলামীর সাথেও আছে। আর মুক্তিযুদ্ধের নামে যাদেরকে ইসলাম বিদ্ধেষী বানানেো হয়েছে তারা ‘জামায়াতে ইসলামী’কে যে বোতলেই ঢোকানো হোক না কেন তারা ঠিকই চিনে নেবে। সুতরাং বোতল পরিবর্তনে আমি সে কারণেই খুব আগ্রহী নই।

@লোকমান বিন ইউসুপ : দেশেই আছি, চিটাগং আসলে দাওয়াত রহিল তখন কথা হবে ইনশা আল্লাহ্।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
136604
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : উপরের কমেন্টে ”মুক্তি যোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে সহীদের স্বজনদের একটি অংশ জামায়াতে ইসলামীর সাথেও আছে।”- পড়তে হবে। ধন্যবাদ।
১২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
142226
অনুরণন লিখেছেন : সন্দেহ নাই, নির্বাচন/মনোনয়ন একটা বড় সমস্যা। কিন্তু নির্বাচিত মানেই যে বেষ্ট সেটি কিন্তু না। কিন্তু জামায়াত/শিবিরে যেভাবে মনোনয়ন -> নির্বাচন হয়, তাতে দুইটা আউটকাম হওয়াই সম্ভব। সভাপতি যাকে দিয়ে কাজ এক্জিকিউট করবেন তার সাথে আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা জরুরী। আবার যদি চয়েসটা খারাপ হয়, তাহলে একেবারে খারাপ আউটকাম আসতে পারে।

এটা নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা/গবেষনা জরুরী। যারা লিডারশিপ/ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ছেন তারা আরও ভালোভাবে এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং কিছু অল্টারনেট আইডিয়া দিতে পারেন।
২১
183879
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : যারা লেখা লেখি করছেন সবার উদ্দেশ্য যে এক এমন নয়। তবে আমাদের হৃদয়ের সবটুকুন চাওয়া হচ্ছে আমাদের সবার প্রিয় সংগঠন তার লক্ষপানে যেন পৌছতে পারার মত অবস্থানে যায়। কথা বলার অধিকার সবার আছে। বলতে দেন। যা ভাল তা গ্রহনী হবে। ভয় যদি হয় ব্লগে বা পত্রিকায় লেখা লেখি করলে জামায়াত টুকরা হয়ে যাবে। তাহলে তো বিপদ আছে।
ভিশুর মন্তব্যটা আমার কাছে মনে হয়েছে সঠিক।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৮
136298
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ভাঙ্গনের ব্যাপারে উৎসাহী নই। তবে কমপ্লিমেন্টারী মুভমেন্ট টু একসিলিরেটেড মেইন স্ট্রিম মুভমেন্ট কনসেপ্ট এবং নন পলিটিকেল নলেজড বেসড সোশ্যাল ম্যূরাল মুভমেন্ট কে ইফিশিয়েন্ট মনে করি।
০৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
138850
শফিউর রহমান লিখেছেন : জনাব ইবনে আহমাদ ভাই। আমার মনে হয় না এটা লোকমান বিন ইউসুপ ভাইয়ের পয়েন্টেড কথাগুলোর জবাব হলো।
একটা কথা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই। তা হলো, অনেক সময় শয়তান আমাদের মধ্যে তাকাব্বরী পয়দা করে বিভ্রান্ত করে। শয়তান বোঝাতে চেষ্টা করে যে, তোর আমল-চিন্তা-চেতনাই শুধু বিশুদ্ধ। এমটিই হওয়া উচিৎ, তেমনটি নয়। ইত্যাদি। সাবধান থাকা উচিত আমাদের। আমার অত্যান্ত প্রিয় এক ভাইকে আমি দেখেছি এভাবে আক্রান্ত হতে। ধন্যবাদ।
২২
183959
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : আপনাদের লেখায় আমি কি কমেন্ট করবো? অনেক কিছু জানলাম, আমাকে পড়ার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক সালাম।
