- নিতান্তই একান্ত / শাহাদাহ (৩)
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৭ জুলাই, ২০১৫, ০১:৫০:৩৭ রাত
গত পর্বে আমরা দেখেছি Mandi Tork কেন এবং কিভাবে ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং তার পারিবারিক প্রতিক্রিয়া। আমরা সেখানে দেখেছি মান্ডির মা তার মেয়েকে স্বাগতম জানিয়েছিলেন, কেননা পাশ্চাত্যে ব্যাক্তি স্বাধীনতার একটা স্তর আছে। বিশেষ করে হাই স্কুল শেষ করার পর সন্তান চাইলে একা থাকতে পারে এবং তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। মা বাবা সন্তানের সিদ্ধান্তে খুশী বা নাখোশ হতে পারেন কিন্তু তাতে হস্তক্ষেপটা সরাসারি করেননা এবং এই ব্যাপারে রাষ্ট্র সন্তান এর পক্ষেই থাকবে এমন একটা রাষ্ট্রিয় সমাজ ব্যাবস্থা সেখানে গড়ে উঠেছে।
ব্যাপারটা কি আমাদের সাথে মিলে? আমরা কি এমন? হুম আমরা ও এমন হয়ে যেতে পারি যদি সচেতন না হই। ব্যাপারটার সাথে দুটো বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, একটা হলো শিক্ষা এবং অন্যটা স্বামর্থ। এই দুইটা যখন হয় তখন মানুষ নিজের সিদ্ধান্তটা নিজেই নিয়ে থাকে, অন্য কেউ তেমন হস্তক্ষেপ করতে পারেনা, আমাদের শহুরে সমাজটা একটু দেখুন, ছেলে মেয়ে যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যায় তখন যৌথ পরিবার আর থাকছেনা, আলদা হয়ে যাচ্ছে জীবন এবং জীবিকার তাগিদে হলেও। আর যেহেতু পাশ্চাত্য তাদের পরিবার প্রথাকে অনেক সংকীর্ণ করে ফেলেছে তাই তাদেরটা খুব বেশী চোখে লাগে এবং আমাদেরটা তেমন বুঝা যায়না। তবে আমরা যদি ব্যাপারগুলো না বুঝে তাদেরকে অনুসরণ করতে থাকি তাহলে সূদুর ভবিষ্যতে আমরাও একটা সংকটে পড়ব, যে সংকটটা এখন পাশ্চাত্য অনুভব করে তবে সমাধান খুঁজে পায়না, সেটা হলো পরিবারপ্রথা, আমরা যৌথ পরিবারে থাকতে না পারলেও মা বাবা নিয়ে একক পরিবারে থাকার চেষ্টাটা করি, কিন্তু পাশ্চাত্য নিজের অজান্তে সেটাও হারিয়ে বসে আছে। কারন তারা নিজেকে এতো বেশী প্রাধান্য দেয় যে সেখানে সন্তান মা-বাবার কথা ভাবছেনা, আর মা-বাবা ভাবছেনা সন্তান এর কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাই স্কুল পর কলেজে পা রাখতেই সন্তান যেখানে গার্ল ফ্র্যান্ড নিয়ে আলাদা থাকছে অন্যদিকে মা বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে তারা এডজাষ্ট করতে পারছেনা বলে, মা-বাবাও আবার নতুন সঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছে এই হলো চালচিত্র।
আমার চারপাশ থেকে কিছু উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, আমার অপিষে জনৈক ব্রীটিষ এলেন, বদ মেজাজ এর জন্য তার স্ত্রী তাকে ফেলে চলে যায়, স্বভাবতই অন্য কোন বয় ফ্র্যান্ড অথবা স্বামী খুঁজে নিয়েছে, এদিকে তার দুই সন্তান তখন সবে মাত্র হাই স্কুলে, তারা হোষ্টেলে থেকে পড়ালিখা করছে এবং খরচটা যোগান দিচ্ছে বাবা, মা কোন যোগাযোগ রাখছে কিনা জানিনা কারন সেটা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার, সন্তান আছে ব্রিটেনে এবং বাবা আছেন কাতার, এদিকে এলেন নতুন সঙ্গী বা স্ত্রী জোগাড় করেছেন যিনি থাইল্যান্ডের অধিবাসী এবং সেখানেই থাকে। সম্ভবত বছরে একবার সেখানে গল্ফ খেলার টুর্নামেন্ট হয় তখন এলেন সেখানে যায় গল্ফ খেলার উদ্দেশ্যে, এটাই তাদের বর্তমান সংসার। ছেলে মেয়ে হাই স্কুল পার হলে তারা খুঁজে নেবে নিজেদের সঙ্গী, থাকবে একসাথে, মনে মনে মিল হলে বিয়ে করবে, না হলে সঙ্গী পরিবর্তন করবে। এটাই এখন তাদের পারিবারিক ব্যাবস্থার বাস্তবতা। সব পরিবার এমন তা নয়, তবে এটা তাদের জন্য স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
ব্যাপারগুলো আলোচনার উদ্দেশ্য হলো, এমন একটা রাষ্ট্রিয় সমাজ ব্যাবস্থায় সন্তান যৌবনে পড়তেই দিকভ্রান্ত হয় এবং নিজের জন্য বেছে নেয় ভোগ্য জীবন, যেটা হলো খাও দাও আর ফুর্তি করো, ব্যাপারগুলোর আরো গভীরে যেতে হলে আমার মূল লিখাটাই সরে যাবে তাই সেদিকে আর যাওয়া সমীচিন হবেনা। এবার আমরা দেখব কনভার্টেট ইসলাম এবং তার পারিবারীক প্রতিক্রিয়ার একটা ভিন্ন চিত্র, যেটা দেখেছিলাম আগের পর্বে তার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান।
দেখছিলাম এ্যামেরিকার জনপ্রিয় টকশো বা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান Dr. Phil, সেখানে মনিটর/বড় পর্দায় ছবি দেখিয়ে উপাস্থাপক পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন এভাবে, ইনি হলেন Kristin এবং এমসি রাডার হিসেবেও ইনি সমধিক পরিচিত এবং তিনি একজন আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত র্যাপার ( র্যাপ সংগীত গায়িকা) হিসেবে, দুই বছর আগেও তার গানের ষ্ট্যাজ প্রোগ্রামে তার স্বভাব সুলভ আচরণে দাপিয়ে বেড়াতেন। আর ইনি হলেন এ্যাবি যিনি সাবলিল ভাবে আরবী ভাষা জানেন বা বলতে পারেন, যিনি এলকোহল পান করেননা, অবাধ যৌনাচার থেকে সংযত থাকেন, এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে থাকেন। দুজন বিপরীতমুখী চরিত্র, তবে তারা দুজনই একই জন।
উপস্থিত দর্শক অবাক করা কিছু দেখতে যাচ্ছে ভেবে এবার নড়েচড়ে বসেন। উপস্থাপক Dr. Phil মিনিট খানেক কথার বিরতি দিয়ে আবার বলতে লাগলেন, ইনি দুই বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন এ্যাবি, সত্যিকার অর্থে আবিদা। যার মা ডারলিন একজন খ্রীষ্টান এবং প্রত্যাখ্যান করেছেন নিজের মেয়েকে এ্যাবি নামে ডাকা কিংবা এই বদলে যাওয়া এ্যাবি কে।
গত একবছর মা এবং মেয়ের যোগাযোগ ছিলনা এই অনুষ্ঠান হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। Dr. Phil তার অনুষ্ঠানে দু'জনকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাদের দু'জনের কথা শুনে যদি কোন সমাধান বের হয়ে আসে, মা মেয়ের সম্পর্কটা যেন স্বাভাবিক হয়। ডারলিন, এ্যাবি এর মা যখন স্টেজ এর দিগে এগিয়ে আসছিলেন, তখন তার কান্না পাচ্ছিল, চোখ মুছতে মুছতে সে তার আসনে বসলেন, আর এ্যাবি স্বাভাবিক ভাবেই তার মা'কে দেখছিলেন মুখোমুখি চেয়ারটাতে বসে।
এবার আসা যাক তারা তিনজনের কথপোকথন।
এ্যাবি: আমি বেড়ে উঠি সাইথান বেপ্টিস্ট, টেক্সাস শহরে, আমি ইসলাম গ্রহণ করি ২০১২ সনে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার এক সপ্তাহ পর আমি আমার নাম পরিবর্তন করেছি, আবিদা। যার অর্থ (Worshop of God) খোদা ভক্তি/ খোদার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা। আমার মা আমাকে এ নামে ডাকতে আগ্রহী নয় Kristin নামটা ছাড়া।
ডারলিন : আমি তার এ্যাবি নামটা প্রত্যাখ্যান করেছি, সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর আমেরিকা নিজের ঘরে আসতে নারাজ, আমার ভয় এ ব্যাপারে যে, সে একজন সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠবে, কেননা ইসলাম বলতে আমি বুঝি, " আলকায়দা, সন্ত্রসী হামলা বা গোলযোগ, ওসামা বিন লাদেন এবং আমি কখনোই ইসলাম বলতে মন্দ ছাড়া বালো কিছু দেখিনি। আমি নিশ্চিত আমার মেয়ের মগজ ধোলায় করা হয়েছে এই পথ বেছে নেবার জন্য। সে স্কার্ফ পরিধান করছে, সে তার ড্রেস পরিবর্ত করে ফেলেছে (আবায়া বা বোরকা পরিধান করা অর্থে)। "
এ্যাবি : গর্ব করে বলেন, " আমি মুসলিম, মুসলমানরা সন্ত্রাসী নয়, আমি হিজাব পালন করি কারন এতে (modesty) বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা. শালীনতা প্রকাশ পায় এবং এতে আল্লাহকে খুশী করা হয় ।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ্যাবি আরো বলেন, " আমি আমার আগের প্রফেশনাল জায়গা থেকে এখন আরো ভালো জায়গায় আছি, হল্যান্ড ইউরোপে আমি র্যাপশো গুলো করতাম, তখন আমি এলকোহলিক হয়ে পড়েছিলাম, চব্বিশ ঘন্টা আমার সাথী ছিল বিয়ার, আমি রেনডমলি আমার ফ্যান আর ক্লাবঅনারদের সাথে সাথে শুয়ে পড়তাম, তখন আমার কাছে ভালো মন্দ এসব এর বাছ-বিচার ছিলনা। অন্যদিকে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর আমি মদ্যপান হতে শুরু করে যৌন ব্যাপারগুলো থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং আমি এখন কোরান পড়ে আর নামাজ পড়ে সময় পার করি। যেটা আমার আগের জীবন থেকে সম্পূর্ণ ভাবেই আলাদা।
Dr. Phil : আপনি এক বছর পর আপনার কন্যাকে দেখছেন, এতে আপনার অনুভূতি কি? কোন পরিবর্তন কি লক্ষ্য করছেন?
ডারলিন : চোখ মুছতে মুছতে, আমি বুঝাতে পারবনা, সে যেন আমার কন্যার মতো নয়, সে অনেক বদলে গেছে। তার এ বদলে যাওয়াতে আমি অনেক আঘাত পেয়েছি। তাকে কোনভাবেই মনে হচ্ছেনা সে আমার মেয়ে।
Dr. Phil : তুমি কি মনে কর, তুমি কি বদলে গেছো এ্যাবি?
এ্যাবি : হ্যাঁ এটা একটা বিষ্ময়কর ব্যাপার, আমি আমার ভেতরে ঠিকই আছি কিন্তু আমি আমার জীবনকে আরো উন্নত করেছি, এবং আমার মনে হয়, আমার মা'র খুশী হবার কথা, এমনকি প্রত্যেক মা-বাবা জেনে খুশী হবেন, যখন তারা শুনবে, তাদের সন্তান মদ ছেড়ে দিয়েছে, অন্যের সাথে রাতে ঘুমাতে যায়না এবং আরো ম্যাচিউর হয়েছে।
Dr. Phil : আপনার কন্যার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন/ অভিব্যাক্তি কি?
