মন্ত্রী আব্দুল লতীফ সিদ্দিকীর ভাবিষ্যত ও প্রবাসীর সংসদে ভাষন
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২৭ জুন, ২০১৩, ০৫:০৯:৪৫ বিকাল
মহান জাতীয় সংসদে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা জনাব আব্দুল লতীফ সিদ্দিকী সাহেবের এক মিনিট চোখ বন্ধ করার বক্তৃতা যারা দেখেছেন,শুনেছেন তাদের জন্য এই আয়োজন।
আমরা যারা প্রবাসে থাকি, তাদের জন্য ফেইসবুক ই এখন শেষ ভরসা। দিগন্ত এবং ইসলামিক টিভি বন্ধ হয়ে যাবার পর দেশের অবস্থা জানার জন্য আর কোন নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই।যে সোর্স থেকে দেশের সঠিক সত্য খবরটি পাবো। অসংখ্য চ্যনেল বর্তমান থাকার পরও সবাই দিগন্ত টিভির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
দিগন্ত টিভি সম্পুর্ণ প্রতিকুল পরিবেশে কাজ করে আমার মনে অল্প সময়ে এটাই সার্থকতা এবং সফলতা।
আমি এমন অনেক সচেতন প্রবাসীর বাসায় দেখেছি দিগন্ত বন্ধ হয়ে যাবার পর এখন আর টিভির খবর দেখা ছেড়ে দিয়েছেন। কারন জিজ্ঞেস করলে সোজা সাপ্টা উত্তর, সব চ্যনেল হল বিটিভি। তাই বিটিভি মার্কা খবর দেখে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই।
এই শ্রেণীর দেশ প্রেমিক মনুষগুলোর কাছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক,টুইটারই এখন একমাত্র ভরসা। আমি ফেইসবুকে ই জনাব সিদ্দিকী সাহেবের ঐতিহাসিক সেই চোখ বন্ধ করার (সংসদের) বক্তৃতাটি শুনেছি। প্রবাসে থেকে তো জবাব দিতে পারবো না। তবে মন্ত্রী সাহেব যেভাবে কল্পনার জগতে বিচরণ করে কথার রং ছড়ালেন সংসদে আমি ও তো পারি প্রবাসে বসে কল্পনার জগতে সংসদের ট্রেজারী আসনে বসে বক্তৃতা করতে। তিনি যেভাবে মনে করুন বলে বক্তৃতা করেছেন ঠিক সেভাবে ই আমি আমার বক্তৃতা রাখছি। আশা করি আমার পাঠক ও সেভাবে শুনবেন। আরেকটি কথা আমাকে কেউ সাম্প্রদায়িকতার দুষ্টে দুষ্ট করবেন না। কারন মাননীয় মন্ত্রী তার বক্তব্যে যে ভাবে আক্রমন করেছেন ইসলাম,মুসলমান,কুরআন হাদীস রাসূল (সঃ) কে আমি সেভাবে করবো না।বরং আমি সংসদের রুলস অব প্রসিডিউর মেনে আমার বক্তৃতা করছি।
মাননীয় স্পীকার
আমি একজন প্রবাসী। আপনার পরিচালনায় সংসদে শতকরা অংকের বক্তব্য রেখেছেন নাম করা এক মন্ত্রী। তিনি আপনাকে সহ সকল সংসদ সদস্যকে চোখ বন্ধ করে তার বক্তব্য শুনিয়েছেন। আমি ও ঠিক একই ভাবে আপনার মধ্যমে মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং জাতিকে চোখ খোলা রেখে আমার বক্তব্য শুনার জন্য আবেদন করছি।
মাননীয় স্পীকার
আমাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আমি আমাদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার বলে জবাব দিতে বাধ্য হচ্ছি।কেননা মন্ত্রী যে ভাবে বিএনপি,জামায়াত,হেফাজত নিয়ে এই মহান সংসদে অসত্য,মনগড়া বক্তৃতা দিয়েছেন তাতে আমাকে আমার নাগরিক অধিকার রক্ষায় কিছু সময় দেয়া উচিত মনে করি - মাননীয় স্পীকার।
মাননীয় স্পীকার