মুক্তচিন্তা,গতিশীলতা,নতুনত্বকে আলিঙ্গন করা,সময়কে ধারণ করা,আগামীর পরিকল্পনা করা,আপন জনশক্তিকে সময়ের সাহসী মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা - একটি গণমুখি চরিত্রের গণ সংগঠনের জন্য অনেক বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি। জামায়াতকে এই বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার কিনা, তা চিন্তা করার সময় তো এখনই-
২৩
184612
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
আবু আশফাক লিখেছেন : ইবনে আহমদ ভাইয়ের পোস্ট, মোহাম্মদ লোকমান ভাইয়ের কমেন্ট,লোকমান বিন ইউসুফ ভাইয়ের প্রতি কমেন্ট, ডাক্তার ভিশূ ভাইয়ের কমেন্ট ইত্যাদি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। পড়ে যে জিনিসটি আমার খুব ভালো লাগলো তা হলো- আমাদের মাঝে ইসলামী আন্দোলনের প্রকৃত সুহৃদ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে। এভাবে চলতে থাকলে ইসলামী আন্দোলন সঠিক পথে চলতে বাধ্য। শুধু একটিই অনুরোধ- এই কী-বোর্ড চালানো যেন কখনও বন্ধ না হয়। এমনকি ইবনে আহমদের ভাষায়- যখন পদ্মা-মেঘনা-যমুনার জামায়াতে হানিমুণ পিরিয়ড শুরু হয়।
২৪
185570
০২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমি গরিবের ব্লগ বাড়িতে যারা মন্তব্য এবং আনাগোনা করেছেন। তাদের সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ। জনাব আবুসাইফ, জনাব লোকমান, জনাব ইবনে ইঊসুফ (লোকমান বিন ইউসুফ) এরা আমাদের ব্লগ জগতের অকেটা বাতিঘর। আমি ব্যক্তিগত ভাবে উৎসাহিত এবং প্রেরণা পেয়ে থাকি।
জামায়াতের শুরায়ী নিজাম নিয়ে যে প্রশ্ন করা হয়েছে এবং জবাব দেয়া হয়েছে। সেগুলোর আলোকে কিছু কথা/ প্রস্তাব।
আগে বলে নিচ্ছি কথা বলা,মন্তব্য করা, অথবা সমালোচনা করার এখতিয়ার সবার আছে। থাকতে হবে। যে পরিবেশে এর চর্চা বন্ধ করা হয় বা কোন কারনে চাপিয়ে দেয়া হয় সেই সমাজ বা সংগঠন আগামীর পথচলার পাথেও সংগ্রহ করতে পারে না।স্থবির এবং কিছু সুবিধাভোগী মানুষের আড্ডায় পরিণত হয়ে যায়।
এক) শুরায়ী নিজাম বলতে আমরা কি বুঝি? এটার বাস্তব রুপায়ণ কি ভাবে হতে পারে? জামায়াতের যে পদ্ধতি রয়েছে, তার শরয়ী হাইসিয়াত (মর্যাদা) কী হতে পারে?
দুই) হযরত আবুবকর এবং হযরত ওমরের শুরাতে বয়সে যারা খুবই নবীন ছিলেন - তাদের নির্বাচন না মনোনয়ন ছিল? বর্তমানে এ দৃষ্টান্তের বাস্তবতা কি হতে পারে? না হলে তার কারন কি হতে পারে।
তিন) 'আহলুর রায়' বলতে কাদেরকে আমরা বুঝবো।রুকুন না অন্য কিছু?এই ক্ষেত্রে খিলাফত ও মুলকিয়াত বইটির সেই অংশ আবার পড়া যেতে পারে - যেখানে হযরত ওসমান (রাঃ) নির্বাচন প্রকৃয়া এবং হযরত আলী (রাঃ) অবস্থান।
চার) ব্যক্তি বড় না সংগঠন বড়। সংগঠন বড় না আদর্শ বড়। আদর্শের চাইতে পরিস্থিতির প্রভাব অথবা সাময়িক সুবিধা ইত্যাদির অবস্থান কী? আমি শরীয়ার ভিউ থেকে বলছি।
পাচ)নিশ্চিত তথ্য ভিত্তিক এটা দাবী করা যায়। প্রত্যেক নাবী (সাঃ) এর সময় সমসাময়িক সকল মা'রুফ বিষয়গুলো সেই সময়ের নাবীদের সুন্নাতে পরিণত হয়েছে। বিষয়টা খুবই জটিল। ইখতেলাফ রয়েছে। ইদানিং বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কোরাআনের 'নাস' এবং সুন্নার সরাসরি নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে ইজতেহাদ অথবা সমকালীন পরিবেশ এগুলো কিভাবে বিবেচনা করা হবে।
আমি প্রত্যাশা করি এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে মন্তব্য পাবো।
সকলকে আবারও মোবারকবাদ।
২৫
186184
০৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
শফিউর রহমান লিখেছেন : মুক্ত সমালোচনা, নাকি সংস্কারের আহ্বান?