ডারলিন : সে পর্দা মানিয়ে চলে, সে তার মুখ ঢেকে রাখে, সেতো এমনটা ছিলনা, তার অনেক স্কিল আছে, সে একজন র্যাপ সংগীত শিল্পী, সে তিনটা ভাষা জানে, সে কম্পিউটার চালনায় ভারো পারদর্শী, সবচেয়ে বড় কথা আমার ভয় সে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়বে।
Dr. Phil : এ্যাবি তুমি কি বল? তোমা মা চায়, তুমি আমেরিকায় ফিরে আসো, তুমি আমেরিকার পতাকা ছেড়ে সৌদি আরবের পতকা গ্রহণ করেছো, তোমার মা অভিযোগ করল তুমি ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছো, নিজেকে গুটিয়ে ফেলছো, আর তোমার মা'র বড় ভয় যেটা সেটা হলো তুমি সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়বে।
এ্যাবি : (ভেতর থেকে হাসি পেল এ্যাবির এবং তার ঢেউ এসে পড়লো তার ঠুটে, মুখে, অবয়বে) আমি জানি এবং বুঝি ব্যাপারটা, আমার মা যে ইনফরমেশন গুলো পেয়েছে যার ভিত্তি মিডিয়া, মুভি, টিভি শো থেকে, এটাই বড় সমস্যা, আমার মা'র সময় লাগবে ব্যাপারগুলো বুঝতে, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।
কন্যা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে এ্যাবি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে আনেন, যেটা হলো, এ্যাবির একটা স্বভাব অন্যকে তার দিকে আকৃষ্ট করা, আর তার জন্য সে ক্ষণে ক্ষনে বদলেও যায়। সে র্যাপ গায়িকা, সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়, সে ডাচ ভাষা শিখে এবং ঘোষণা দেয় " আই লাভ ডাচ বয়, " সে শরীরে ট্যাটুর আকৃতি নেয়, সে মুসলিম হয়ছে এটা খুব একটা বিশ্ময় বা বড় ব্যপার নয়, কারন তার অনেক রূপ আমি দেখেছি, ক্ষণে ক্ষণে সে বদলায় নিজেকে, অন্যকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে, আর এখন সে সৌদি পতাকা গ্রহন করেছে, আমি মনে করি সে তার আইডিনটিটি হারিয়েছে।
Dr. Phil : এ্যাবি, তোমার মা'র ভাষ্য মতে তুমি ক্ষণে ক্ষণে বদলাও নিজেকে, তুমি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন নিয়েছ? ডাচ ভাষায় বা কেন শিখলে? আর বর্তমান সৌদি আরবে আছো, সেখানে তো জীবন যাপন সম্পূর্ণ বিপরীত, মহিলারা ড্রাইভিং করতে পারেনা, এই যে একটা ভীন্ন পরিবেশ তুমি কিভাবে খাপ খাওয়ায় নিজেকে? সেখানে নেই নারী স্বাধীনতা, নারী একা বের হতে পারবেনা, শুক্রবারে জুমার নামাজ মসজিদে পড়তে হবে, আরো আরো অনেক রুলস আছে সেখানে।
এ্যাবি : হুম আমি সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম, সেটা ভিন্ন কোন কারনে নয়, আমার সামরিক জীবনটা ভালো লাগত, আমার ডাচ বন্ধুরা ছিল, আমি ডাচ ভাষাটা শিখি, আমি গানবাজনা করেছি, এগুলো আমি চর্চা করেছি, আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
আমি জানি সৌদি আরবে নারীদের অধীকারগুলোর সীমাবদ্ধতা আছে, এখানে যেমন আমেরিকায় নারীরা স্বাধীন সেখানে তেমনটা নয়, এখানকার পরিবশে জীবনযাত্রা অনেক উন্নত, তবে আমি সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি, আর আমি মনে করি নারীদের অধীকার সীমাবদ্ধতাগুলো তাদের নিরাপত্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
Dr. Phil : এইযে তোমার হাতটা দেখাও, সেখানে ট্যাটু দেখতে পাচ্ছি! এটা কিসের?
এ্যাবি : এটা আসলে গিকওয়াইফ ট্যাটু, যেমন ধরুন গ্যাংস্টার তারা একটা ট্যাটু ব্যাবহার করে, এটা তেমন একটা, আমি আসলে স্টুপিট, আমি ট্যাটু ব্যাবহার করছি। আমার আগে খ্রীষ্টান ট্যাটু ছিল, আমার কমিউনিটি সেগুলো জন্য উষ্মা প্রকাশ করেছে, তারপর থেকে আমি সেটা বাদ দিয়েছি, তাছাড়া সেটা কষ্টলিও ছিল, এখন আর সেই ট্যাটুগুলো ব্যাবহার করিনা।
অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিল একটা প্রতিজ্ঞা করে, মা মেয়ে Dr. Phil কে কথা দিয়েছিল, তারা দু'জন দু'জনার সাথে যোগাযোগ রাখবে.....।
চলবে.......
বিষয়: বিবিধ
১০৫৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
পর্বগুলি ভালো লাগছে। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
চলুক চলুক চলুক,
বহু দুর চলুক,
এক ক্রশ নায়,
দু্ই ক্রশ নয়,
হাজার ক্রশ মাইল চলুক।
যদি থাকে তেল
ধন্যবাদ জানবেন খুব করে
সত্য মানার মানসিকতা তৈরী হোক সমাজের প্রতিটি অংশে। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন