- ফেরি

লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:৫৯:৪০ সন্ধ্যা



ইচ্ছে জাগে তিন চাকার ভ্যান

ফেরি করে ঘুরবো শহর গ্রাম

বেঁচাবিক্রি করাই হবে কাম

রাত্রি জেগে নিত্য নতুন প্ল্যান।

বেঁচবো বই, খাতা, ডায়েরী কলম

জুতো জামা কিংবা শীতের শাল

প্রথম প্রথম হাসুক লোকপাল

সবার আগে বেঁচে দেবো অহম।


চোর কিংবা ডাকাত নইতো আমি

নিজের কাজটা নিজেই করে খাবো

প্যাডেল ঘুরে যতদূর পারি যাবো

বুঝুক লোকে ছোট কাজটাই দামি।

বিষয়: বিবিধ

১১০৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366146
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৩৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো।
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৫৭
303779
বাকপ্রবাস লিখেছেন : সত্য ঘটানাটা নিচের কমেন্ট এ যোগ করে দিলাম
366168
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:০৯
আফরা লিখেছেন : একেবারে ঠিক কথা কাজ করতে লজ্জা কিসের !!
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৫৭
303778
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ফেবু থেকে নেয়া হল Radio Bajna
রাজধানীর ধানমন্ডি ৭/এ এর একটি গলিতে ‘ড্রিম ভ্যান’- এ করে বিভিন্ন রকম লেডিস ও জেন্টস পণ্য ফেরি করে বিক্রি করছেন এক যুবক। দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম বলে প্রথম দর্শনে তাকে ফেরিওয়ালা মনে হবে না কারোরই। হাতে দামি ক্যামেরা, কানে হেডফোন, পায়ে দামি জুতা, পরনে জিন্সের প্যান্ট ও সাদা পাঞ্জাবী দেয় আরও আভিজাত্যের পরিচয়।

কাছে গিয়ে জানা গেল পরিচয়, নাম তাজুল ইসলাম (২৯)। পরিবার ও বন্ধুরা ডাকেন লিখন নামে। ফরিদপুর শহরে জন্ম। এখন থাকেন মোহাম্মদপুরে।

২০০৯ সালে মা রওশন আরা বেগম মারা যাওয়ার পর একা হয়ে পড়েন তিনি। তার আগে নিজের দুই বছর বয়সেই বাবা নুরুল ইসলামকে হারান লিখন। পরিবারের অন্য সদস্যরা সবাই উচ্চবিত্ত শ্রেণির।

লিখন রাজধানীর একটি কলেজে ডিপ্লোমা পড়া অবস্থায় ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ৫ বছর পরে দেশে ফেরেন। এরপর উদ্বোধন করেন ফেরি করার বাহন ‘ড্রিম ভ্যান’ এর।

দুই মাস ধরে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে কলেজ ব্যাগ, মানিব্যাগ, বেল্ট, সানগ্লাস, স্যান্ডেল, টি-শার্ট ও ক্যাপ বিক্রি করছেন। আছে দামি ও অভিজাত ক্যাকটাসও। এই ভ্যান কিনতে তার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আর পণ্য রয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো।

লিখন জানান, এই ৩০ হাজার টাকা পুঁজির ব্যবসায় প্রতিদিনের খরচ চলে যায় ‍তার। শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়েও তিনি জীবিকার্জনের জন্য এই কাজকে বেছে নিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি।

লিখন বলছিলেন, আমার কাছে কোনো কাজই ছোট নয়। সব কাজই মহান। কাজ সবসময় কাজই। কাজের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। কাজকে নানা শ্রেণি ও খাতে ভাগ করার জন্যই আজকে বেকারত্ব বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমার অনেক শিক্ষিত ভাইয়েরা পছন্দ মতো কাজ না পেয়ে বেঁচে থাকার জন্যই অসৎ পথ বেছে নেন। কিন্তু আমাদের উচিত সব কাজকে সমান চোখে দেখা। আমি মনে করি মন্ত্রী ও বাদাম বিক্রেতার কাজের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকা উচিত নয়।

‘বেকার যুবক ভাইদের লাজ-লজ্জা ভেঙে দেওয়ার জন্যই আমি এই কাজ বেছে নিয়েছি। সামনে ইচ্ছে আছে লুঙ্গি পরে রিকশা চালাবো। এরপরই ফেরি করে বাদাম বিক্রি শুরু করবো।’

কোরিয়ায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকা শহরে দু’টি প্লট কিনেছেন। এরমধ্যে একটি আবার অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা রিভার ভিউতে। কক্সবাজারের ওশান গার্লের অষ্টম তলায় কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাটও আছে তার। বাবা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই মামা-খালাদের আদরে বড় হন লিখন। পরিবারের সবাই উচ্চবিত্ত। এরপরও ফেরিয়ালার ব্যবসায় কোনো বাধা আসে না লিখনের।

লিখন বলেন, আমার পরিবারের সব সদস্যই আল্লাহর রহমতে ভালো অবস্থানে আছেন। সবাই আমাকে সাপোর্ট দেন, বাধা দেন না। আমার দেখাদেখি সব বেকার যুবক সব ধরনের কাজ বেছে নিলেই আমি হ্যাপি। তাহলে সমাজ থেকে চুরি, পকেটমার, রাহাজানি ও ছিনতাই উঠে যাবে।

এই হ্যান্ডসাম ফেরিওয়ালা বলেন, আমরা যখন বিদেশ যাই, তখন সব ধরনের কাজ করতে পারি। কিন্তু নিজের দেশে থেকে কেন পারবো না? দেশে কাজের মর্যাদা ও ভেদাভেদ যেদিন উঠে যাবে, সেদিনই আমাদের দেশটা আরও সামনে এগিয়ে যাবে। কাজের নানা ভেদাভেদ থাকার কারণে আমাদের সমাজে শিক্ষিত ভাইয়েরা আজকে বেকার।

বেকারত্ব লিখনকে পীড়া দেয়। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে হারে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বের হচ্ছে যুবক শ্রেণি, সেই হারে কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না। তাই আমাদের উচিত সব ধরনের কাজে মনোনিবেশ করা ও দেশটাকে সুন্দরমতো গড়া।
366184
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মিরু ফিরু তো বটেই আপনার নিজের ঘরেও আপনাকে ঢুকতে দেবেনা!! অথচ এর বদলে লম্বা স্যুট টা্ই লাগাই ঘুষ খান আপনি হবেন সবার প্রিয়!!
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০২:৩৯
303786
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ঘটনা সত্যTongue Surprised Crying Rolling on the Floor
366244
১৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৪২
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : বড় সুন্দর হে ভ্রাতা! ধন্যবাদ।
১৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:২৮
303833
বাকপ্রবাস লিখেছেন : খুবই ধন্যবাদ জানবেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File