ঘটনার বেনিফিশিয়ারী যারা, তাদের অবস্থান মোটেই ক্ষমার যেগ্য নয়।
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৫০:৩৩ দুপুর
মাহমুদুর রহমান এবং মাহমুদুর রহমান তার পর মাহমুদুর রহমান। বিষয়টা একটু খোলাসা করি।
আমার দেশের সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) যাকে দেশের আদালত বাইচান্স এডিটর হিসাবে বিখ্যাত করেছেন।দেশের সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে আদালতকে বলা হয়। সেই আদালতের বিচারপতি নামক পাগলদের পাল্লায় (জাতীয় সংসদের তোফায়েল সাহেবের ভাষায়) পড়ে কি দশা হয়েছিল তা দেশবাসী জানেন।মাহমুদুর রহমানের তখন শিক্ষা হওয়া উচিত ছিল?এই পর্বটা ছিল মাহমুদুর রহমান এবং এর পূর্বের।
মাহমুদুর রহমান এবং এর পরের ইতিহাস হল, যে আদর্শের জন্য মাহমুদুর রহমান আজকের পরিণতি। উদাহারণ হিসাবে বলা যেতে পারে,
এক) দেশের একমাত্র সুপ্রিম পরিবারের নাতি জয় বাবাজির দুর্নিতির প্রমান জাতিকে অবহিত করা।
দুই) ইতিহাসের জঘণ্য সাজানো ট্রাইবুনালের বিচারপতির স্কাইপির ইতিবৃত্ত জাতিকে জানানো।
তিন) মানবতার শ্রেষ্ঠ বন্ধু বিশ্ব নেতা বিশ্ব নবী মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে ব্লগারদের উৎপাত দিনের আলোতে নিয়ে আসা।
চার) আমার দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক বোধ বিশ্বাসের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা।
পাচ) জাতীয় দাবী ভোটের অধিকার প্রতিষ্টায় সোচ্চার হওয়া।
আপাদত এগুলো হল এবং মাহমুদুর রহমান।
----------------------------------------------------------------
তার পর মাহমুদুর রহমানের ইতিহাস হল
এক) নব্য ডিজিটাল বাকশালের নগ্ন আক্রমন ও নির্যাতন, মরণের দিকে ঠেলে দেয়া।
দুই) অণশন করে তিনি নিজেকে প্রমান দিতে হচ্ছে তিনি অন্য দশজন সম্পাদকের মত নন।তিনি মেরুদন্ডহীন প্রাণী নন।
তিন) যাদের জন্য তার অণশন বা এই পরিণতি তাদের ভুমিকা প্রমান করে তারা নিতে জানে। সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে জানে। বরাবরের মত তারা বেনিফিশারীর দলে।
সেই ১৯৭৫ সালের গণবিপ্লবের পর যাদের জন্ম এবং যারা স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার অধিকার পায় তারা যে আচরণ করেছিল ঐ বিপ্লবের নায়কদের সাথে। ঠিক একই আচরণ করছে আজকের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নায়ক মাহমুদুর রহমানের সাথে।জাতীয়তাবাদি এবং ইসলামী মুল্যবোধের রাজনীতির পক্ষে দাড়াবার জন্য ই আজকের এই পরিণতি। তিনি আপসের বা কৌশলের সাংবাদিকতা করলে এই করুন অবস্থার স্বীকার হতে হত না।
ইতিহাস একদিন বিচার করবে এই নেতৃত্বের। দেশে কত হরতাল হয়। এবং হবে। কিন্তু দেশ এবং জাতির জন্য যে ব্যক্তিটি তার সবকিছু উজাড় করে বিলিয়ে দিল তার জন্য সেই বেনিফিশিয়ারী গোষ্ঠীর অবস্থান মোটেই ক্ষমার অযোগ্য।আমাদের প্রতিবাদ করার কোন ভাষা নেই।
মনে থাকার কথা, আফতাব স্যারকে হত্যা করার পর এই গোষ্ঠীই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারা কিছুই করে নাই।অথবা করতে চায় নাই।
জাতিয়তাবাদি এবং ইসলামী দলের নেতৃত্ব কেমন করে প্রত্যাশা করবেন? তাদের পক্ষে অন্য কোন সময়ের সাহসী মাহমুদুর রহমান দাঁড়াবে।
জাতীয়তাবাদি এবং ইসলামী রাজনীতির নেতৃত্ব বিগত দিনে এটাই প্রমান দিয়েছেন, তাদের পক্ষে যারা অবস্থান গ্রহণ করেবে দানব বাকশালীদের বিরুদ্ধে তাদেরকে আপন আদর্শের দল, ব্যক্তিদের কাছে সবচেয়ে বেশী অপদস্ত হতে হবে।এই নির্মমতার স্বীকার এক মাহমুদুর রহমান। তিনি প্রথম নন আবার শেষ নন।
বিপ্লব বা আমুল পরিবর্তন কখনো কৌশল বা আপস করে হয় না। এই বোধটা যতদিন না হবে এই ককটেল (জাতিয়তাবাদি ও ইসলামী) পক্ষের, ততদিন এ রকম মাহমুদুর রহমানের মত ব্যক্তিরা আমাদের সামনে ধুকে ধুকে পরপারের দিকে যাত্র করবেন।
সবশেষে আবেদন এখনো মূল্যায়ন করুন নিজেদেরকে।নিজেদের কর্মকান্ডের।নিজেদের অবস্থানের।
----------------------------------------------------------------
এই হল মাহমুদুর রহমানের তার পর মাহমুদুর রহমান।
হয় শেষ নতুবা নির্জীভ।আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।
বিষয়: বিবিধ
২১১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন