তাকওয়া অর্জনের মাসে আমাদের মন ও মনন এবং করণীয়।পর্ব - ১

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ০২ জুলাই, ২০১৩, ০৩:৩৩:৫২ দুপুর

এক)

বাংলাদেশের কত পারসেন্ট মানুষ রামাদানের সিয়াম পালন করেন? কতজন মুসলমান প্রশিক্ষনের মাসকে পরিকল্পিত ভাবে উদযাপন করেন? কিভাবে গ্রহন করেন রামাদান মাসকে? আমাদের নাদুস নুদুস ব্যবসায়ীরা কিভাবে রামাদানের মাসটির সুযোগ! গ্রহন করেন? রাজনৈতিক নেতারা কিভাবে এই মাসের খেদমত! করেন? আমাদের মিডিয়াতে এই রামাদান নিয়ে কেমন অনুষ্ঠানমালা তৈরী করা হয়? প্রবাসে বাংলাদেশীরা কিভাবে পালন করেন শাহরুল্লাহ বা কুরআন নাযিলের মাসটিকে।

সর্বপরি কুরআন নাযিলের মাসটি চলে যাবার পর আমাদের ব্যক্তি জীবন,সামাজিক জীবনে এর কি প্রভাব রেখে যায়। তাকওয়া অর্জনের মাসটিতে আমরা কি তাকওয়া অর্জন করতে পারি? না আগের চাইতে আরো বেশী দুনিয়ামুখী হয়ে যাই, ইত্যাদি হল আমাদের আলোচনা।

আমার কাছে মনে হয়, রামাদানের ফজিলত,মর্যাদা, সিয়াম পালনের জন্য কি করা উচিত এই সবগুলো বারংবার ই আলোচিত হয়। মিডিয়ার কল্যাণে এ বিষয়গুলোর বিস্তারিত আলোচনা আমাদের জানা শোনা হয়। কিন্তু যে কারনে ৭৮০ ঘন্টার (কমবেশী) এই কর্মসূচি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে, সেই বিষয়টা অর্জনের সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা নিয়ে আমাদের মধ্যে তেমন আলোচনা করা হয় না।হলে ও সেটাতে রয়েছে আনুষ্ঠানিকতা বা কৃত্রিমতা।

দুই)

কে কিভাবে রমাদান মাসকে পালন করি -

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রহমত,মাগফিরাত ও নাযাতের মাসে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় আমাদের মহান! ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করেন গোটা বছরের মুনাফা এই মাসেই করার জন্য। কিছু ব্যবসায়ী হয়তো আছেন যারা এর বাইরে। কিন্তু যে হারে জিনিষ পত্রের দাম বাড়ে তাতে মনে হয় না বাংলাদেশের সম্মানীত ব্যবসায়ীরা রামাদান মাসকে সিয়াম পালন করার মাস হিসাবে পালন করেন। বরং এই মাসকে তারা অধিক মুনাফার মাস হিসাবে উদযাপন করনে। ইসলামের সোনালী যুগের ব্যবসায়ীরা কীভাবে ব্যবসা করতেন।ঐ সময়ের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল।ঐ সময়ের ব্যবসায়ীদের আজকের মত এত সিন্ডেকেট ছিলনা। মার্কেট স্থিতিশীল রাখার জন্য এত এত মনিটরিং এর ব্যবস্থা ও ছিলনা।ছিলনা ১৪ বছরের জেল জরিমানাও।

তাহলে কোন শক্তিটা তাদেরকে অধিক মুনাফা থেকে রক্ষা করতো। কিভাবে তারা কনজুমার রাইট রক্ষা করে ব্যবসা করতেন। আধুনিক অর্থব্যবস্থায় দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা হয়েছে শুধুমাত্র কনজুমারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আমাদের দেশেও রয়েছে সরকারী এবং বেসরকারী এরকম অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।কিন্তু এত আয়োজন,গণসচেতনতায় মিডিয়ার ভুমিকা,পণ্যের গুনাগুন প্রচারে কত বাহারী প্রচার।সব হিসাবের পর সাধারণ ক্রেতাকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। দেখা গেল দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান 'প্রান' কিভাবে আমের মধ্যে ফরমালিন মিশিয়ে বাজারজাত করছে। যেহেতু প্রাণ কোম্পানীর মিডিয়া রয়েছে।রয়েছে সাংবাদিক নামের অতি আশ্চার্য কিছু জীব।তাই অন্য ব্যবসায়ীর মিডিয়া হাউস এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। কারন তারাও তো একই কাজ করে।

ইসলামের সোনালী যুগে এই সব কিছুই ছিল না। তবে ছিল একটা মনিটরিং ব্যবস্থা।যা দিয়ে কনজুমারের সকল অধিকার (ভুক্তা অধিকার) বুঝিয়ে দেয়া হত। সেটার নাম ছিল তাকওয়া।পরকালীন জাবদিহীতার অনুভুতিই ব্যবসায়ীদেরকে ভুক্তা,ও সমাজ বান্ধব করেছিল।

পবিত্র মাহে রামাদান মূলত তাকওয়ার গুনটি সৃষ্টি করার জন্য ই সমাগত।

কয়েকটি উদাহারন দেই -

আগামী পর্বে


বিষয়: বিবিধ

১৪১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File