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
138813
আবু সাইফ লিখেছেন : আমি মনে করি-
সমালোচনাও নয়, সংস্কারের আহ্বানও নয়-
বরং উন্মুক্ত আলোচনা....

এ আলোচনা থেকে অনেক কিছুরই দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে
০৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
139280
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি কি মনে করছেন।
কলা খাবেন। আগে জানার প্রয়োজন মনে হচ্ছে - কলাটা কোন গাছের এবং গাছের বয়স কত। তার পর হয়তো কলা খাবেন।
বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলে সবাই উপকৃত হবে। আপনি আমার পরিচিত হওয়াতে এমন মন্তব্য। আশা করি ক্ষমা করবেন।
২৬
186437
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৩১
অজানা পথিক লিখেছেন : জানলাম অনেক। ভালো বিশ্লেষন
২৭
191229
১২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
অনুরণন লিখেছেন : এই পর্ব যেদিন দিয়েছিলেন সেদিন পড়ে পরের পর্ব আর না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কি মনে করে আজকে আবার এসে বাকী পর্ব গুলো পড়লাম। ভাগ্যিস এসেছিলাম, নাহলে দুর্দান্ত কিছু লেখা মিস করে ফেলতাম।

এই পর্বে শুধু একটা তথ্যযোগ করি। যে চিঠির ভি্ত্তিতে কামরুজ্জামান সাহেবকে দোষারোপ করা হয়, সেটি আসলে উনার কি না এটা নিয়া আমার সন্দেহ আছে। মুল ইংলিশ লেখাটা চিঠিটি প্রকাশিত হবার অনেক আগেই আমি পড়েছি, লেখকের সাথে আমার কথাও হয়েছে, আমার কাছে কপিও আছে। উনি যদি বাংলায় অনুবাদ করেও থাকেন এবং সংগঠনের কাছে সেটি পাঠিয়েও থাকেন তাতে দোষের কিছু নেই। তবে মিডিয়ার কাছে যে ফাঁস করেছে তার কাছে সংগঠনের সংশোধনের থেকে মানুষজন কে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টাতেই বেশি আগ্রহ ছিল।
১২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
142229
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৮
191233
১২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি পড়েছেন এবং একটি তথ্য জানালেন তাতে আমাদের উপকার হল।আমি একমত আপনার সাথে।
২৯
191681
১৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : কেন জানি মনে হয়েছে পদ পদবীর প্রয়োজনটা বড়।আউট অব বক্স চিন্তা করার কোন সাহস - সঠিক সময়ে এই শ্রেণীর প্রিয় মানুষগুলো দেখাতে পারে না।
৩০
192182
১৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সাহসের যে জায়গাটা মানুষের মধ্যে তৈরী হয় তার জন্য যোগ্যতার সাথে সততার প্রশ্নটা খুবই জরুরী।
আমরা সৎ। কিন্তু কতটুকু সামাজিক যোগ্যতা তৈরী করেছি। এই গ্যাপটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই হবে না।
৩১
228277
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
ব১কলম লিখেছেন : হাতি কাদায় পড়লে চামচকিায়ও লাথি মারে
জামায়াতের বর্তমান দুর্দিনে অনেকই অনেক কথা বলছেন ।
সব দেখে আমার মনে পড়ছে সে সময়ের কথা যখন জামায়াত আরেকটা দুর্দিনে পড়েছিল, দেশে শুরু হয়েছিল 'মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা প্রশ্ন । তখন ও শুনেছিলাম সে সব কথা যা এখন শুনতেছি । তখন ও সে সব কথাবার্তার শানে নুযুল ছিল ছাত্র শিবিরের বিভক্তি আর মরহুম আবদুল জব্বারের নেতৃত্ব নতুন জামায়তে ইসলামী গঠন ।
বর্তমান আলোচনার উদ্দেশ্য্ও কি পূর্ববত?
৩২
230951
০৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভাই আপনি দেখি কমন মন্তব্য করছেন। আশা করি পড়ে মন্তব্য করেছেন। তাই মোবারকবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File