আপনি এই মহান সংসদে আপনার নিজ এলাকার একটি ক্যলোকাল শব্দের জায়গা করে দিয়েছেন। শব্দটি হল চদুর বদুর। অবশ্য আপনার আগের স্পীকার যিনি বর্তমানে আমাদের মহামান্য প্রেসিডেন্ট। তিনি এই সংসদকে মাছের বাজার বলেছিলেন। ৬ বারের এমপি হবার পরও মাননীয় প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ সাহেব আপনার চেয়ারে বসে আদালত পাড়ার বাকশালী এক বিচাপতিকে বড় সাহস করে ধমক দিয়েছিলেন।
এর খেসারত দিতে হয়েছে প্রেসিডেন্টের পদ স্থায়ী করতে গিয়ে। যাকে পাগল,ভারসাম্যহীন বলেছিলেন সেই বিচারপতি মানিককে ই দেশের সবচেয়ে বড় বিচারের আসনে বসার জন্য প্রাজ্ঞ এডভোকেট আব্দুল হামিদকে নাকে খত দিতে হয়েছিল। কেউ বলেছেন এটা প্রেসিডেন্টের পদটি স্থায়ী করার মুচলেকা। মাননীয় স্পীকার আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছি না।
মাননীয় স্পীকার
আমার মনে হয় আপনার সামনে এই দৃষ্টান্ত থাকার কারনে হয়তো চুদুর বুদুরের বিষয়ে কোন রুলিং দেন নি। এজন্য আপনাকে আবার ও ধন্যবাদ।
মাননীয় স্পীকার
এখন আপনি সহ মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আব্দুল লতীফ সিদ্দিকী চোখ বন্ধ করুন। কিছুক্ষনের জন্য আপনারা আমার সাথে কল্পনার জগতে আসুন। শত করা অংকের মত করে আপনি সবকিছুর সমাধান মিলাবেন। আমি আপনার সামনে কিছু তথ্য পেশ করছি যা জাতিকে জানানো এই সংসদের অধিকার। আশা করছি আপনি আমার মাইক বন্ধ করবেন না। আপনার ডান দিকের চোখের ইশারায় যেন আমার বক্তব্য থামাতে না হয়, মাননীয় স্পীকার।
মাননীয় স্পীকার,
মনে করুন আমরা ২০১৭ সাল। ক্ষমতায় বাঙ্গালী চেতনায় সমৃদ্ধ ভারতীয় সেবাদাস আওয়ামীলীগ সাথে নষ্ট বামদের মহাজোট সরকার।এই সরকার ২০১৭ সালে বেশ কয়েকটি কাজ করেছে যার কয়েকটির কথা আমি আপনার মাধ্যমে এই মহান সংসদে তুলে ধরছি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের নামকরণ করা হয়েছে শেখ লতিফুর রহমান গ্রাইন্ড। ঢাকার নাম পরিবর্তন করে মুবিজ নগর করা হয়েছে। চট্রগ্রামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে সূর্যসেনগ্রাম। সিলেটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে গৌড়রাজ। আগামী মাসে নতুন নামকরন করা হবে রাজশাহীকে বঙ্গমাতাবাগান।(এ সময় টেজারী আসন থেকে চেচামেচির আওয়াজ শুনবেন)
মাননীয় স্পীকার,
আমি আপনার প্রটেকশান কামনা করছি। সরকারী দলকে একটু শুনতে বলূন। প্লিজ মাননীয় স্পীকার।
ইসলামী ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে ধর্মনিরপেক্ষ নাম গ্রহন করা হয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু খৃষ্টান ব্যাংক।ইবনে সিনার নাম পরিবর্তন করে ঠাকুর মেমোরিয়াল হাসপাতাল করা হয়েছে। ৬টি ইসলামী শরীয়া ভিত্তিক ব্যাংককের সমস্ত আমানত বাঙ্গালী চেতনার বুদ্ধিজীবিদেরকে উপহার স্বরুপ দেয়া হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশানকে তিন ভাগ করা হয়েছে। বায়তুল মোকারম মসজিদের উপরের তলায় হিন্দুদের বেদি নির্মান, ৩য় তলায় খৃষ্টানদের গির্জা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদে তিনজন লেসবনিয়ান মন্ত্রী করা হয়েছে। বাংলাদেশ লেসবনিয়ান সমিতির সভানেত্রী খুকুমনিকে স্পীকার করা হয়েছে।
