# নিতান্তই একান্ত
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২৫ জুলাই, ২০১৫, ০১:৫৯:২২ দুপুর
বছর দু'য়েক আগের কথা, একাউন্ট্যান্ট ছুটিতে গেলে পেইম্যান্ট ট্রান্সফার স্লিপ এর জন্য ব্যাংক এ ফোন করেছিলাম, আমি আগে থেকেই জানতান ভদ্রলোক বাংলাদেশী, তাই ফোনে বাংলায়ই বলেছিলাম যদি সম্ভব হয় ট্রান্সফার স্লিপটা যেন মেইল করা হয়, কিছুক্ষণ এর মধ্যে পেয়েও গেছি।
কিন্তু ব্যাপারটা সেখানে থেমে থাকেনি। একাউন্ট্যান্ট ছুটি থেকে আসলে একদিন কথা প্রসংগে আমাকে জানালো ব্যাংক এর ভদ্রলোকটা আমার ব্যাবহারে অসন্তুষ্ট, আমি নাকি ভালো বিহ্যাব করিনি। শুনেই মেজাজ বিগড়ে গেল, গালি দিয়েছিলাম বাংগালী কাচ্চারা বলে। কারন আমি অতি মাত্রায় বিনয়ী হয়েই রিকোয়েষ্ট করেছিলাম, আমার যেহেতু আগেই জানা ছিল ওনি বাংলাদেশী। তার আগেও বিজু না থাকলে আমি ফোন অথবা মেইল রিকোয়েষ্ট পাঠিয়ে কালেকশান করেছি পেইম্যান্ট স্লিপ।
সেদিন কলিগদের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করছিলাম, বাংগালী একটু ভালো প্রফ্যাশ্যানে চলে গেলে মাটিতে পা পড়েনা, এবং ঘটনাটা শেয়ার করলাম। কলিগরা বলল, ধ্যুর না, শুধু শুধু আপনার নামে মিথ্যে অপবাদ দেবে কেন? নিশ্চয় কোথাও ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে।
হুম হতে পারে, তার পর থেকে ভদ্রলোক এর প্রতি আমার চরম বিদ্বেষ ভাবটা আর থাকলনা, কারণ ধারণার উপর কিছু অভিব্যাক্তি প্রকাশ করা ঠিক না।
তবে এই ধারনাটা এখনো যায়নি সেটা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে বাংগালীর আন্ডারে যারা কাজ করে, যেমন ধরুন বড় কোম্পনীতে বাংগালী ম্যানেজার / মুদির অথবা প্রচুর বাংগালী দোকান আছে মালিক বাংলাদেশী তাদের আন্ডারে যারা কাজ করে তারা কিন্তু খুব ভালো নেই, অথচ এসব কর্মচারীদের খুশী রাখা কোন ব্যাপারই না, মাস শেষে একটু বকশিশ বা বছরে একটু বোনাস এবং সামন্য ইনক্রিম্যান্ট ইত্যাদি হলে কর্মচারীরা মনের আনন্দেই কাজ করতেন, কিন্তু সবসময় তা হয়না। অথচ এসব মালিকরা দেশে মসজিদ মাদ্রাশায় দান করে সুনাম অর্জন করে নিশ্চিতভাবে বলা যায়। অথচ তার অধীনে থাকা একজন কর্মচারীর মন পায়না।
ব্লগার জামাল ভাই ছুটিতে দেশে গেছেন, হয়তো আর আসবেননা, উনি বিষয়গুলো ভালোই অনুধাবন করেছেন এবং প্রায়ই এসব বিষয়ে লিখে শেয়ার করেন।
এখানকার বাংগালী ম্যানেজার/মুদির কিংবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এর মালিকরা মনে করে, তার অধীনে থাকা কর্মচারী দেশে থাকলে ৫/৬ হাজার টাকা কামাতো অথচ সে আরো কতো বেশী দিচ্ছে, বিষয়গুলো বাংলায় চিন্তা করে অথচ তার ইনকাম হয় রিয়েলে, এক রিয়াল সমান ২১.৩০টাকা।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল ।
আবুধাবীতে একটি কোম্পানীর একাউন্ট্যান্ট ছিলেন এক বাংলাদেশী লীগ। তিনি রাসেলের নামে একটি মৌখিক সংগঠন কায়েম করে বাঙ্গালী শ্রমিকদের নিকট থেকে প্রতিমাসে বেতন দেবার সময় ১০/১৫ দিরহাম করে অনেকটা বাধ্যতামূলক ভাবে কেটে নিত। পরে অবশ্য তার উপর গজব পড়েছে।
দেশের টাকা হিসাব করে।
যেমন,১২০০ রিয়েল হিসাব করলে প্রায় ২৫০০০ টাকা।
কিন্তু যে লোকটা সাত লক্ষ টাকা দিয়ে এসেছে সেই হিসেবটা করেনা।
অতএব বাংগালী বলে কথা।
ধন্যবাদনিন বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন