ব্যরিষ্টার রফিকুল হক এবং একজন বাইচান্স সম্পাদক ও শিবির সভাপতি

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২২ মে, ২০১৩, ০৫:৫৬:৩৫ বিকাল



ব্যরিষ্টার রাফিকুল হক বাংলাদেশের আদালত পাড়ার একজন নামকরা ব্যক্তি।দেশের সব জাতিয় নেতাদের বিপদের কান্ডারী। ১/১১ সরকারের আমলে দুই নেত্রী সহ প্রায় সকল জাতিয় নেতাদের আইনি কর্মকর্তা ছিলেন।এমনকি আজকের মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রীর উকিল ছিলেন।তাকে ও তিনি আইনি খেদমত দিয়েছেন।

অতীতে তিনি শেখ মুজিবের যেমন আইনি পরামর্শক ছিলেন। তেমন জিয়াউর রহমানকে ও আইন শিখিয়েছিলেন।আমাদের পল্লিবন্ধু এরশাদের একনিষ্ট আইনি বন্ধু ছিলেন এবং আছেন।


আবার ঐ স্বৈরাচার সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। অবশ্য এরশাদ সাহেব এখন আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে শ্বৈরাচার নয় বরং তিনি দামী আচারে পরিণত হয়েছেন। এখন আর তাকে কদাচিত স্বৈরাচার বলা হয় সূশীল মিডিয়াতে। এর কারণ হল বর্তমানে এরশাদ সাহেব তথাকথিত স্বাধীনতার চেতনার বাকশালী কোম্পানীর সাথে জোটে আছেন।৭১ এর বিশেষ চেতনা ধারণ করতে পারলেই হল। সাত খুন নয়। শত শত খুন আর ভয়ংকর অপরাধ মাফ। এক চিমটি স্বাধীনতার চেতনা গায়ে মাখাতে ই পারলে ই হল।

খালেদা জিয়ার প্রথম আমলে কিছুদিন ও রাষ্ট্রের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। এভাবে আরো অনেক পরিচয় রয়েছে আমাদের এই বরেন্য সিনিয়র সিটিজেনের।

আদালত কতৃক উপাধি পাওয়া বাইচান্স এডিটর জনাব মাহমুদুর রহমানকে একটি ওয়াদা করেছিলেন প্রকাশ্যে জনাব ব্যরিষ্টার রফিকুল হক।দেশের সকল মিডিয়াতে এসেছিল সেই চ্যলেন্জ এর কথা। সেটাই স্বরণ করাবার জন্য এই লেখা।

পাঠক আপনাদের জানা থাকার কথা।জনাব মাহমুদুর রহমানকে দেশের সকল বিচারপতি যখন সাফ জানিয়ে দিলেন তারা শুনানী করবেননা।কোন কোন বিচারপতি এও জানালেন যে, মাহমুদুর রহমান সাহেবের বিষয়টা এতটাই জটিল যে,তাদের জ্ঞানের দৌড় ঐ পর্যন্ত না। দেশের নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে হাই,সুপ্রিম সব বিচারপতি যখন নিজেদের অদৃশ্য অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন থেকে সম্পাদক সাহেব নিজ অফিসকে কারাগার বানিয়ে দিনগুজরাণ করছিলেন।অফিস বন্ধী মজলুম এই সম্পাদকের লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করার জন্য প্রেসক্লাবে একত্রিত হয়েছিলেন দেশের অগ্রসর সুধীজন।

ব্যরিষ্টার রফিকুল হক সাহেব ও আমন্ত্রিত ছিলেন সেই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। তিনি তার বক্তৃতায় জোর গলায় বলেছিলেন মাহমুদুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে, আপনি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে আসুন,সরকার আপনাকে বন্দী করলে আমি ছাড়িয়ে নিয়ে আসবো।আমি উচ্ছ আদালত থেকে আপনার জামিন নিশ্চিত করাবো।তিনি আরো শক্ত শক্ত কথা বলেছিলেন সেই দিন। আমরা আশায় বুক বেধে ছিলাম।

ব্যরিষ্টার রফিক সাহেবের বক্তব্যের পর বেশী দিন সময় পার হয় নাই।

মজলুম মাহমুদুর রহমানকে তার অফিস থেকেই সরকার কমান্ড ষ্টাইলে হাইজ্যক করে রিমান্ডে পাঠালো।তার পর আরো অনেক সময় চলে গেল।বেচারা মাহমুদুর রহমানকে সরকার এখন মেরে ফেলার সকল আয়োজন শেষ করেছে। শোনা যাচ্ছে মাহমুদুর রহমানের খাওয়ার সাথে বিশ মিশিয়ে আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ব্যরিষ্টার রফিক সাহেবের কাছে আমাদের আপিল দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে।আপনি জীবনে অনেক সম্মান পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত সকল রাজনৈতিক শক্তির খেদমত করেছেন। আজ এই মজলূম সম্পাদকের জন্য স্বেচ্ছা কারাবরণ করুন। আপনার নিজের ওয়াদা নিজে রক্ষা করুন।

পারবেন কি? এই সাহস দেখাতে।

আরেকটি বিষয় আপনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

টেলিভিশনে দেখলাম আপনি বলছেন যে, জামায়াত শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করে দিতে। আবার সরকারকে আইন বাতলিয়ে দিয়েছেন এভাবে,

তারা পুলিশকে মেরেছে।তাই সন্ত্রাসী দল হিসাবে সরকারী প্রেসনোট নাযিল করে এদের রাজনীতি বন্ধ করতে।ইতিমধ্যে সরকার সেই দিকে অগ্রসর হয়েছে।দিগন্ত বন্ধ,ইসলামিক টিভি বন্ধ,আগামীতে আরো অনেক কিছু হতে পারে।

আপনি যে ঘটনার উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্রতার সাথে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন।সেই ঘটনার কোন তদন্ত তখনও হয় নাই। কি বলেন জনাব ব্যরিষ্টার সাহেব?


অথচ আপনি বিচারক সেজে রায় শোনালেন জাতিকে।সারা জীবন আইন আদালতে পার করলেন অথচ সরকারকে প্রভোক করলেন ফ্যসিজমের দিকে।

পুলিশের মাথা তেতলানোর কারনে যদি একটি নিবন্ধিত দলকে নিষিদ্ধ করতে হয়।(যদিও তা এখনও আইন দ্বারা প্রিতিষ্টিত নয়।)

এবং এটা যদি আপনার বিবেকের দাবী হয়।

এটা যদি আপনার দীর্ঘ দিনের আইন পেশায় থাকার সকল অভিজ্ঞতাই হয়।


তাহলে হেফাজতের সাথে পুলিশ যে কর্মটি করলো তার জন্য সরকারকে কি করা উচিত?

সুস্থ,সবল যুবকদেরকে ধরে নিয়ে যে পুলিশ, থানার মধ্যে ই চোখ উপড়ালো? তাদের কি করা উচিত?

যারা প্রকাশ্যে গান পয়েন্টে গুলি করে স্বাধীন দেশের গণমানুষের প্রকাশ্যে হত্যা করলো? তাদের কি করা উচিত?

যারা পুলিশ বাহিনীকে সন্ত্রাসী ভাড়াটে ফ্যসিষ্টের পালিত দালাল হিসাবে ব্যবহার করলো,তাদের কি করা উচিত?

ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি লক্ষ লক্ষ তরুনদের হৃদয়ের স্পন্দন দেলওয়ার হোসাইনকে ৫৩ দিন বাকশালী রিমান্ড সম্পর্কে কি বলবেন?


মাননীয় ব্যরিষ্টার সাহেব এই সব কিছুই কি আইনি পেশায় জায়েজ? টিভিতে কি বলা যায় না যে ভাবে বলেছিলেন শিবিরকে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসাবে।

দেশের একজন সাধারণ নাগারিক হয়ে বলছি যারা আপনাকে শ্রদ্ধা করেন তারা বাকশালী বুদ্ধিজীবিদের মত দলকানা বলে অশ্রদ্ধা করবে।

সর্বশেষ একটি হাদীসের ভাবার্থ পেশ করছি। মিলিয়ে দেখুন বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি,রাষ্ট্রনীতি,রাষ্ট্রের পরিচালক,মিডিয়ার ব্যক্তিত্বরা এবং সমাজের অগ্রসর মানুষ সম্পর্কে কি বলেছেন, বিশ্ব নেতা বিশ্ব নবী মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (সালল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

এমন এক সময় আসবে যখন, সমাজের সমাজপতিরা,সমাজের আহলুর রায়,(সূশীল সমাজ বা নাগরিক সমাজ) সবাই মিথ্যা বলবে,দুর্বলদের উপর জুলুম করবে,অন্যায়ের কোন প্রতিবাদ কেউ করবে না।অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোকে দেখার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না। তখন তোমাদের জন্য জমীনের উপরি ভাগের চাইতে জমীনের নিচের অংশই উত্তম মনে হবে।


ব্যরিষ্টার রফিকের মত ব্যক্তিরা যখন কাউকে খুশী করার জন্য বা কিছু পাবার জন্য দাড়িয়ে যান তখন সেই সমাজের পতন খুব কাছাকাছি হয়।তা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আল্লাহর গজবের জন্য তৈরী হতে হয় সবাইকে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যের পক্ষ্যে দাড়াবার মত মানষিক আর নৈতিক শক্তি জন্য দোয়া করছি।

(রফিকুল হক এর পরিবর্তে রফিকুল ইসলাম লিখেছিলাম।অনিচ্ছাকৃত এই ভুল ছিল।)

বিষয়: বিবিধ

২৬৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File