তিন পার্বত্য চট্রগ্রামে টিফা চুক্তির আওতায় আন্তজাতিক পীস মিশনের আমেরিকার সেনা অবস্থান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেল প্রাইজ আনতে যাবেন আগামী মাসে।প্রধানমন্ত্রী নভেল প্রাইজ পাবার পূর্বে স্বাধীণ জুমল্যান্ড চুক্তিতে সই করবেন। আশা করা যাচ্ছে সেই চুক্তিতে উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের প্রধান।
মাননীয় স্পীকার,
দেশের কওমী মাদ্রাসা গুলোকে এনজিও ব্রাকের আওতায় আনা হয়েছে সংস্কার করার জন্য। আলীয়া মাদ্রাসাগুলোকে জেনারেল স্কুল কলেজের সাথে একিভুত করা হয়েছে। দেশে ইসলামী সকল প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে এগুলো এডহক কমিটির মাধ্যমে সংখ্যালুঘু সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদি একটি পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে দেশের সকল মুসলিম ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধর্মনিরপেক্ষ করার জন্য। (এসময় সংসদে টেজারী আসন থেকে মাইক বন্ধ করার নির্দেশ আসে।)
দাড়িয়ে আছি মাইক নাই। হাত উচু করে স্পীকারের দিকে তাকিয়ে আছি।
স্পীকার বলেন, মাননীয় সাংসদ, আপনাকে রুলস অব প্রসিডিউরের ৭৫৬ নং বিধিতে বক্তব্য রাখতে হবে। মাইক দেন।
মাননীয় স্পীকার,
আমার মাইক বন্ধ করলেন। অথচ এই সংসদে মন্ত্রী আব্দুল লতীফ সিদ্দিকী সাহেব দীর্ঘ একটি বক্তব্য রাখছিলেন,কিন্তু তাকে আরো সময় বাড়ালেন। আপনি স্পীকার হিসাবে নতুন। আপনি আমাদের সবার স্পীকার।শুধু বাকশালীদের স্পীকার নন।
মাননীয় স্পীকার,
আপনি আমার সাথে ২০১৭ সালে কল্পনার জগতে আশা করি আছেন। আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।বর্তমানে আপনি যে সরকারের স্পীকার হয়েছেন তারা ক্ষমতায় আসলে যে কাজগুলো করবে সেগুলোর একটি আগাম বর্ণনা দিলাম।
মাননীয় স্পীকার,
আবার যদি এই নব্য ডিজিটাল বাকশালীরা ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনাকে এই সুন্দর বাঙ্গালী কাপড় পড়ে সংসদের আসনে বসতে দিবে না। আপনাকে ভারতীয় লোহাঙ্গরা পরে বসতে হবে আপনার আসনে। শুনেছি আপনার একটা মেয়ে আছে। সে কিন্তু বিয়ে করবে তারই ক্লাস ফ্রেন্ড রেহানাকে। আপনি কিছু করতে পারবেন না। কারন ২০১৭ সালের আগে ই ধর্মনিরপেক্ষ ৭১ এর চেতনাধারী সরকার হোম সেক্স আইন ২০১৬ সংসদে বিল আকারে পাশ করে নিবে।
মাননীয় স্পীকার
এবার আপনি এবং মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী সাহেব চোখ খুলূন এবং ভাবুন কি হবে আমার আপনার দেশের অবস্থা।
যদি আবার এই নষ্ট বাম দ্বারা পরিচালিত,ভারতীয় বেনিয়াদের দ্বারা প্রযোজিত, শেখ মুজিব কন্যা পরিচালিত ডবল ডিজিটাল সরকার ক্ষমতায় আসে।
মাননীয় স্পীকার
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাকে সুযোগ দেবার জন্য।
বিষয়: বিবিধ
২০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন