- যাহাই লাউ তাহাই কদু
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৫৭:৪০ বিকাল
- চমকপ্রিয় কাতার। চমক দেখাতেই ভালোবাসে। প্রবণতাটা শুরু শেখ হামাদ পর্ব থেকে। পুত্র শেখ তামিম এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন সেটাও যেন এক চমক। কোন ঝামেলা ছাড়াই হস্তান্তর। পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে কাতারে। তাছাড়া মধ্যপ্রচ্যের স্থিতিশীলতায় জাতিসংঘে দেখা যায় কাতার এর সরব উপস্থিতি এবঙ দ্বিপাক্ষীক আলোচনার মাধ্যমে সর্বদা সচেষ্ট থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি এবঙ আর্থসামাজিক বিষয়ে।
- সম্প্রতি কাতার তার ‘লেবার ল,” তে কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যার ফলে বহিরাগত চাকুরিজীবিরা তাদের চাকুরী পরিবর্তন এর কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিশেষ করে কম বেতন এর কর্মচারীরা এতে কিছুটা লাভবান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান আমীর শেখ তামিম এর নামে ইশুকৃত ‘ল’ নং ২১ – ২০১৫ ইশু হবার ফলে পুরোনো “ল” ২০০৯ এর নভেম্বর ৪ এর কার্যকারীতা আর থাকবেনা।
- নতুল “ল”তে অভিভাসীদের এন্ট্রি এবং এক্সিট পারমিট, রেসিডেন্স এবং স্পন্সরশীপ সংক্রান্ত বিষয়ে বিষদ পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং পুরোনো ‘ল’তে যেখানে স্পন্সরশীপ শব্দটা লেখা হয়েছে, নতুন “ল’তে দেখা যাচ্ছে তার স্থলে “রিক্রটার” শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। অফিসিয়ালী গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হবার এক বছরের মধ্যে নতুন ‘ল’ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
- আর্টিক্যাল ২০ অনুসারে কোন কর্মচারী তার কন্ট্রাক্ট পিরিয়ড শেষ হবার আগেই যদি চাকুরী পরিবর্তন করতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই তার কোম্পানী অথবা রিক্রটম্যান্ট কতৃপক্ষ, মিনেষ্ট্রি অব ইনটেরিয়র এবং লেবার এন্ড সোসাল এফায়ার্স হতে অনুমতি পত্র লাগবে।
- কন্ট্রাক্ট পিরিয়ড শেষ হবার পর যদি কোন কর্মচারী তার জব চেন্জ করতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই উপরোল্লিখিত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- আর্টিক্যাল নাম্বার ২২ অনুসারে, যদি কোন কর্মচারী এবং তার রিক্রটারের সাথে এ সংক্রান্ত কোন বিরোধ বা মামলা মোকদ্দমা চলে তাহলে মিনেষ্ট্রি অব ইনটেরিয়র অথবা তার ডেপুটি হয়তো আপাতত (টেম্পোরারি) চাকুরী পরিবর্তন এর অনুমতি দিতে পারেন যদি প্রয়োজন বোধ করেন এবং তা লেবার এন্ড সোসাল এফায়ার্স হতে অনুমদনীয় হবার পর । আরো বলা হয়েছে মিনেষ্ট্রি অব ইনটেরিয়র যদি মনে করে থাকেন কর্মচারী তার রিক্রটম্যান্ট কতৃক প্রতারণার স্বীকার (অধীকার ক্ষুন্নের) ব্যাপার হয়েছে তাহলেও তাকে অন্যত্র চাকুরী পরিবর্তনের অনুমতি দিতে পারেন।
- উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা পূর্বক বলা যায় আগের মতেই সবকিছু, এনওসি এর ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলা না হলেও অনুমতি লাগবে আগের প্রতিষ্ঠান থেকে, সেই অনুমতিটাই এনওসি এবং সেটা কোম্পানী যদি স্বইচ্ছায় দেয় তাহলে আইন এর প্রয়োজন হবেনা, আর এখন আইন পাস হবার পরও কোম্পানী এনওসি দিতে বাধ্য নন। যেটা ছাড়া অন্যত্র জব করতে হলে মামলা মোকাদ্দামা ছড়া গত্যন্তর নেই। কয়জনই বা সেই পথ ধরবেন!! সোজা বাংলায় যে লাউ সেই কদু।
- বিশেষ সতর্কতা : মধ্যপ্রাচ্যে কাতার সম্প্রতি সবসময় খবরের শিরোম হলেও এখানে অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেতন কিছুটা কম বিশেষ করে সউদি আরব এবং ইউএই এর তুলনায়। কথিত ফ্রি ভীসায় কাজ করার সুজোগ একেবারেই নেই, এটা একটা অবৈধ কাজ এবং রাষ্ট্র ছোট হবার দরুণ খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়। আর তাই এখানে আসার পূর্বে ভালো করে জেনে বুঝে আসতে হবে। এমন ও দেখা গেছে চাকরী দেবার নাম করে ভিজিট ভীসায় আনা হয়েছে যার কোন মূল্য নাই। মাস খানেক পরেই চলে যেতে হবে। সুতরাং চোখ কান খোলা রেখেই আসতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আইনটাতো ভালই মনে হচ্ছে প্রবাসিদের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন