কি করা উচিত এবং কি করতে হবে ----

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৩১:৪৫ বিকাল

এক)

উচিত শব্দটি আইনের পরিভাষা। উচিত শব্দটি যখন ব্যবহার হয়, তখন সাথে সাথে অনুচিত কর্মের একটি তালিকা সামনে চলে আসে।মানুষের ফিতরাত এই দুটির একটি গ্রহন করতে বাধ্য। তবে অনুচিত কাজের দিকে ঝুঁকে থাকা - মানুষের বিবেক দিয়ে আটকাতে হয়।এই বিবেক এবং রুহের অবিরাম যুদ্ধবস্থা নিয়ে মানুষের চলাফেরা।রুহ এবং বিবেকের জয় পরাজয়ের মধ্যে রয়েছে উচিত আর অনুচিত কর্মের সম্পর্ক।আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় এই দুটি শক্তি (মানসিক) কাজ করে।তাই দেখা যায় মানুষ অনুচিত কাজ করেও তার জন্য যুক্তির আশ্রয় নেয়।সেটা তার জন্য স্বাভাবিক মনে করে। তা যতই মুনকার (হারাম অর্থে) কাজ হওউক না কেন।মা'রুফের প্রসংসা সবসময় - সব সমাজে একই হয়ে থাকে।

দুই)

বিবেককে কাজে লাগাতে হলে অবশ্য আমাদেরকে উচিত কাজগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।আর অনুচিত কজগুলো থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে অবাধ্য রুহকে লাগাম পরানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা করতে হবে।

রুহ আর বিবেকের মধ্যে ভারসাম্য আনতে যে সমস্ত কাজ করতে হয় তার বাংলায় নাম হল দোলন।আমি মুসলিম হলে আমাকে বলতে হবে এর নাম ইসলামী আন্দোলন।

কোরআনের পরিভাষা হল 'আল জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'। তবে আরবীতে কয়েকটি পরিভাষায় পরিচিত। যেমন 'হারাকাতুল ইসলামীয়া'। আরব বিশ্বের ডানপন্থী পত্রিকাগুলোতে পৃথিবীর কোন ইসলামী আন্দোলনকে বুঝাবার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করে।তবে সেকুলার পন্থী পত্রিকাগুলোর ভাষা হয় ভিন্ন।কোথাও হয় হারাকাতুল জিহাদ। কোথাও লিখা হয় - হারাকাতুল ইরহাব (সন্ত্রাসী দল)। আবার কোথাও লিখে দেয় হিজবুল মুতাশাদ্দীদীন বা উসুলিয়া (মৌলবাদি দল) ইত্যাদি।

তিন)

তবে বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন বলতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ই বুঝানো হয়। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও এই শব্দটি পরহেজ করতো আমাদের মিডিয়া সম্প্রদায়। বর্তমানে এই চিত্রের পরিবর্তন হয়েছে।

ইখওয়ানে প্রাক্তন মুর্শীদেআম (আমীরে জামায়াত) আল্লামা তিলমিসানী (রঃ) বলেছেন - ইসলামী আন্দোলন হল ‌'মুমীন জীবনের গর্বের চাদর'। যে মু'মীন ইসলামী আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারলো না - তার মু'মীন জীবনে গর্ব করার কোন বিষয় আর থাকে না। তিলমিসানীর এই বক্তব্যের সমর্থনে একটি হাদীস পাই। রাসূল (সাঃ) বলেছেন - 'যার মধ্যে শাহাদাতের তামান্না (ইচ্ছা) থাকে না, সে মুনাফিক হয়ে মারা যাক,তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।'

চার)

এজন্য সমাজের উচিত আর অনুচিত সকল কর্মকান্ডের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন হল ব্যরোমিটার।

সমাজে ইনসাফ কায়েম করা।

সমতা ভিত্তিক একটি আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

সকল শ্রেণীর অধিকার নিশ্চিত করা।

মুসলিম অমুসলিম সকল নাগরিকের মৌলিক প্রাপ্যতার (আ'দল) আদায় করা।

জেন্ডার ইস্যু নামের কোন বৈষম্য না থাকা।এই সব কিছুর প্রচেষ্টার নাম হল ইসলামী আন্দোলন।

এজন্য ইসলামী আন্দোলন হল - ব্যক্তি,সমাজ,গোত্র,এবং অধিকার হারা গণমানুষের ভরসার একমাত্র জায়গা।সমাজের প্রতিটি নাগরিক তার হিস্সা পেতে জন্মগত ভাবে মওরুসী (আল্লাহর পক্ষ থেকে অধিকারপ্রাপ্ত)।

অবশ্য সেই সমাজটা হতে হবে কুরআন,সুন্নাহ বিম্বিত সামাজ।ইসলামী আন্দোলন সেই কাংখিত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ই।

তাহলে সমস্যা কোথায়?

পাচঁ)

যে বর্ণনা দেয়া হল তার বাস্তবতা কোথা? আজ থেকে ১৪৩৫ বছর পূর্বে যে সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার রুপায়ন কি ২০১৪ সালে সম্ভব?

যারা এই কাজে অগ্রজ তাদের প্রস্তুতি কেমন?

সমাজের সকল অংশকে নিয়ে পথ চলার পাথেও কি আমাদের আছে?

কর্ম পদ্ধতি,কর্মসুচী,চিন্তা গবেষনা,বাস্তবায়নের বাঁধা সমুহের চিহ্নিতকরণ,পথ মাড়িয়ে মনজিলে পৌছার রসদ ইত্যাদির সর্বশেষ খবর কী?

বিষয়: বিবিধ

১১১১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

175620
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : ভালো লাগলো
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৩
128928
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি পড়েছেন এজন্য আমার ভাল লাগলো।
175625
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল মুসলমানকে সঠিক ইসলামের উপর ক্বায়েম থাকার তাওফিক দান করুন।
175735
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমীন। আল্লাহর তাওফিক না হলে কেউ ই হেদায়াত পেতে পারে না।
177286
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
আবু আশফাক লিখেছেন : সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
182006
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File