মরহুম আব্দুল জলীল সাহেব ও জয় হাসিনার প্রযুক্তিবিদ্যা

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:১৬:১৩ দুপুর

বহুল আলোচিত এই ভিডিও ক্লিপটা হয়তো আপনারা দেখেছেন।তার পর ও দেখতে বলবো। তবে আগে লিখাটি পড়বেন।

http://www.youtube.com/watch?v=YKMevAJ0kf8

আওয়ামীলীগের দ্বারা প্রচারিত,জোর করে আরোপিত ধারনাগুলোর জবাব পেতে ট্রামকার্ডখ্যাত মহাসচিব আব্দুল জলীল সাহেবের ক্লিপটি দেখা প্রয়োজন।

ধারণাগুলো কি?

এক) আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল। শেখ মুজিব রাজনৈতিক কোন ভুল করতে পারেন এমন কল্পনা যারা করবেন তারা অবশ্যই নব্য রাজাকারের তকমা পাবেন।

দুই) দেবতা তুল্য নেতা শেখ মুজিবের রক্ত যার গায়ে প্রবাহিত তাকে সকল প্রকার বিতর্কের উর্ধে স্থান দিতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যত অযোগ্যতা,অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত, ঈর্ষা আর হিংসার রাজনীতির মহান রানী! হলেও এগুলো নিয়ে আলোচনা,সমালোচনা করা যাবে না।কৌশলে ৭১ এর চেতনা দিয়ে পাক সাফ করে নিতে হবে।যদি কেউ এমন সাহস করেন তাহলে তাকে মাহমুদুর রহমানের ভাগ্য বরণ করতে হবে।

তিন) দল হিসাবে আওয়ামীলীগ হলো একমাত্র গনতান্ত্রিক দল। যতই ফ্যসিষ্ট কায়দায় দল পরিচালিত করুন মুজিব কন্যা,তার সমালোচনা যারা করবেন তারা গনতন্ত্রহত্যাকারীদের দালাল।

আমার মনে হয় ভাল করে এই ক্লিপটি দেখলে আওয়ামীলীগ কতৃক আরোপিত তিনটি ধারনা পরিস্কার হবে।

-----------------------------------------------------------------

আরো যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন।

দেশের১৬ কোটি মানুষ একজনকেই নেতা মানতে হবে।

একটি দলের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।

একটি দলের নেতা কর্মীদেরকে মিডিয়া আনুকুল্য দিতে হবে।

ছাত্রলীগ,যুবলীগ,শ্রমিকলীগ তারা যতই মানুষ হত্যা করবে ততই দেশের গনতন্ত্র বিকশিত হবে।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যতই সাংবাদিক আর সংবাদপত্র দলন করা হউক, তা স্বাধীন সংবাদপত্রের জন্যই করা হবে।

এগুলোর সাথে যারা একমত নন তারা এই দেশে নুন্যতম নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারবেন না।এর জন্য রয়েছে সাংস্কৃতিক জগতের বড় বড় হৃদয়হীন লাটিয়াল বাহিনী।

এটাই আজকের বাস্তবতা।

-----------------------------------------------------------------

বাংলাদেশকে এখন একটি উন্মুক্ত কারাগার বলা হয়।বিচারপতিদের রিমান্ড দেয়ার আদেশের উৎসব পালন,পুলিশের নির্যাতন করার নতুন নতুন কলাকৌশল,আর বুদ্ধিবৃত্তিক,সূশীলদের উৎপাত। সবমিলিয়ে আমরা একটি অন্ধকার গহবরের দিকে যাচ্ছি।

মরহুম আব্দুল জলীল সাহেবের জবানবন্দী শুনলে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাওয়া যাবে।

আরো জানা যাবে গনতেন্ত্রর মানসকন্যা শেখ হাসিনার আসল চেহারা।তার মনোজগতের পরিচয়।

যেমন ইদানিং প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মদিনার সনদের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে।বরাবরের মত নির্বাচন আসলেই তাকে চরম মুনাফিকিতে পেয়ে বসে।

নেতা শেখ মুজিব এই পয়েন্টে হাসিনার চাইতে নাম্বার কম পাবেন। বাপের বেটি আপন বাপকে টেক্কা দিয়েছেন সত্যি।


১৯৯১ নির্বাচনে অধ্যাপক গোলাম আযমের পায়ে ধরে দোয়া।১৯৯৬ তসবিহ আর ঘোমটা।২০০৬ তে মরহুম আজিজুল হকের সাথে চুক্তি। এগুলো সবই নির্বাচনের সময় প্রয়োজন হয়। যেমন এখন মদিনার সনদের প্রয়োজন হয়েছে।

আব্দুল জলীল সাহেব বেশ কিছু কথা বলেছেন যা দল হিসাবে আওয়ামীলীগ এবং নেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার সত্যিকার চরিত্র রুপায়ন হয়েছে। সাথে আছেন প্রযুক্তিবিদ্যায় (দুর্নিতি বিদ্যা) অভিজ্ঞ শেখ জয় ওয়াজেদ সাহেব।

বিষয়: বিবিধ

১২৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File