আমরা কি সেনা শাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি? কি বলেন?
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৪৭:৫০ বিকাল
গতকাল রাতে স্কাইপিতে আলাপ হচ্ছিল। তিনি একসময়ের লীগের ছাত্র নেতা। বর্তমানে তিনি লন্ডনে নিজের বাপের হোটেলের ম্যনেজার। রাজনীতির সাথে সম্পর্ক আছে। তবে প্রকাশ্যে নয়। আমার ছেলেবেলার বন্ধু। রাজনৈতিক মিত্র!
মাঝে মধ্যে স্কাইপিতে কথা হয়। স্বাভাবিক রাজনীতির প্রসঙ্গ আসে আমাদের আলোচনায়। গতকাল তিনি আমাকে জানালেন একটি তথ্য।
সেটাই শেয়ার করছি আপনাদেরকে।
আমার প্রশ্ন ছিল আপনারা তো নিজেরা এই বিচার, বিচারপতি,ট্রাইব্রুনাল,সহ সবকিছুই করলেন। এখন কেন বামপন্থিদেরকে দিয়ে শাহবাগে এই নাটক করছেন? এটা অনেকটা গ্রাম্য সেই প্রবাদের মত হল না যে, বিয়ের পাত্রীর মা, পাত্রের বাপ, আবার কাজীর দায়িত্বটাও নিলেন আপনারা? কি বলেন?
জবাবে আমার এই বন্ধু বললেন, আপেক্ষা করুন আরো চমক রয়েছে দেশের জনগনের জন্য। আগামী তিন থেকে চারমাসের মধ্যে ই আমারা আবার সেনা শাসনের মধ্যে যাচ্ছি। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত হল হয় আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয় নতুবা সেনা শাসন। এর বিকল্প নেই। বিকল্প চিন্তা করার সুযোগ ও নেই।
সেনা কতৃপক্ষ ক্ষমতা গ্রহন করেই আওয়ামীলীগের বাছাইকরা নেতৃত্বকে দেশের বাহিরে পাঠাবে। নির্বাচন করতে হলে আমাদের সাতে একটা ডিট (চুক্তি) করতে হবে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতার প্রয়োজন হলে তা হবে। ক্ষমতায় যেতে হবেই। এ নিয়ে দেনদরবার চলছে লন্ডনে। ১/১১ তে যিনি এ দায়ীত্ব পালন করেছিলেন তিনি সেই একই দায়ীত্ব পালন করছেন।
আমি জিজ্ঞেস করলাম ভাই, এটা কি বিএনপি বা জামায়াত মানবে? ছেড়ে দিবে মনে করছেন?
আমার বন্ধুটি বলল - সে রকম পরিবেশ তৈরীর জন্যই শাহবাগে এই গনজমায়েত।
আমি শোধালাম কেমন করে একটু খুলে বল?
ছাত্রলীগের একসময়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমার বন্ধু টি বলল - দেখ জামায়াতের এখন কি করার আছে। সাঈদির রায়টা হবে ফাসির। ট্রাইব্রুনালের আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জামায়াত মরন কামড় দেবার চেষ্টা করবে। এবং তাদের সিদ্ধান্ত ও এরকম। তাদের পীঠ দেয়ালে ঠেকেছে। শাহবাগে জড় হওয়া জনগনের সাথে জামায়াতের একটা রফা দফা হবে। বলতে পার সেই ২৮শে আক্টোবরের মত।
আমি বললাম বিএনপি কি বসে থাকবে?
আমার বন্ধুটি বলল। বিএনপির উপর যত ভরসা কমাবে জামায়াত, ততই তাদের মঙ্গল। বিএনপির বর্তমান যে অবস্থা তাতে ওরা রাজনীতির দর্শক গ্যলারিতে থাকবে। মুল লড়াই হবে আওয়ামীলীগ আর জামায়াতের।
আওয়ামীলীগের টার্গেট হল, যে করে ই হউক জামায়াতকে সহিংসতায় জড়ানো। দেখ না শাহবাগে ইসলাম ও সাধারণ জনগনের ধর্মীয় আবেগে হিট করছে। শাহবাগ থেকে মোহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে কুটুক্তি করা হয়েছে। আরো করা হবে। যাতে সাধারন জনগন ও কওমী মাদ্রাসার কিছু উৎসাহী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। আওয়ামীলীগ প্রমান করতে পারে যে, বাংলাদেশ জঙ্গি দেশ। এটা জামায়তের কাজ। তার পর তো কেল্লা ফতেহ।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এটা মিডিয়া দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হবে জামায়াত হল একটি জঙ্গি সংগঠন। এই লক্ষ্যে কাজ করছে ইন্ডিয়ান লবী। লন্ডনে এটা শুরু হয়েছে সেই স্কাইপি কেলেংকারীর পর থেকে।
শাহবাগে যে সমস্ত বামপন্থিরা চিল্লা পাল্লা করছে এরা হল আওয়ামীলীগের মওসুমী কামলা। এদেরকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন জামায়াত বিএনপির জন্য কামলা খাটে।
আমি বললাম বন্ধু তুমি যেভাবে ছক আকলে ঠিক সে ভাবে যদি! আগামীতে দেশের রাজনীতি হয়, তাহলে তুমাকে আগাম অভিনন্দন।
তবে বন্ধু তোমাকে বলি মানুষ আশা করে, পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু সেটা চুড়ান্ত ফায়সালা হয় আসমান থেকে। তুমার এই বিশ্বাস আছে বলে মনে করি। ইতিহাসের অনেক বাঁকে এর প্রমাণ আছে। হয়তো তুমি সেভাবে সেটা মুল্যায়ন করবে না। কিন্তু সেটাই বাস্তবতা। আমাদেরকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তার ই ইচ্ছাই হয় চুড়ান্ত।
যদি সম্ভব হয় তাহলে তুমি সূরা আল ক্কাসাসের ৫ এবং ৬ নং আয়াতের তরজমা এবং তাফসীর পড়বে। আশা করি তোমাদের পরিকল্পিত ছকের জবাব পাবে।
আমার এই সেকুল্যার বন্ধুটি ওয়াদা করেছে সে পড়বে এবং আমাকে তার মতামত জানাবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন