রোহিঙ্গা কথন
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৭:১১ সকাল
জুলুম সইতে সইতে হোক বা যে কোন কারনেই হোক সবার একই কথা, আমাদের বছরের পর বছর নির্যাতন করে আসছে এখনো করছে, আমরা নিরুপায়। আরসা ভুল করেনি, তাকে সাধুবাদ জানায়। বোঝাতে চাইলাম ব্যাপারটা একটু অন্যভাবেও করা যেত, একটু অপেক্ষা করে বৌদ্ধ বা মগরা যখন আক্রমণ করতে আসবে তখন সম্মিলিত আক্রমণ করা যেত, তাহলে বিশ্ববাসী দেখতো আত্মরক্ষা করা হয়েছে কিন্তু যেভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে সেটার ক্ষেত্রটা অনেক বড় হয়ে গেছে এবং জান ও মালের অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা মানতে নারাজ। ঘুরেফিরে একই কথা, আমাদের যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, মাসের পর মাস, দিনের পর দিন অত্যাচার করে আসছে আরসা ঠিক কাজটাই করেছে। এভাবে না করলে বিশ্ববাসী বিষয়টা বুঝতনা, এখন বুঝতে পারছে। আমিও আর বোঝাতে চেষ্টা করলামনা, একরোখা যেন এ ব্যাপারে সবাই।
কথা বলছিলাম জনৈক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীর সাথে। সওদি আরবে তার ফার্ণিচার তৈরীর ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান আছে। দু'বার গিয়েছিল বার্মায় কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার তিন কিলোমিটার জায়গায় সীমাবদ্ধ। সেই পর্যন্ত যাবার রাইট আছে, তার বেশী গেলে সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে যাবে। আর সেনাবাহিনীকে খবর দেয়ার দায়িত্বও যেন নিজেদের, রোহিঙ্গা রাজাকার/তাপ্পেরা আছে, তারা গিয়ে খবরটা দিয়ে আসবে, তারপর এসে ধরে নিয়ে যাবে। তবুও সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাশের গ্রামে যাবে, কিন্তু খবর আসতে থাকলো যাওয়া উচিত হবেনা। আর যাওয়া হয়নি। চলে আসলেন।
তাকে কেউ কেউ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যাওয়া যাবে, গাড়ীর সামনে মগ/বৌদ্ধ একজন থাকবে, সে সামলাবে সব। যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের সাথে সেই মগ/বৌদ্ধদের যোগাযোগ আছে, সেই যোগাযোগের সূত্রপাত কয়েকটা করাণ থাকতে পারে তবে একটা অন্যতম কারণ হতে পারে ইয়াবা। বাংলাদেশে যেসব ইয়াবা চালান প্রবেশ করে সেইসব ইয়াবা সেইসব মগ/বৌদ্ধদের হাত ধরেই আসে আর বর্ডার ক্রস হয় রোহিঙ্গাদের হাত ধরে। যেসব রোহিঙ্গারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত মূলত তারাই আবার রাজাকার/তাপ্পে, তাদের সাথেই মগ/বৌদ্ধদের চলাফেরা এবং যোগাযোগ, তাদের মাধ্যমেই নিজেদের খবর চলে যায় শত্রুপক্ষের ঘরে।
জানিনা এবারকার পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে, যদি ন্যুনতম স্থিতিশীলতা আসে, রোহিঙ্গা আবার যদি যেতে পারে তাদে ভিটায়, ভিটা বলছি এ কারণে যে, তাদের সব বাড়ী পোড়া হয়ে গেছে, নতুন করেই করতে হবে সবকিছু। আর যেটা করতে হবে সেটা হলো ইয়াবার সাথে জড়িত সকল ব্যাক্তিবর্গকে নিজেরাই খতম করা, না হলে এই জাতির কোন নিস্তার নেই। নিজেরাও মরবে, অন্যদেরও মৃত্যুর কারণ হবে। আরসার উপর সেই দায়িত্বটাই বর্তাবে। তারা কাজটা করতে পারলে তাদের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে।
বিষয়: বিবিধ
৭০০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন