- নিতান্তই একান্ত
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২৬ জুলাই, ২০১৫, ১১:৪৫:৪৬ সকাল
মানুষ সময় এবং ভাবনা, একটার সাথে একটা সম্পৃক্ত। শিশুর কাছে খেলনা যেমন প্রয়োজন বড়দের কাছে খেলনা মানে খেলনা, হলেও চলে না হলেও চলে, কিন্তু সেই খেলনা পাবার জন্য শিশুর ঘুম নেই, বার বার তাগাদা দেয় আমার এই খেলনটা চাই। বড় হলে সেই শিশুই ভাববে খেলনা একটা বিষয় না হলেও চলে না হলেও চলে।
কৈশরিক ভাবনাগুলো কৈশরিক কিংবা যুবকের ভাবনাটা তার সময় অনুযায়ী। প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে উঠলে আগের ভাবনাটা অপ্রাসংগিক হতে পারে। তাই কিছু কিছু ভাবনা বয়স এবং সময় বিচারে খুব প্রাসংগিক হতে পারে এবং পরে দেখা যায় সেই প্রাসংগিক ভাবনাটাই অন্যতম অপ্রাসংগিক বিষয়।
প্রেম শব্দটার সাথেও সময় বয়স এবং স্বামর্থ ইত্যাদি জড়িত। কৈশরিক প্রেম এর আবেগ আর যুবক প্রেম এর আবেগ এবং তার সাথে পরিপূর্ণ বয়েস এর প্রেমের আবেগ এক নয়। সমস্যা হলো এই বিষয়টা বর্তমান যুগে যতটা না নিজের কাছে থাকে তার চাইতে বেশী অনুপ্রানিত করে তার চারিপার্শ্বিক অবস্থা। মিডিয়া, সিনেমা টিভি এসব কল্যাণে প্রেম শব্দটা এমন হয়ে গেছে যে এটাই আগে চাই, বাকী সব পরে। এটা না হলে জীবন বৃথা। তাই এটা ছাড়া বর্তমান প্রজন্ম বেড়ে উঠছে বলে মনে হয়না। বড় সমস্যা হলো আবেগ দিয়ে যখন এটা চালিত হয় তখন খেয়াল রাখতে হবে পরিণতি যেন মিজানুরের মতো না হয়।
বলছিলাম মিজানুরের কথা। ফেইসবুক হওয়াতে মৃত্যুর পর অনেক কিছু সহজেই উদঘাটন করতে সহজ হয়। মৃত্যুর পূর্বে মিজানুরের শেষ ষ্ট্যাটাস, “বন্ধুরা তোমাদের সকলের জন্য আমার এই স্ট্যাটাস। জানি আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রেম করে। কিন্তু সবাই জানে না এর শেষ পরিণতি কী? আমি জানি শুনবা তোমরা? শোনো আর না শোনো আমি বলবো। তোমার সঙ্গে সেই মেয়েটির প্রেম চলছে। হঠাৎ যদি মেয়েটার ভালো একটি বিয়ে আসে, তখন সে তোমায় ভুলে যাবে..…”
সে আর নেই। তার সময় এবং বয়স বিচারে হয়তো এটাই তার জন্য শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত ছিল, নিশ্চিত ভাবে বলা যায় সে যদি এটাকে এড়াতে পারতো তাহলে নিজেই বুঝতো এটাই তার জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল সিদ্ধান্ত।
মানুষের কিছু দায়িত্ব থাকে, তার প্রতি, পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি, বিশ্বের প্রতি, ধর্মের প্রতি ইত্যাদি। কিন্তু সে যদি শুধু নিজেকেই নিয়ে ভাবে তাহলে এমনটা হতে পারে, আমাদের প্রজন্মকে শেখাতে হবে জীবন শুধু নিজের জন্য নয়, মা-বাবা হতে শুরু করে সবার প্রতি প্রত্যেকের একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে, এসবের জন্য হলেও বেঁচে থাকতে হবে, আত্মহনন করা চলবেনা।
বিষয়: বিবিধ
৯৬০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব করে মেয়েরা কারণ , তাদের কোন সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই ।
আমাদের সমাজে একই রকম ব্যাপারে লিঙ্গভেদে আচরণ দুই রকম ।
একজন ছেলে যদি একজন মেয়েকে চিট করে তাহলে সে জন্য ছেলেটিকে থানা পর্যন্ত যেতে হয় । কিন্তু এরকম কাজ যদি মেয়েরা করে সেটার ঘটনা কানেই আসে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন