টিট ফর টেট
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৩০:০০ রাত
সওদি আরব জিদ্দা প্রবাসী রোহিঙ্গা প্রজন্মদের চাল~চলন, কথা~বার্তার ধরণ তেমন ভালো লাগার মতো মনে হলনা। কথায় কিসের যেন একটা ঝাঝ থাকে। তারা যেহেতু আরবে জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেখানেই বেড়ে ওঠা তাই নিজের মধ্যে আরব আরব ভাবটা হয়তো চলে আসে। গতকাল একটা বস্তু কিনতে গেলে তিন রিয়াল দাম দিল, বললাম দুই হবে? সে বলল পাঁচ দেন, পাশে আরেকজনকে তাচ্ছিল্যভাবে বলল কম বললাম তায় কথা বেশী। মজার ব্যাপার হল আমি আমার বসের একটা দোকানে আড্ডা দিই। সেখানেও দেখলাম কাষ্টমার রোহিঙ্গারা খারাপ ব্যবহার করে। সেদিন দেখলাম এক বাংলাদেশী নোয়াখালির লোক এসে তুই তোকারী। আগেও দেখেছি এসে খুব ব্যস্ততা দেখাবে, মাল কিনে পকেটে টাকা হাতিয়ে দেখে কিছু কম আছে সেটা বাকী। সেদিনও দেখলাম একই ঘটনা, আট রিয়াল কম। আগের সত্তর রিয়েল বাকি ছিল। ক্যাশ মেনেজারকে বলে বাংলাদেশী দেখলে নম নম করবি, মাথা তুলবিনা, নিচা কইরা রাখবি। ম্যনেজার বলল তুই বাংলাদেশী না, তুই মদদী, বাংলাদেশীরা তোর মতো না, পাশে বসে আছে দেখ বাংলাদেশি কেমন। ততক্ষণে দোকানের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে ভদ্র লোকের দুই ছেলের কাছে। পিচ্চি দুইটা মালের উপর উঠে দৌঁড়াচ্ছে। আমি হতবাক। বুঝতে দেরী হলনা, সে রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে করেছে। ওনাকে বললাম বিয়াতো করলেন রোহিঙ্গা। হেসে বলল সেটাইতো ভুল করলাম। সে চলেগেল আর ম্যনেজারকে বললাম এতদিন আপনাকে খোঁচায় সেটা ধরতে পারেননি, সে রোহিঙ্গার সাথে ঘর করে। আরো একটা অনুমান দিলাম সে বউ এর মাইর খায়। এবার আসি আসল কথায়। পাহাড়িরা জুম্মাল্যান্ড এ বিশ্বাসি, তারা বাংলাদেশ মানেনা। ফেইসবুকে উসকানি দেয় রোহিঙগারা কেন এ দেশে। তাই তাদের জন্য চরম চিকিৎসা হতে পারে রোহিঙ্গাদের পাহাড়ে পূণর্বাসন।
বিষয়: বিবিধ
৮২১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন