- নিতান্তই একান্ত / শাহাদাহ (২)
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৫ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৫০:৩২ রাত
প্রথম পর্বে বলেছিলাম পাশ্চাত্যে ধর্মটা ভাসা ভাসা চর্চা করা হয় এবং ধর্মের সাথে ব্যাক্তির একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেনা। তারা সপ্তাহে, মাসে বা বছরে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করে এবং ধর্মের ভারটা তারা আসলে নিজেরা বহন করেনা, এই দায়িত্বটা তারা উপসানলয়কে দিয়ে রেখেছে, তারা সেখানে যাবে আসবে আর পুরোহিত তাদের কিছু ধর্মীয় বাণী শুনাবে মূলত এখানেই তাদের ধর্ম চর্চাটা সীমাবদ্ধ। যারা একটু চিন্তাশীল, কিছু জানার আগ্রহ আছে তারা পাদ্রী বা পুরোহিতকে প্রশ্ন করে এবং তৃপ্তিদায়ক বা জুৎসই উত্তর তারা পায়না, একটা অতৃপ্তি কাজ করে তাদের মনে, যেন কোথায় একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। গ্যাপটা আসলে কোথায় সেটা পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে। তার আগে আমরা এক বোনের সাথে পরিচয় হব, যিনি খ্রীষ্টান ধর্ম ছেড়ে এসেছেন ইসলাম এর ছায়াতলে, কেন?কিভাবে এবং তার প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
Mandi Tork
" আমার বেড়ে উঠা সম্পূর্ণ ঘরোয়া অনন্য এক পরিবেশে, সত্যিই এর চাইতে আর ভালো হতে পারেনা এবং অনন্য আমার মা-বাবা, যাদের সাথে এখনো আমার মধূর সম্পর্ক।
অল্প বয়স থেকেই বন্ধু বান্ধব এবং অন্যান্যদের মতো আমার চার্চে যাওয়া আসা।
আমি অনুভব করাতাম 'হলি স্পিরিড', গড এর সাথে রিলেশানশীপ এর মতো ব্যাপারগুলো। আমি গড এর অস্তিত্ব অনুভব করতাম, আমি গড বিশ্বাসী একজন খৃষ্টান ছিলাম।"
খ্রিষ্টান ধর্মে হলি স্পিরিড মূলত ত্রিনিটিকে বুঝানো হয়, ব্যাপারটা এমন পিতাই গড, পুত্রই গড, গডই হলি স্পিরিট। এই তিন মিলে এক হয়ে যাবার যে একটা গূড় রহস্য এটাকে মনে প্রাণে ধারণ করাটাই হলি স্পিরিড।
" আমি রাতে কান্না করতাম গড এর কাছে, প্লিজ ধরা দাও আমার কাছে, বল তুমি কে? এবং তোমার আর আমার মাঝ যে একটা সম্পর্ক সেটা তুমি খোলসা করে দাও আমার মনে।
কথা গুলো আমি আমার চৌদেয়ালে ঘেরা ঘরের মধ্যে বলতে থাকতাম, যেন কেউ শুনতে পাচ্ছে আমার কথা গুলো।
আমি গড এর সাথে আমার যে একটা আত্মিক সম্পর্ক সেটা ধরার চেষ্টা করতাম, তবে সত্যিকার অর্থে সম্পর্কটা আমার হয়েছিল এবং সেটা নতুন একটা গড এর সাথে, যখন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম। এটা সত্যি এমন কল্পনাতীত একটা ব্যাপার বলে বোঝানো যাবেনা।
আমি এখনো সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, খোদাকে জানার এবং বুঝার এবং ধর্মীয় চর্চাগুলো, যেগুলো আমার জীবনকে আরো সমৃদ্ধি এবং সুন্দর হতে সাহায্য করবে।"
"অন্যান্য শিুশুদের মতোই তার বেড়ে ওঠা, সবসময় একের অধিক বন্ধু তার থাকতনা। সে সম্ভবত কারো দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে পথভ্রষ্ট হয়েছে। Mandi Tork সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলছিলেন তার মা। "
" আমার যখন হাই স্কুলে প্রবেশ তখন আমার জীবনে অনেক কিছু বদলে যেতে থাকে, কেননা নতুনসব বন্ধুদের সাথে পরিচিত হতে থাকলাম। কিন্তু আমি এড়িয়ে চলতাম বন্ধুদের মধ্যে যারা খ্রিষ্টিয় ধর্মটা চর্চা করতনা, যারা সপ্তাহান্তে পার্টিতে গিয়ে ড্রিংক করতো, এবং তাদের অভিভাবকরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিল নিজেদের ইচ্ছেমতো জীবন যাপনে।আমি তেমনটা পছন্দ করতামনা এবং আমার বাবা-মা আমাকে তাদের মতো করে চলার স্বাধীনতা দেইনি এবং আমি চেষ্টা করাতাম আমার অভিভাবক যেভাবে আমাকে গাইড করতে চাইতো। আমি তাদের বিধি নিষেধ এর কথাগুলো রাখার চেষ্টা করতাম।
রাত ছিল আমার ভাবনার সাথী, রাতে আমি বেড়িয়ে পড়তাম মূল এর সন্ধানে। এবং রাতের পর রাত আমি সত্যটা খুঁজতে থাকতাম। হাইস্কুল পাঠ শেষ করার পর আমি সম্ভবত এগনস্টিক (অজ্ঞেয়বাদ, বস্তু ছাড়া অন্য কিছু বা ইশ্বস সম্বন্ধে কিছুই জানা সম্ভব নয় বলে যারা বিশ্বাস করে) এর দিকে ঝুঁকে পড়েছিলাম।
আমার বয়স যখন ১৮ তখন আমি মা-বাবার কাছ থেকে দূরে চলে আসি। আমি আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে আলাদা এপার্টম্যান্ট এ থাকতে লাগলাম। তখন জীবনটা একটু এলোমেলো লাগলো আমার কাছে, আর তখন নিজের পায়ে দাড়ানোর চেষ্টা এবং মা-বাবাকে ছেড়ে থাকার নতুন এক অনুভুতি। আমার ছন্নছাড়া জীবনটায় তখন গডকে আরো বেশী অনুভব করতে লাগলাম।
আমার সংগ্রামটা চলমান ছিল, নিজের সাথে, নিজেকে বুঝা, আমি কে? আমার করনিয় কি?, গড এর সাথে আমার সম্পর্ক, এবং কিভাবে আসবে জীবনের সফলতা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ত তাড়িত করত আমাকে।
আমার কলেজ জীবনে আমি একটা নয়, দুই দু'টো মারাত্মক ভুল করেছিলাম, তবুও আমি সেটা সামলে উঠলাম, আমি সেটা ভুলে থাকার চেষ্টা করতাম, যেন আমার কিছুই হয়নি। ঐ ভুলগুলো আমি করিনি। এবং আমি প্রার্থনা করার অভ্যাসটা চলমান রেখেছিলাম। আমি তখনো সন্ধান করতে লাগলাম আমি কে? আর হয়তোবা আমার ভুলগুলোর সুবাধে আমি উপহার পেলাম ইসলাম, সেই ভুলগুলোর কারনেই হয়তো আমি ইসলামকে খুঁজে পেয়েছিলাম।
ইসলাম সম্পর্কে তখনো আমি তেমন কিছুই জানতামনা। ৯/১১ যখন হয়েছিল তখন আমি হাই স্কুলে। সত্যিকার অর্থে তখন মিডিয়া এবং নিউজগুলো থেকে ইসলাম সম্পর্কে যা জেনেছিলাম সবগুলো নেগেটিভ বা খারাপ বার্তা বলা যায়। মুসলমান মানে সন্ত্রাষ, চরমপন্থী, উগ্র বা হিংস্র এসব ভুল ধারনাগুলোই পেয়েছিলাম তখন ইসলাম বলতে। সত্যিকার অর্থে আমার ধারনা ছিলনা অভিযোগ গুলোর সত্যতা সম্পর্কে।
আমার কলেজ জীবনে আমার দু'জন বন্ধু ছিল, যারা ছিল সৌদি এরাবিয়ান। এবং তারা ছিল আমার জীবন প্রথম মুসলিম এবং মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধু। সত্যিকার অর্থে আমি সক্ড (আশ্চর্য) হলাম। সভাবতই তাদের সম্পর্কে আমার পূর্ব ধারনা ছিল নারীর প্রতি তারা সহনশীল নয়, কিন্তু আমি যখন তাদের সাথে মেশা শুরু করলাম আমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত হলো।
তারা ছিল এ যাবৎ কালের আমার শ্রেষ্ঠ ভাল বন্ধু। তারা ছিল সতিই শান্তি প্রিয় এবং তারা আমার সাথে এমন ব্যাবহার করতে লাগল যেন আমি তাদের ঘরের একজন সদস্য। আর আমি পেতে থাকেলাম এক নতুন ইসলাম চিত্র। এটা সত্যিই সম্পূর্ণ বিপরীত বার্তা যেটা ইতিপূর্বে আমি পেয়েছিলাম মিডিয়া বা টেলিভিশন চ্যানেল থেকে। ওটা ছিল সত্যিই বিভ্রান্তকর বার্তা।
আমার দু'জন অসাধারন মুসলমান বন্ধু থাকা সত্বেও ভিন্ন চিত্রও আমি দেখেছি মুসলমানদের, যারা মদ্য পান করতো, গসিপ করে সময় কাটাতো, অন্যদের কুৎসা রটিয়ে বেড়াতো, যেগুলো আমি এমনিতেই এড়িয়ে চলতাম আগে থেকেই। তখন আমি নিজেকে বলতে লাগলাম এটাতো সেই চিত্র খ্রিষ্টানরা করে থাকে কিংবা অন্য কিছু, আমি সত্যিই মুসলমানদের কাছে এটা প্রত্যাশা করিনি। এগুলো ইসলাম এর অনুসংগ হতে পারে আমি সেটা ভাবতে চাইনা।
তারপর আমি যখন ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম, আমার বন্ধুরা এগিয়ে আসলো, তবে তখনো আমি ইসলাম সম্পর্কে দৃঢ় প্রত্যয়ি হইনি তবে আমি ধর্ম পরিবর্তন এর খুব কাছাকাছি চলে আসলাম ইসলাম এর সাথে।
যখন আমি দুবাইতে ছিলাম সেটা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আমি সেখানে গিয়েছিলাম ২০১১ সালে শুভ নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে। এবং আমি সেখানে আমার বন্ধুদের সংস্পর্ষে ছিলাম। আমি তাদের সাথে আমার অভিব্যাক্তি প্রকাশ করলাম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ব্যাপারে, তবে তখনো আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলামনা।
তারা এক ভাইকে পরিচয় করিয়ে দিলো যিনি কাজ করতেন ইসলামিক সেন্টার এ। যিনি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর এত সহজ করে দিয়েছিলেন যে এর আগে আমি অন্য কারো কাছে জবাব পেয়ে এতো তৃপ্ত হইনি। এবং মজার ব্যাপার ছিলো এইযে, সে ছিল ধর্মান্তরিত মুসলমান। এবং সে এসেছিল টেক্সাস থেকে।
তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে আমি তখন সম্পূর্ণ প্রস্তত, আমি সিদ্ধান্ত নিতে আর দেরী করলামনা, এটাই মুসলমান হবার জন্য শ্রেষ্ঠ সময় আমার জীবনে। আমি বললাম আমি প্রস্তুত, আমি আমার শাহাদা নেবার জন্য মুখিয়ে আছি।
আমি আমার মা'কে ফোন করলাম, মা বলল কেমন কাটছে দুবই ট্যুর? আমি বললাম, "মা আমি কিছু বলতে চাই তোমাকে, কিন্তু আমি দ্বিধান্বিত, কেমন করে বলবো, বুঝতে পারছিনা।" এবং আমি বললাম আমি তোমাকে সেটা ফোনে নয় মুখোমুখী হয়েই বলতে চাই।
মা যখন জানল আমি আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং মা বলল, " আমি গর্বিত আমার মেয়ের জন্য, কেননা আমি জানি, আমার মেয়ে যেটা খুঁজে আসছিল এতদিন সেটা সে পেয়ে গেছে। এবং আমি বুঝতে পারছিলাম খ্রিষ্টনীটি তার মনকে সম্পূর্ন নিবৃত করতে পারছিলনা, একটা অতৃপ্তি কাজ করতো তার মনে। সে এখন ২৫ বছরে গড়াল, এই বয়সে আমি আমার ইচ্ছে তার উপর চাপিয় দিতে পারিনা, সে এখন নিজের পছন্দ নিজে চেনা জানার বয়েস বহন করছে। সে নিজের জন্য যেটা ভালো মনে করবে আমার উচিত সেটাই মেনে নেয়া।"
এখন আমি শিখেছি কি করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয়। নামাজটা জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে একটু কঠিন এবং রমাদানের ৩০ দিনের সংযম এগুলো একটু কঠিন বৈকি, তবে নিজের সাথে সংগ্রাম করে এগুলো জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এইযে আমার হাতে এটা একটা অবিকৃত কোরআন, যেটা আমি এখন পড়েতে শিখেছি, কিন্তু আমি এটার অর্থ জানিনা, সৌভাগ্যবশত সমস্যাটা আমার কাছে অনেক সহজবোধ্য হয়ে গেল যখন আমি ওয়েবসাইডে এ সম্পর্কিত ওয়েবসাইট পেলাম। আমার মতো যারা এ ব্যাপারে জানতে আগ্রহী তাদের উদ্যেশ্যে আমি বলতে চাই, কোরান এর ইংরেজী উচ্চারণ এবং তরজমা সহ কোরান গ্রন্থ পাওয়া যায়।
আমি এখনো আমার বন্ধুদের সাথে ঘুুরতে যায়, সিনেমা দেখি, রেষ্ট্রুরেন্টে খেতে যায়, একসাথে পড়াশোনা করি, আসালে আমার পাঠাগারটা এখন অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে, আমি আমার জীবনের সেমিষ্টারে খুব ভালো ফলাফলা পেয়েছি, আমি ভালোই উপভোগ করছি এখন আমার জীবন। আমি যখন বাইরে বের হই, আমার বেশভূশা দেখে আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে আমার পরিচয়, আমি বলি আমি মুসলমান এবং আমি আমেরিকানও বটে। কেউ কেউ যখন তাদের গাড়ীর কাচটা নামিয়ে আমাকে দেখার চেষ্টা করে ভালোই লাগে আমার।
" সে মুসলিম কি খ্রীষ্টান এটা ব্যাপার নয় আমার কাছে। তাকে আমি সবসময় খুব ভালোবাসি" বললেন, Mandi Tork এর মা।
( বি.দ্র. ইউটিউব এর কমেন্ট এবঙ মানডি এর জবাব থেকে জানা যায়, মানিডর সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা আছে এবং খ্রীষ্টান ধর্মের প্রতি কোন অবজ্ঞা প্রকাশ হোক এটা সে চাননা।
না, বন্ধুদের কাউকে সে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেননি, তাদেরকে খুব ভালো বন্ধু হিসেবেই সে স্থানটা দিয়েছে, এবং ফিলিস্তিন বংশোদ্ভুত এক কানাডিয়ান মুসলমান এর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে Mandi Tork,)
চলবে.....
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা)
মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন হতে নও মুসলিমদের ঘটনাগুলো আমাদের বেশি বেশি জানা উচিত। আপনি ঠিকই বলেছেন, পাশ্চাত্যে রাজনীতির সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই । সমাজসেবা এবং দাওয়াত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তারা এগিয়ে আসছে।
০ মডার্ণ আমেরিকান মুসলিম
০একজন মেয়ে হয়ে ছেলেবন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা করা কি ইসলাম অনুমোদন করে ? তার সাথে যারা তাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে সাহায্য করেছে তারা কি এরকমটা ইসলামী শরিয়তের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ বলে মনে করে ?
একজন ইসলামের অনুসারী হয়ে আপনার কি মনে হয় উনার এই কাজটি ইসলামী শরিয়ত সন্মত ?
আমার মনে হয় না ।
তিনি বন্ধুদের কথা বলেছেন। এটা মেয়ে বন্ধু ও তো হতে পারে। আর একরাত্রেই কি করে আমরা আশা করি একজন আমাদের থেকেও ভাল মুসলিম হয়ে যাবে।
(বন্ধু বলতে ছেলে বনধুরাই, ইউটিউবে তিনি নিজেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, সেখান থেকে বি.দ. অংশটা নেয়া হয়েছে, বাকিটা অনুবাদ করেছে, তার স্পিচ থেকে)
মন্তব্য করতে লগইন করুন