সরকার বনাম আদালতের কুতকুতি খেলা (রম্য)
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০১ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:০৯:২৩ সন্ধ্যা
কুতকুতি দিয়ে হাসানো এটা প্রাচীন ও সর্বজনবিদীত একটি মজার বিষয়।জীবনে অসংখ্যবার হয়তো কুতকুতি দিয়েছেন বা খেয়েছেন।আমি নিশ্চিত নিজের আপনজন থেকে শুরু করে সবার সাথে এই নির্দোষ ক্রিড়ার বিনোদন করা হয়েছে সবার জীবনে। এটাতে দোষের কিছু নাই। কেই মাইন্ড ও করেন না।
কিন্তু যে কুতকুতিতে সমস্যা হয়, তা হল - যখন অসম সম্পর্কের মধ্যে হয়ে থাকে। উচু নিচুর পার্থ্যক্য করার জন্য এই খেলা খেলেন নষ্ট পাবলিকরা।কৃত্রিম ফরমালিন মার্কা কুতকুতি দিয়ে হাসাবার চেষ্ট করলে বিপরীত হয়। না হেসে বরং বেছকি দেয়।হুংকার ছাড়ে।জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল রায়টি সম্পর্কে জনগণ আদালতকে বেছকি দেবে আমি নিশ্চিত।
সমাজের বিবেকবান বলে যারা পরিচিত,সম্মানের তারা যখন কোন বালখিল্য আচরণ করেন তখন সমাজ তা গ্রহন করে না। সাধারণ মানুষ মানতে চায় না।কুতকুতি ছাড়াই তখন দর্শক হাসতে থাকে।
আমাদের আদালত পাড়ার মহান বিচারপতি মানুষগুলো ইদানিং জাতীর সাথে অতিরিক্ত কুতকুতি খেলা শুরু করেছেন।
হাসতে নেই মানা। তবে বেশী হাসলে তো পেটে সয়না। ভমি ভমি ভাব করে। এক সময় হার্টএটাকের সমুহ সম্ভাবনা থাকে।আবার পরপারের যাত্রা ঠিক করতে হয়।
আমাদের উচ্ছ আদালতের মানিক আর এনায়েত মিয়ারা যেভাবে জাতীর সংবেদনশীল অংশে কুতকুতি করছেন। তাতে গোটা জাতী কখন কাকে,কীভাবে ভমি করে,কাকে পাকড়াও করে একেবারে সিজ্জিনে পাঠিয়ে দেয় তা বুঝা মুশকিল।
জনগনের কুতকুতি সহ্য করার ক্ষমতা যেমন সরকারের নেই তেমন আদালত পাড়ার কারোর নেই।
জানতাম আদালত পাড়ার বাসিন্দারা একটু গম্ভীর প্রকৃতির হয়। যতদিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে বাছাই করা সব মানিকদেরকে একজায়গায় করা হয়েছে।জনগনের শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে আদালত পাড়ায় সব মানিক, এনায়েত সিনহা খায়রুলদের নিরাপদ বাসস্থান।একারনে ই হয়তো চলছে জাতীর সাথে এই কুতকুতির খেলা।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হল যাদের রিটের আবেদনে তারা এখনো সবাই তথাকথিত ইসলামী দলের নেতা।অবশ্য সরকারী (দরবারী) আলেম বা ইসলামের ভুয়া ঠিকাদার।
ইসলামের নামে এই মাজারী ভান্ডারীদের আবার ঠিকাদারী নিয়েছে দেশের নামকরা রামপন্থী বামপন্থী আদালতি এজেন্টবৃন্দ।এই ত্রিপক্ষীয় কুতকুতিতে জামায়াতের অবস্থা হয়েছে বেহাল। জামায়াত সাময়িক একটু বেকায়দায় পড়বে এটা ঠিক। কিন্তু এই সমস্ত ফরমায়েশী রায় জনগনের কাছে কোন প্রভাব ফেলবে না।এবং এটা শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলা যায় এই রায় জামায়াতের সামগ্রিক কাজে কোন প্রভাব ফেলবে না।বরং তাদের কাজের গতি আরো বাড়বে। জনগনের সাথে সম্পর্ক তৈরীতে আরো সহায়ক ভুমিকা রাখবে এই ভুল জাজমেন্ট।
তবে যে পেন্ডোরার বস্ক খুলে দিয়েছেন মহান আদালত সেটা বন্ধ করার সাধ্য তাদের নেই।যাদের নির্দেশে এই কর্মটি করেছেন তাদেরও ক্ষমতা নেই। তাই আরো বেশ কিছুদিন আদালতকেই কুতকুতির চর্চা করতে হবে।
জনগনের কাছে যেভাবে হাসির পাত্র হয়েছেন,যে খেলো রায়ের মাধ্যমে দেশের সাধারন মানুষের বোধ বিশ্বাসের বিপরীত অবস্থান গ্রহন করেছেন তাতে জনগন আদালত পাড়ার বাসিন্দাদের সাথে বাস্তবিকই যদি কুতকুতি খেলা শুরু করে দেয় তাহলে এর দ্বায় কারা নেবে। আমার তো মনে হয় ঈদের পর সেটাই শুরু হবে। আদালত ও লম্বা ছুটি শেষ করে আবার আসবে। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথা গিয়ে দাড়ায়।
তবে জামায়াতকে আপাদত নির্বাচন থেকে দুরে রাখার যে কুটকৌশল করা হয়েছে তা বুমেরাং হবে সরকারের জন্য। তখন এই ফরমায়েশীরা যাবেন কোথায়? সেটাই দেখার বিষয়।
বিষয়: বিবিধ
১২০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন