সাধু সাবধান
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৩:৩০:৩৫ দুপুর
যেটা বলতে চাইছিলাম রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ এটা একটা প্রজেক্ট।
এই প্রজেক্ট এর চরিত্রগুলো খোলাশা হতে শুরু করেছে স্পষ্টতই। মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ আসবে আবার ব্যবসায়িক ও ধর্মিয় (ইসলাম/মুসলমান) নির্মূল এর স্বার্থে পক্ষে থাকবে মায়ানমার নামক রাষ্ট্রীয় নিপিড়নের।এ এক অনন্য আধুনিক দ্বিচারিতা। জাতিসংঘ নামক এক চিড়িয়া বাকসে বসে বানর নাচগুলো দেখানো হয় ভাবগাম্ভির্য ঢং ও ভঙ্গিতে।ভেটো প্রথা থাকার পর এবং ভেটো দেয়ার পরও আলোচনা চলে মন্দের ভালো একটা প্রক্রিয়া। আর জিম্মি হয়ে থাকে মজলুম গোষ্ঠী ও জাতিগুলো। অসহায় মুখগুলো চেয়ে থাকে যদি কোন আশার খড়খুটো পাওয়া যায়। আমার চারপাশে রোহিঙ্গা প্রবাসীদের চোখগুলো আমি দেখি, তাদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করি আর কথা হলে বোঝাতে চেষ্টা করি রাজনীতিটা কোথায় এবং কে কিভাবে খেলতে চাইছে। আমিযে খুব বুঝি তা নয় তবে যেটুকুন বুঝি সেটা শেয়ার করি। তারাও আশাহত হয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে। মাঝের মধ্যে বলে উঠে ধ্যুর আপনি লোক ভালোনা, রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে থাকেন। আসলে গোটা দুনিয়া যখন তাদের বিপক্ষে আর আমি যখন সেই সত্যটাই তুলে ধরার চেষ্টা করছি সেটা শুনে এমন আক্ষেপ এর মন্তব্য করবে সেটাই স্বাভাবিক।
আওয়ামী ঘরনার সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক purboposhchimbd.news এর প্রধান সম্পাদক: পীর হাবিবুর রহমান, লিখেছেন "মুজিব কন্যা এগিয়ে যান, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে সু চির অর্জন?" ভেবেছিলাম যুদ্ধের ডাক দিয়ে দিয়েছেন কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম গণেশ উল্টে গেছে। পুরো লেখাটায় দেখলাম সূচীর বয়ান। তার অবদান, তার পিতা, মাতা, জামাতার অবদান, সূচীর দুঃখে ভরা জীবন কাহিনী, সন্তান সন্ততি হতে আদ্যপান্ত কোন কিছুই বাদ দিলেননা। লেখাটা পড়ে যেন সূচীর জন্যই সিম্পেথি সৃষ্টি হবার যোগাড়। এমন কঠোর শিরোনাম দিয়ে সূচিকেই পাবলিসিটি যেন। এমন লেখা আর ধরণগুলো প্রজেক্ট এর জ্বালানি হিসেবেই কাজ করে।
তার চাইতে শতগুণে ভালো খবর হলো. কক্সবাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ‘ধরা পড়েছে’ বলা যাবে না বলে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।বুধবার মিয়ানমার নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায় তিনি নির্দেশনা দেন।
ছোট একটা নির্দেশনা কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক এবং কল্যাণকর। এমন চিন্তাটা আশা দরকার সাংবাদিক, কলাম লেখক ও বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর কাজ থেকে, তায় খবর পড়া, শুণা ও প্রচারে চাই সচেতনতা। অজান্তেই যেন প্রজেক্ট এর জ্বালানি সরবারাহ না করি।
সহমত পোষণ করি প্রধানমন্ত্রীর ছয় দফা। এখন প্রয়োজন দফাগুলো কার্যকর করার জন্য বাস্তব আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ ও তৎপরতা। শেখ হাসিনার এখন সুযোগ এসেছে বিশ্ব নেতৃত্ব হবার যদি সুযোগটা কাজে লাগাতে চান। ওআইসিকে সক্রিয় করার জন্য উদযোগ নিতে পারেন, সমন্বয় করার কাজগুলো করতে পারের রাষ্ট্রগুলো সাথে, নেটোভূক্ত রাষ্ট্রগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, তাদের সাথে কথা বলার ও কাজ করার এটাও একটা সুযোগ। ফ্রান্স আছে রোহিঙ্গাদের পক্ষে সেটা কাজে লাগাতে পারেন। হয়তো কিছুই করা হবেনা কিন্তু চেষ্টা করার প্রবণতা শুরু হলেই অনেক কাজ করা হয়ে যাবে এবং বিশ্বে একটা ভাবমূর্তি সৃষ্টি হবে ব্যাক্তি হাসিনার যেমন তেমনি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কি রোহিঙ্গা নির্মূলে কি পরোক্ষেভাবে জ্বালানির উপকরণ হবেন নাকি বিশ্ব নেতৃত্ব হবার জন্য এগিয়ে যাবেন। নাকি পীর হাবিবদের তোষামোদে হারিয়ে যাবেন।
খবর পাওয়া যাচ্ছে ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের জন্য যুদ্ধ করার জন্য সৈন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ আর আমরা কি শুধু বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছি নাকি এভাবে কোন প্রস্তুতি নিচ্ছি সেটাই এখন সময় এর দাবী।
সবশেষে সুখবর হলো সেনাবাহিনী ত্রাণ বিতরণ এর কাজে লাগতে যাচ্ছেন সেটাই। এটার সুফল হবে দ্বিমাত্রিক, প্রথমত সুষ্ঠু ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা আর সীমান্তে এলার্টনেস মায়ানমার এর প্রতি।
বিষয়: বিবিধ
৭১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন