আবিস্কারের নেশায় ডিজিটাল ২০২১
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৪০:৪৯ দুপুর
প্রথম পর্ব ঃ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্বায়ে জেল বন্দী জনাব সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবের একটি উক্তি দিয়ে শুরু করি।
তিনি বর্তমান সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন, মাননীয় স্পীকার আমাদের দেশে একটি নুতুন আজব মেশিন আবিস্কৃত হয়েছে। যার কাজ হল মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার আর রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো। যার নাম লীগ ডিজিটাল। এর কিছুদিন পরই তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়।রাজনীতিতে ঠোঠকাটা এই পার্লামেন্টারিয়ান যে দলটি করতেন তারা তাকে নিয়ে সতীনের ঘর করছে।
-----------------------------------------------------------------
সকলের অবগতির জন্য এবং নিরাপদ একটি বাসযোগ্য বাসস্থানের জন্য, এই আজব মিশিনটার বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন প্রতিটি নাগরিকের।
মেশিনের নাম - ডিজিটাল লীগ ২০০৯।
মেশিনের পরিধি - ২০২১ পর্যন্ত।
মেশিনের রুপকার - গনতন্ত্রের মানষকন্যা হাসিনা ওয়াজেদ।১৯৮১ সালে আগমন।অবশ্য এর পূর্বে একবার এর মডেল করা হয়েছিল যার নাম ছিল মুজিববাদ। অবশ্য এটা বেশিদিন মার্কেটিং করা যায় নাই।
পরবর্তীতে মেশিনটির মাদার কোম্পানী (র) নতুন প্যটার্ন করে বর্তমান মডেলটি বাজারে ছাড়ে।নামটাও খুব চটকদার। সাধারন গ্রাহকের মন কাড়া নাম।
ডিজিটাল ২০২১।
নতুন বিশ্ব পরিস্থিতে এই মেশিনটির শত বিতর্ক থাকার পরও বাজার পেয়েছে বলা যায়।লেবেলটাও জব্বর হয়েছে। যে কেউ প্রথম দেখাতে এটাকে চয়েস করবেই।যাদেরকে টার্গেট করে এই লেবেল দেয়া হয়েছে ওরা সবই গ্রহন করেছে আপাদত। ইসলামী জঙ্গি দমন।
-----------------------------------------------------------------
মেশিনের মৌলিক বিবরণ - ১৯৪৮ সালে জন্ম।
জন্মের পরই মেশিনের প্যটার্ন থেকে মুল নামের কর্তন করা হয়। মুসলিম নামের অবৈধ তালাক সম্পন্ন হয়।
এর পর মেশিনটির জন্মদাতা (মাওলানা ভাসানী) কে ওল্ডহোমে পাঠানো হয়।
এই আজব মেশিনের ২য় ব্যক্তি (সাধারন সম্পাদক) কে ল্যং মেরে থার্ডক্লাস নেতা হয়ে উঠেন ফাষ্টক্লাস নেতা।
মেশিনটি যে উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছিল (আদর্শ) তার পরিবর্তন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা।(বাঙালী + সামাজতন্ত্র)
মেশিনটি পাকিস্তান আমলে একবার সরকারী যন্ত্রে আদৃত হলে নানা সমস্যা তৈরী হয়।(১৯৫৪ সালের সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রী হয়ে ফাষ্টক্লাস ব্যক্তির দুর্নীতির সবক গ্রহন এবং মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিতাড়িত হন।)
৬০ এর দশকে নতুন সংস্করণ - ২১ দফা থেকে ১১ দফা,তারপর ৬ দফা। মুলত ১১ দফাকে হাইজ্যাক করে ৬ দফা প্রনয়ন এবং মেশিনটির পিতা ভাসানীকে দাফন করা হয়।
আবার ৬৯ নতুন প্যটার্ন - মাওলানা ভাসানী জীবনের ঝুকি নিয়ে ৬৯ আ্ন্দোলনের রচনা করেন। রাজনৈতিক পুত্র তুল্য শেখ মুজিবকে জেল থেকে বের করলেন।সৎ পুত্রের মত পিতাকে সালাম করেন।
পিতা, পুত্রের পীঠ চাপড়ালে পুত্রের কদর আরো বেড়ে যায়।মেশিনটির প্রচার প্রচারণা চলতে থাকে পিতাকে ব্লাকমেইল করে।পিতা ছিলেন অসহায়।
কিন্তু মেশিনটির বিশেষ গুনাবলীর কারনেই পিতার বারণ না শুনে নিজের মেশিনের জন্য তেল আনতে প্রেসিডেন্ট আউয়ুবের সাথে গোলটিবিলে চলে যান। এভাবেই রাজনৈতিক পিতাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসন করা হয়।
৬৯ আন্দোলনের নায়কদেরকে পিছনে ফেলে অনুগত ছাত্র নেতা আর বিশেষ জন (র) এর সহায়তায় আজিব খেতাব প্রদান।৭০ এর নির্বাচন এই ব্যান্ডিংটা বিশেষ কাজে লাগে।
আগামী পর্ব
-----------------------------------------------------------------
বিষয়: বিবিধ
১২৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন