- গর্ব (অণুগল্প)
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ১২ মার্চ, ২০১৬, ০৩:৪৫:৫৪ দুপুর
টিভি, পত্রিকা, ফেইসবুক সবখানে এখন একটাই খবর রিজার্ভের টাকা পাচার। বিষয়টা এখন রিহাবেরও মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠল।
আচ্ছা বাবা, সেদিন নিউজে পড়েছিলাম, ইসলামি ব্যাংকের কোন এক এটিএম বুথে ডাকাতি হচ্ছিল খুব ভোর বেলায়। তারা প্রথমে সিসি ক্যামরাটা অকেজো করে দিয়েছিল, কিন্তু অন্য একটা গোপন সিসি ক্যামরা ছিল সেটা তাদের জানা ছিলনা। আর ইমার্জেন্সি এলার্ম বেজে উঠেছিলো ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এর মোবাইলে। তিনি ঘুম ভেঙ্গে দৌঁড়ে এসে চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলেন ডাকাত ডাকাত বলে। ডাকাত দল ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে গেল। আর বাংলাদেশ ব্যাংক এর মতো এতো বড় একটা ব্যাংক তার সিকিউরিটি সিসট্যামতো আরো কঠোর হবার কথা। সেখানে কি করে এতো বড়ো ডাকাতি হল বাবা?
ছেলের প্রশ্ন শুনে বাবা অবাক হলেননা। জবাবটা দিয়েছিলেন পাল্টা প্রশ্ন করে। " আচ্ছা ধর, ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার নিজেই ডাকাতির সাথে জড়িত, তাহলে কি তার মোবাইলে এলার্মটা হতো?"
রিহাবের কাছে ব্যাপারটা এবার একটু খোলসা হতে শুরু করেছে, " তাহলে কি ধরে নেব শর্ষে ক্ষেতেই ভূত!"
বাবা ছেলের কথোপকথন এর মাঝেই কলিং ব্যালটা বেজে উঠল। দরজ খুলতেই সাদা পোষাকধারী কিছু লোক। আইডি কার্ড দেখিয়ে বলল, তারা বিশেষ বাহিনীর লোক, বাবা ছেলেকে যেতে হবে থানায়।
বাবা বলল চলুন। রিহাব অবাক হল, " আমাদের অপরাধ?"
আপনাদের অপরাধ হল, আপনারা রাষ্ট্রীয় গোপন বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলেন, আমাদের কাছে বিশেষ একটা যন্ত্র আছে, সেটা দিয়ে আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম। থানায় চলুন বাকী আলাপটা সেখানেই করা যাবে।
রিহাব এর গর্ববোধ হল। দেশের এমন টেকন্যলজির ব্যাবহার হয়, গর্ব হওয়ারই কথা। বাবা এবং ছেলের গর্বে পরানটা ভরে গেল। তারা এগুতে থাকলেন থানার দিকে....
বিষয়: বিবিধ
৮৮২ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাল, রায়, চাটুজ্যে আর দাস, কুমার, দে মশাই
ভাগিয়ে নিলো হাজার কোটি, শত জনমের এক কামাই।
ধানতো খাবেই ঘুঘু
ব্যাপারস্ না - ম্যান !
যারা এসবে জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করলে সমস্যা হবে যে !
মন্তব্য করতে লগইন করুন