মানসকন্যার পিঠা ভাগ ও তোফায়েল সাহেবের আক্ষেপ না অভিমান!
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৩:৫০:২১ দুপুর
ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হল আওয়ামীলীগের। জাতীয় কমিটি ও করা হল। সংস্কারপন্থিরা আবারও ক্ষমাপ্রাপ্ত হলেন না গনতন্ত্রের মানসকন্যার আদালতে।নেত্রী তার কথা রেখেছেন। পুরস্কৃত হলেন হাইব্রিডখ্যাত আওয়ামীলীগরা।নেত্রীর কাছে তাদের জায়গা হয়েছে, বামপন্থি আর রামপন্থিদের।বর্তমান নতুন কমিটিতে নাস্তিক আর মুরতাদদের ই পদ পদবী বেড়েছে আগের চাইতে অনেক বেশী।আমরা আমজনতার এই বিষয়ে কথা বলার অধিকার মোটেই নেই।
অবশ্য আওয়ামীলীগের বর্তমান নেত্রীর এটা ইচ্ছা।দলে এবং সরকারে তার ইচ্ছাই হল চুড়ান্ত।এটা গনতন্ত্রের সাথে না মিললেও কিছু প্রতারক শিক্ষিত ব্যক্তির কাছে তিনি গনতন্ত্রের মানষকন্যা।গনতন্ত্রের জন্য তিনি অবশ্য পুজনীয় কিছু হলূদ সাংবাদিক পত্রিকা আর টিভিতে।
যদিও গনতন্ত্রের মানসকন্যার কাছে নুন্যতম গনতন্ত্র,মানবিকতা,শ্রদ্ধাবোধের কোন বালাই নেই।তার পরও তিনি জাতির পিতার কন্যা।অতএব তিনি গনতন্ত্র ও শান্তির জননী।
বর্তমান আওয়ামীলীগে কে কত বড় নেত্রীর চাটুকার।
কে কত বড় বাকশালী পরিবার ও ফ্যসিষ্ট শাসনের পক্ষে উচুগলায় গলাবাজি করতে পারেন।
চোখ,মুখ, বিবেক বন্ধ করে প্রসংসা করতেই হবে। তাহলে তারা দলীয় হালুয়া (পদ পদবী) বন্টনে গনতন্ত্রের মানসকন্যার নেক নযর পাবেন এবং পেয়েছেন।
এই মহান কর্মে (চাটুকারীতা,মিথ্যার বেসাতি) আজকের বামপন্থিরা সবার শীর্ষে।তারা নেত্রীর পিঠা ভাগের অংশিদার হতে পেরেছেন।
তোফায়েল সাহেব বলেছেন আমরা এখন কমিনিষ্ট লেলিনের নেতৃত্বে তার কর্মী হয়ে কাজ করবো। তোফায়েল সাহেব আপনার সহ আপনারা যারা সিনিয়র তাদের আসল অযোগ্যতাটা বুঝার প্রয়োজন রয়েছে। কমিনিষ্ট লেলিন সাহেব যে কাজটি করেছেন তাতো আপনি সহ আপনার সহযোগীরা (রেট) আমু,আব্দুল জলীলরা দেখাতে পেরেছেন কি?
গনতন্ত্রের মানসকন্যার মনকাড়বেন কিভাবে?
কমিনিষ্ট লেলিন তো কাবিতা লিখেছেন,নেত্রীকে মা দুর্গার সাথে তুলনা করে লম্বা কবিতা লিখেছেন। আপনারা কি পেরেছেন?
আপনার সাথী মাননীয় প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান সাহেব ৩৮ মিনিটের বক্তৃতায় মোট ২৮ বার গনতন্ত্রের মানসকন্যার নাম দেশনেত্রী বলে এই বুড়ো বয়সে পরিক্ষা দিয়েছিলেন। তার পর তিনি গনতন্ত্রের মানসকন্যার দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন। এর পর তাকে পুরস্কার হিসাবে প্রেসিডেন্টের পাপেট হাতে পেয়েছেন।দুষ্ট সাংবাদিকরা তখন জাতীয় পত্রিকায় (আমাদের সময়) ব্যনার হেডলাইন দিয়েছিল,আনুগত্যের পুরস্কার পেলেন সিনিয়র নেতা জিল্লুর রহমান। তাই বলি আপনাদের শিক্ষা নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
কমিনিষ্টদের মত করে গনতন্ত্রের মানসকন্যা ও তার পরিবারের অবিরত চাটুকারীতা করতে পারলে চার বছর পর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আপনাদের ভাগ্যে কিছু পিঠা জুঠতো। কি করবেন যে কর্মটি আপনারা পারেন না তা অন্যরা পারলে অভিমান করবেন কেন? আপনাদের জন্য তো হজম কমিটি আছেই! মহান উপদেষ্টা পরিষদ।নেত্রী সেখানে জায়গা দিয়েছেন এটা কম কিসের। তিনি গনতন্ত্রের মানকন্যা। তিনি যা ভাববেন, যা করবেন, যে ভাবে চালাবেন সেটাইতো গনতন্ত্র। নেত্রীর বাহিরে কি কোন গনতন্ত্র আছে।
তোফায়েল, আব্দুল জলীল রাই বেকুব। বুদ্ধির দৌড়ে নাস্তিক মতিয়া আর নুহ লেলিনারা ই এগিয়ে আছেন।ক্ষমতার হালূয়া রুটিতো তাদের ভাগ্যে বেশী পড়াই উচিত?
আপনারা কি বলেন।
বিষয়: বিবিধ
১২২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন