প্লিজ - রবিন্দ্র শিল্পী মিতা হককে আরেক তাসলিমা বানাবেন না

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১১ আগস্ট, ২০১৩, ০২:২৩:২৫ রাত

জন্ম হউক যথা তথা - কর্ম হউক ভালো। আবহ বাংলার এই প্রবাদের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে ৭১ টিভিতে। তবে তা শুদ্ধভাবে নয় বরং তা ডিজিটাল কায়দায়। ডিজিটাল সাংবাদিক জগতের অহংকার জনাব মোজাম্মেল হক বাবুকে এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ৭১ টিভির টকশোতে রবিন্দ্র শিল্পী মিতা হকের নতুন পরিচয় পেয়ে আমি যার পর নাই আনন্দিত।

বলা যায় এবার ঈদে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটা হল ৭১ টিভির শ্রেষ্ঠ উপরহার। যাকে বলা যায় জাতীর সাথে বছর সেরা ডিজিটাল তামাসা।

আশা করি জাতীর পরিচয় সংকট নিয়ে আর কোন সমস্যা রইল না। যারা নিজেদেরকে খাটি বাঙ্গালী মনে করেন, তাদের জন্য মিতা হক হতে পারেন নতুন ডিজিটাল তাসলিমা নাসরিন।

এই রবিন্দ্র সংগীত শিল্পী তার আসল পরিচয় প্রকাশ করাতে আমরা বড়ই আনন্দিত। আশা করি বাংলাদেশের মানুষ আরেক খাটি বাঙ্গালী প্রতিভা পেল। এজন্য ধন্য হলাম আমরা জাতি হিসাবে। ভারতীয় দুতাবাস,চ্যনেল আই এবং প্রথম আলো গ্রুপ এতদিন যে অর্থ বিনিয়োগ করেছিল। আজ চমৎকার সময়ে কাজে লাগলো। এই মিতা হক ছিলেন চ্যনেল আইয়ের প্রথম পছন্দের রবিন্দ্র শিল্পী। আর প্রথম আলো গ্রুপের একজন নিয়মিত অতিথি লেখক।আরো অনেক খবর আছে।যা লিখা যাবে না।

যেহেতু ১০০% বাঙ্গালী নারীর প্রতীক হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান, তাই পাঠক মিতা হককে নিয়ে যা শুরু হয়েছে -

অবশ্য এই গুনী শিল্পীর জন্য কিছু পদকের ব্যবস্থা করার চিন্তা শুরু করেছেন কলিকাতার সুশীল সমাজ। আবার আমাদের দেশের সাদা চামড়ার (দুতাবাসের) লিগাল এডভাইজারা এই মহান শিল্পীর জন্য আগাম কিছু ভিসার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা শুরু করেছেন। জার্মান ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে নিয়োগের কাগজপত্রের গোছগাছ শুরু হয়েছে।

আর বাংলাদেশের সুশীল সমাজ টকশো,কলাম,মানব বন্ধন,বিবৃতি ইত্যাদির পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অবশ্য মওসুমী নারীবাদী সংগঠনগুলো এবার কোমর বেধে নামবে। কারন এতে নগদ নারায়ন ও হাতে আসবে প্রচুর।

সবশেষে বলবো দেশের ইসলাম পন্থীদেরকে,

মেহেরবানী করে আপনারা আরেক জন তাসলিমার জন্ম দিবেন না প্লিজ। যদি কিছু করার থাকে বা করতে হয়, তাহলে

৭১ টিভির কতৃপক্ষকে বলূন। ৭১ টিভির মত যে সমস্ত টিভি জাতির মৌলিক বোধ বিশ্বাসের বিপরীত অবস্থান গ্রহন করেছে। তাদেরকে নুন্যতম সাংবাদিকতার এথিক্স মেনে চলার জন্য বাধ্য করুন।

তাহলে এরকম সুযোগ সন্ধানী মিতা হকের বা তাসলীমার মত সমাজের আগাছার জন্ম হবে না।

বাংলাদেশের আলেম সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মিডিয়া হাউসগুলোর মালিক পক্ষকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেয়, তাহলে সব বামপন্থী,রামপন্থী সাংবাদিকরা এতিম হয়ে মুফিদুল ইসলামের লম্বা লাইনে দাড়াতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File