একটা জাতি নিশ্চিহ্ণের একটা গান হবে?
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৭:৪৪ সকাল
সময়মতো সবার বিষদাতগুলো বের হয়ে আসছে। ভারত গিয়ে হাত মেলালো, চীন ভেটো দিয়ে রাখলো। রাশিয়া বলল সেখানে আমেরিকার স্বার্থ আছে চীনকে বিপদে ফেলার জন্য কাজগুলো করাচ্ছে। আমেরিকা সেখানে ব্যবসা করবে। আমেরিকা বলল যথেষ্ট প্রমাণ নেই গণহত্যার তায় এখনই কোন পদক্ষেপ নেবেনা তারা। বাংলাদেশ এর সাধ্যে যা কুলোয় করে চলেছে তবে চাল আনতে গিয়ে হয়তো বুঝিয়ে দিল মালিশ। আরব লীগ এই উপলক্ষ্যে হলেও যদি বুঝে একএক করে তাদেরকেই ধরবে তাহলেতো অন্তত নিদ্রাভঙ্গ হবে।
আমি শংকিত আরাকান চলে গেলে এখানে ঘাটি হবে হয় চিন অথবা আমেরীকার, তখন ওরা চট্টগ্রাম এর দিকে চাপতে থাকবে, চট্টগ্রামও বেদখল হবে আগামীতে তার সূত্রপাত রোহিঙ্গা নিধনে অন্তর্ভূক্ত। কারন জায়গাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বন্দর আছে, সামরিক ঘাটি এবং ব্যাবসা দুটো দিয়ে অঞ্চলটাকে নিয়ন্ত্রণ করার নাভিমূল এটাই। তায় এখানে কেউনা কেউ হানা দেবেই। আমাদের এ বিষয় ভাবার এখনই শেষ সময়। যতো দেরী হবে তত ভুল হবে।
রোহিঙ্গাদের আল্লাহ ছাড়া আর গতি নেই আপাতত। তুরষ্ক চেষ্টা করছে কিন্তু এতোগুলো বিশাল শক্তির মোকাবেলা তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। আর বাংলাদেশ এখন জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে। এখানে এখন প্রতিটা সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা ভুল সিদ্ধান্তে সন্ত্রাষ এর মদদ দাতা হিসেবে চিহ্ণিত করে হামলা করা খুবই সহজ। আশা করব এ ব্যাপারে বড় দুই দল অন্তত দেশপ্রেমের পরিচয় দেবে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোন গান হবে কিনা জানিনা, মৌসুমি ভৌমিক গেয়েছিলেন একাত্তর নিয়ে যশোর রোড হায় একাত্তর মূল কবিতা এ্যালেন গিন্সবার্গ। হয়তো এমন একটা গানের বিনিময়ে শেষ হয়ে যাবে লক্ষ লক্ষ প্রাণ একটা জাতি। আর আধুনিক সভ্যতাকে দেখিয়ে দিয়ে যাবে সবার উপর বাণিজ্য সত্য তার নিচে মানুষ।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
৬২৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রোহিঙ্গারা মুসলিম জাতি এবং ভৌগলিক পরিচয়ের দিক দিয়ে রোহিঙ্গা। যেমন আমরাও মুসলিম জাতি এবং ভৌগলিক পরিচয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশী/বাঙালী।
আমরাও দীর্ঘদিন পরাধীন ছিলাম। শোষণ নির্যাতন নিষ্পেষণ আর অবিচারের স্টীম রোলারের চাকাতলে পিষ্ঠ হতে হতে ২১৪ বছর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের ঈমানী শক্তি আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। আমরা এমন মরণ পণ করেছিলাম যে, হয় দেশ স্বাধীন করবো নয় সবাই মরে যাব। পার্শ্ব দেশ ভারতে গিয়ে সামরিক ট্রেনিং নিয়ে ফিরে এসেছি দেশের মাটিতে। ওখানে রিফিউজি হয়ে বসে বসে খেয়ে খেয়ে দুই তিনটা চারটা বিয়ে করে চুরি ডাকাতী আর ছিনতাই রাহাজানী করার চিন্তা আমরা কখনোই করিনি।
১৯৮০ সাল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আছে রিফিউজি হিসাবে। তাদের এই ৩৭ বছরের ইতিহাস ঘাটলে এবং পর্যালোচনা করলে হতবাক না হয়ে পারা যায় না। কক্সবাজার অঞ্চলে অপরাধ জগতের বিরাট অংশ জুড়ে আছে তারা। হেন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি এবং করছে না। তাদের অপকর্মের কারণে এ অঞ্চলের মানুষদের সহানুভূতি হারিয়েছে তারা।
পরাশক্তি রাশিয়াও আফগানিস্তান আক্রমণ করেছিল। কিন্তু আফগানদের প্রতিরোধের মুখে বেশী দিন টিকতে পারেনি। পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হয়েছিল। ঐক্য ও ঈমানী শক্তি ছিল বলে গাঁদা বন্দুক দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিল দূর্মদ দুশমনকে। আল্লাহ পাক তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর কালামে পাকে বলেন, তোমরা যদি ঈমান আন আর নেক আমল কর, তবে তোমাদের বিশ জন দুইশ জন কাফেরের উপর বিজয় লাভ করবে।
গত ৩৭ বছরে আমি দেখেছি, রোহিঙ্গাদের ঈমান ও আমল দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত। মুসলমানদের প্রধান অস্ত্র এ দুটোই। এ দুটো ঠিক থাকলে পরে আল্লাহর সাহায্য আসে। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কখনোই মুসলমান বিজয় লাভ করবে না।
আমরা দোয়া করব অবশ্যই। কিন্তু ওরা ঠিক না হলে সারা পৃথিবীর মুসলমানদের দোয়ায় কোন কাজ হবে না। শুধু দোয়ার বলে যদি ইসলাম কায়েম হতো আর মুসলমানরা পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারতো তবে স্বয়ং রাসূল (সাঃ) কে মদীনার ১০ বছরের জীবনে ৮৩ টি যুদ্ধ পরিচালনা করতে হতো না।
সূতরাং
জন্ম যখন মৃত্যুরই জন্য, তখন মৃত্যুকে ভয় কেন? ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পলায়ণ না করে যা আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা গৌরবের নয় অপমানজনক মৃত্যু অবধারিত।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন