ফিরে এসো
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:১৮:২৬ সন্ধ্যা
কোমলমতি খোকা ও খুকিরা ফিরে এসো। কেন ফিরে আসবে সেটা ব্যাখ্যা করছি।
ক. স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি। কেন? কারন আমাদের কাছে পর্যা্প্ত পরিমান অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ছিলনা, তায় ঝটিকা আক্রমণ করে যুদ্ধ করেছি। তোমরা তায় ফিরে আসবে কারন, তোমাদের এই যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদে চালানোর কোন সরঞ্জাম নেই তোমাদের কাছে, যদি থাকতো তাহলে আরেকটা যুদ্ধ অবস্যম্ভাবি ছিল।
খ. তোমরা গোটা জাতিকে নাড়া দিয়েছো, তোমরা জাতিকে এবং বড়দের দেখিয়ে দিয়েছ তাদের অনেক কিছু করার ছিল এবং আছে কিন্তু তারা সেটা করতে পারছেনা বা করছেনা, সেখানে ধাক্কা লেগেছে। এবার তাদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সময় দেবার প্রয়োজন আছে।
গ. তোমরা একটা ফ্যাসিষ্ট এর দিকে ধাবমান রাষ্ট্রকে ধাক্কা দিয়েছ, শাসক শ্রেণীও নড়েচড়ে বসেছে। তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে গেছে যে ছাত্র সমাজকে ঘুমপাড়ানি উন্নয়নের অষুধ দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা যাবেনা। তারা কাজে করে না দেখালেও তোমাদের বার্তাগুলোকে মৌখিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার তাদের সময় দাও, বলটা তাদের কাছে থাকতেই ফিরে এসো। তারা কমিটম্যান্ট রাখে কিনা সেটা দেখ। না রাখলেও সবার কাছে তাদের চেহারা উন্মোক্ত হবে, তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনা, সেটা পরবর্তী আন্দোলনের পথকে স্বাগতম জানানো হবে।
ঙ. শাষক, ও শোষন শ্রেণীর মাথা নত হয়ে গেছে, তার লজ্বায় আছে তায় তাদের সেই অবস্থানে রেখে ঘরে ফিরে আসতে হবে। এর চাইতে বেশী চাপ প্রয়োগ হলে তারা নির্লজ্ব হয়ে পড়বে এবং উল্টো আক্রমণ করে বসবে, দেয়ালে পিঠি ঠেকে গেলে তারা খুব জঘন্য হয়ে যাবে এবং সেই আক্রমণ ঠেকানো কঠিন হবে তায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য ফিরে আসতে হবে।
চ. প্রশ্ন আসতে পারে অন্যায় এর কাছে কী মাথা নত হবে? না হবেনা। এটাই যুদ্ধের নিয়ম। যুদ্ধের মাঝেও বিরতি রাখা হয়, একটু জিরিয়ে আবার লড়াই হবে। তাই তোমাদের এখন বিশ্রাম নিতে হবে। পরবর্তী আন্দোলনে তোমাদের আজকের অবদান প্রেরণ হয়ে থাকবে।
ছ. লাগাতার আন্দোলন হলে শোষক শ্রেণী সময় পেয়ে যাবে তাদের প্রস্তুতির। তাদের সেই সময়টা দেয়া উচিত নয়। সেটা কিভাবে? সেটা হল তোমাদের উচিত হবে কিছুদিন পরপর রাস্তায় নেমে আসা, এক একটা ইস্যু নিয়ে, আমাদের অনিয়ম আর দূর্নীতির মাত্রা এতোটাই বেড়েছে যে আরো অনেক কিছু নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। তাই পরবর্তীতেও আবার নামতে হবে, সেটাও দু'চারদিন চলতে থাকবে, শোষক শ্রেণী প্রস্তুতি নিতে নিতে আবার তোমরা ঘরে ফিরে আসবে, এটা ঠিক গেরিলা যুদ্ধের মতো।
জ. প্রশ্ন হলো এভাবে কতদিন চলবে? ততদিন চলতে থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পূর্ণ শক্তি অর্জন হয়। এভাবে অন্যায় অনিয়ম নির্যাতন বাড়তে থাকলে সকল শ্রেণী রাস্তায় নেমে পড়বে তখন চুড়ান্ত আন্দোল হবে।
ঝ. তোমাদের খেয়াল রাখতে হবে তোমাদের অর্জন যেন অন্য কোন সুবিধাবাদী পক্ষ চুরী না করে, মিসগাইড হবার আগেই ফিরে আসতে হবে, ইতিমধ্যে কিছু নোংরা ভাষার পোষ্টার দেখা যাচ্ছে, হয়তো সেগুলো এডিট করা হতে পারে, তায় এগুলোর জবাব দিতে হবে, কোন নোংরা পরিবেশ যাতে তোমাদের সাথে না জড়ায়।
ঞ. অবশেষে বলা যায়, ফিরে এসো। এবার রাষ্ট্রকে সুযোগ দাও। তাদের প্রতিকৃয়া দেখার সময় এবার। তারা কী বার্তা পেল এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখার সময় এবার।
বিষয়: বিবিধ
৮২২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আগামী প্রজন্মকে রক্ত ঢেলে আন্দোলন করা শেখাতে হবে। তোমরা মাঠেই থাক - আমরাও দল বেঁধে নামছি
না মক্কায়, না ৭১ এ বাংলাদেশে, না ৯০ এ।
আগামী প্রজন্মকে বাঁচতে হলে রক্ত দিতে হয় এটাই শেখাতে হবে।
প্রান কয়েকটা ঝরতে হবে।
একাত্তরে চুপ মেরে থেকেছিল। সেটার দায় ভোগ করছে একদল আরেকদল রাজনীতির নামে ব্যাবসা করার ফল ভোগ করছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন