মৌলবাদী অর্থনীতি বনাম নিমূল কোম্পানীর অর্থনীতি পর্ব - ১

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১০ জুন, ২০১৩, ০৫:৫৪:২৮ বিকাল

এক)

মৌলবাদী অর্থনীতির প্রচার,প্রসার,ব্যপ্তি ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর গবেষনা,তথ্য,তথ্যাদি,রগরগে প্রচার,প্রচারণা নিরন্তর করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে নির্মূল কমিটি,প্রচন্ড বাঙ্গালী চেতনা সমিতি,অসাম্প্রদায়ীক টিভিটকার ট্রাষ্ট,ভারতীয় দালাল সুশীল সমাজ তাদের সবার অর্থনীতির উৎসমূল কোথায়?কোথা থেকে অর্থের যোগান হয়? বহুজাতিক প্রেমিকের নামে কারা ইষ্টইন্ডিয়ার ভুমিকায়,ইত্যাদি নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন গবেষনা হয়েছে। অন্তত আমার চোখে পড়ে নাই।এই ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী আর ইসলামপন্থীরা সবাই সমান অপরাধী।

বলা হয় বাংলাদেশে দুটি ধারা। একটি বাঙ্গালী আর আরেকটি বাংলাদেশী। জাতিয়াতাবাদী ও ইসলাম পন্থীরা ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতির জন্য রাজনীতি করাকে ই তারা পলিটিক্স মনে করেন। কিন্তু বাঙ্গালী ধারার রাজনীতি সেই ৪৭ সালের আযাদীর পূর্ব অবস্থায় ফিরে নিয়ে যেতে নিরন্তর পলিটিক্স করছেন। এর প্রমান বর্তমান বাংলাদেশে অন্তুত একটা অংশ যারা নামে আর ভৌগলিক দিক থেকে বাঙ্গালী হলেও মনোজগতের দিক থেকে তারা ভারতের নিখাদ সেবাদাস।নতুবা স্বাধীন দেশের গণমানুষকে ভারতীয়দের তুলনায় অসভ্য,বর্বর বললেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।আবার আমাদের বড় বড় ব্যবসায়ী হাউসের কর্ণধাররা বলবেন ভারতে বলূন আমাদের জন্য ইন্ডাষ্টিয়াল ইকোজোন তৈরী করে দিতে। আর টিভির এক টকশোতে বর্তমান এফবিআইসির এক প্রিতিনিধি আবদার করলেন মাননীয় মন্ত্রীকে।বাঙ্গালীর পলিটিক্স এর সফলতা এই জায়গায়।

দুই

৯১ পরবর্তী আমাদের সংবাদ মাধ্যমে জোয়ার এসেছে। দেশ স্বাধীন হবার পর যে সংবাদ মাধ্যমকে হত্যা করা হয়েছিল সেই সাংবাদিক জগতের বর্তমান চেহারা এমন হবে দেশের কেউ আশা করেনি।তবে এই অবস্থা একদিনে হয়নি।

যে শুণ্যতা তৈরী করেছিলেন জাতিয়তাবাদী আর ইসলামপন্থীরা, তা পূরণ করতে এগিয়ে আসে রামপন্থী এবং বামপন্থী মহাজনরা।মূলত নির্মূল অর্থনীতি দিয়ে লালন পালন করা হল বিজাতীয় এই সাংবাদিক জগতকে। চলল অনবরত, নিরন্তর উলঙ্গ বাঙ্গালীপনার চর্চা। এটা চলেছে সবার সামনে।

অবস্থা এমন হল। ঐ বর্গীরা বাংলাদেশের আলো বাতাশ নিয়ে সাংবাদিকতা করেন।কিন্তু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা,আকাংখা, মৌলিক বোধ বিশ্বাসের বিপরীত অবস্থান গ্রহন করে।সেলুকাস হল বিদেশের তল্পিবাহক সাংবাদিকতাকে তারা তথাকথিত মুলস্রোতের সাংবাদিকতা বলে থাকেন।

তাই ফেলানীর লাশ কাঠাতারের ঝুলানো থাকলেও সুশীলবান্ধব, দলবাজ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সাংবাদিকতার কিছু য়ায় আসে না।কেউ মানববন্ধন বা বিবৃতি দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

এখানে নির্মূল অর্থনীতি কাজ করে।ভারতের বিরুদ্ধে লিখলে বা পত্রিকায় ছাপলে দুতাবাসের মাসোহারাটা বন্ধ হবার ভয় কাজ করে।

যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল চাষাভুষার ছেলেদেরকে আধুনিক নগরায়নের যোগ্য নাগরিক করার জন্য। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক বিভাগে ভর্তি হতে পারে না ঐ চাষাভুষার বর্তমান প্রজন্ম। পূর্ববাংলার স্বাধের,স্বপ্নের বিদ্যাপীঠে এখন প্রবেশ নিষিদ্ধ তাদের যাদের চিন্তা মনণে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল এই প্রাচ্যের অক্সেফোড। এখানে বরণীয়,পূজনীয় হল সেই ব্যক্তিরা যারা এর প্রতিষ্ঠালগ্নে কলিকাতায় রাখিবন্ধন করেছিলেন।মক্কা মাদ্রাসা বলে ঠিটকারী করেছিলেন। এগুলো সবই ঐ নিমূল সমিতির অর্থনীতির তেলেসমাতী।

প্রশ্ন করার কেউ নেই, বহুজাতির কোম্পানী গুলো কি বাংলাদেশে বাঙ্গালীপনার প্রচার প্রসারের ঠিকাদারী নিয়ে এসেছে। কেউ এই প্রশ্ন তুলে না - রবি, বা গ্রামীন ফোন অথবা অন্যান্য কোম্পানী, জাতীয় কবিকে নিয়ে বছরে কয়টা প্রোগ্রাম করে।

বেচারা নজরুল যে দুখু মিয়া ছিলেন আজ স্বাধীন দেশে বিদেশী কবিদের কাতারে দুখু মিয়া ই হয়ে আছেন। যাদের কিছু করার যোগ্যতা রয়েছে তারা নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত।

চলবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File