- নিতান্তই একান্ত / শাহাদাহ (১)
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৪ জুলাই, ২০১৫, ০১:০৭:০৭ রাত
বেশ কিছুদিন যাবৎ চোখ রাখছিলাম ইউটিউবে। কনভার্টেড মুসলামন বিষয়ক ভিডিওতে, কেন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বা করছে। যে শব্দটা তুমুল এটম বোম হয়ে পাশ্চাত্যকে নড়িয়ে দিচ্ছে শব্দটা হলো শাহাদাহ।
প্রাচ্যের ইসলাম আর পাশ্চাত্যের ইসলাম বলতে কিছুই নেই। ইসলাম ইসলামই। তবুও আমার চোখ পাশ্চাত্যের দিকে, কেননা বর্তমান ইহজাগতিক চাল-চলন ইত্যাদিকে প্রভাবিত এবং চালনা করছে তারাই। তাই ইসলামটা সেখানে গ্রোথিত হলেই পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে সহজেই অনুমেয়।
প্রথমে ভাবলাম যারা মুসলমান হচ্ছে তাদের অভিব্যাক্তিটা বাংলায় অনুবাদ করে ব্লগ ফেইসবুকে শেয়ার করলে কেমন হয়! কিন্তু সময় কুলোইনা। তবুও ভাবলাম একটু শেয়ার করি কিছুটা।
পাশ্চাত্যে যারা নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামের ছায়াতলে আসছে, কিন্তু কেন? সেটা বুঝার জন্য অনেকগুলো নওমুসলিম এর নিজস্ব মতামত শুনলাম সে কেন ধর্মটা ত্যাগ করল।
প্রথমেই যেটা চোখে পড়লো সেটা হলো ইসলাম এবং রাজনীতি আর ইসলাম এবং সমাজনীতি এই দুইটা বিষয় এর উপর। ইসলাম এর পরিধী পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থার উপর, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি হতে শুরু করে সকল নীতি ইসলাম নিয়ন্ত্রণ করে তার ধারা অনুযায়ী। আমাদের দেশে কিংবা প্রাচ্যে ইসলামটা রাজনীতি নিয়ে যতটা আলোচিত পাশ্চাত্যে তেমনটা নয়, সেখানে ইসলাম নিরবে সামাজিক চর্চা হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে যেমন ইসলামের নামে রাজনৈতিক দল আছে সেখানে তেমনটা নয়, সেখানে যারা ইসলাম এর সংস্পর্শে আসছে তারা আসছে নিজ উদ্যেগে এবং বন্ধু বান্ধবদের নিরব একটা দাওয়াত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এবং পরবর্তীতে সাহায্য নিয়ে থাকে বিভিন্ন ইসলামি সংস্থার, দাওয়াহ এর কাজটা করছে সেখানে।
পাশ্চাত্যে নিরক্ষর কেউ থাকেনা, সবাই শিক্ষিত, তাই তারা নিজ উদ্যেগে বুঝতে না চাইলে অন্যভাবে বুঝানোর সুযোগ খুব কম। তাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রার বৈচিত্রে এমন সময় আর সুযোগ খুব কম ধর্ম নিয়ে ভাবার, ইসলামতো দুরের কথা। তবুও তারা ইসলাম এর সংস্পর্শে আসছে এবং কিভাবে সেটার ধরনটা ধারা জন্যই আমার আজকের প্রয়াস।
পাশ্চাত্য জীবন ব্যাবস্থায় ধর্মকে দূরে রাখা হয় সন্তান এর কাছ থেকে। ধর্ম বলতে ইসলাম নয়, খ্রীষ্টান হতে শুরু করে সকল ধর্মকেই শিশুর কাছ থেকে দুরে রাখা হয়, একটা শিশু হয়তো জন্মসূত্রে খ্রীষ্টান হতে পারে তবে কোন শিশুই তার ধর্মটাই সুস্থভাবে চর্চা করার পরিবেশ পাশ্চাত্য উঠিয়ে নিয়েছে। তাদের নিজ ধর্মটা ভাসা ভাসা চর্চা করেই তারা বেড়ে উঠে, হয়তো মাঝে মাঝে গীর্জায় যায়, তবে ব্যাক্তি জীবনে চর্চার পরিবেশটা খুব একটা রাখা হয়নি, তাইতারা সহজেই সেকুলার চর্চার দিকে ধাবিত হয়। সেকুলার চর্চা মানে নাই কোন বাধা বিঘ্ন, করো মন যা চায়। যেভাবেই হোক যত সুখ লুটানো যায়।
পারিবারিক চর্চা ছাড়া ধর্মের ধারনাটা প্রথমে একজন পাশ্চাত্য চিন্তা করে স্কুলে গিয়ে। অনেকের বক্তব্য শুনে আমার এই ধারনাটা হয়েছে। তাদের পাঠ্য সিলিবাসে হোক সেটা সমাজবিজ্ঞান পড়েত গিয়ে কিংবা দর্শন বা অন্য কোন সাবজেক্টের সিলিভাসে ছোট একটা পার্ট বা চ্যাপ্টার থাকে ধর্ম নিয়ে, সেটা পড়তে গিয়ে তাদের মনে অজান্তেই ঢুকে যায় ধর্ম বিষয়টা, পরবর্তীতে দেখা যায়, সেই সুপ্ত জানার তাড়নাটা মাথা থেকে আর ছুটে যায়না, বারবার তাড়িত করে তাকে, এবং ধর্ম নিয়ে টুকটাক চিন্তা, জানা ইত্যাদি করতে গিয়ে ইসলাম এর সংস্পর্শে চলে আসে। পাশ্চাত্যে ইসলাম এর কনভার্ট হবার অনেকগুলো কারন এর মধ্যে এটা একটা অন্যতম কারন। সেখানে পাঠ্য সিলিভাসে ধর্মের জায়গা নেই, তবুও তারা কিছুটা রেখেছে যেহেতু ধর্মহীন সমাজ নেই, সমাজকে জানতে হলে ধর্মটাও আলোচ্য বিষয় হতে বাধ্য, তাই স্কুলের পাঠ্য সূচীতে ধর্ম বিষযক যে অধ্যায় থাকে সেই অধ্যায়টা অনেকের মনে থেকে যায়, এবং সত্য জানার তাগিদে পরবর্তীতে ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করতে গিয়ে সহজেই ইসলাম এর দিকে ধাবিত হয়।
চলবে.....
বিষয়: বিবিধ
১০৪৪ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধেয়
এই পোষ্টটি অনেক ভালো লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ । আশা করি এই রকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে আরো পাবো । জনপ্রিয় নিউজ সাইট http://www.onn24.com এ আমি চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্বরত । আমাকে আপনার লিখাগুলো পাঠাবেন । আমি তা প্রকাশনার ব্যাবস্থা করবো। আমার ইমেইল
তারা কি নিজেরাই নিজেদেরকে বিরত রাখে ঐসব মুসলিম দেশ থেকে তাদের রাজারাজরা যে সব সম্পদ লুট করে আনে তা ভোগ করা হতে?
আমেরিকান সমাজে কেউ কোন বড় পোস্টে দাঁড়ালে তাকে প্রমাণ করতে হয় যে সে একজন খাঁটি খৃষ্টান। ওমাবাকে এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল ।
পরে বুশের চেয়েও বেশী বেশী করে ইরাফ-আফগানিস্তান সহ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে তাকে সেটা প্রমান করে যেতে হয়েছে ।
অথচ সে যুদ্ধ কমিয়ে আনবে বলে বলেছিল ।
হাজারে হাজারে , লাখে লাখে এসব লোক মুসলমান হলেও কি সে সব সমাজে মুসলমানদের প্রতি তাদের যে মনোভাব তার কোন পরিবর্তন আসবে ?
আমেরিকান সমাজে কেউ কোন বড় পোস্টে দাঁড়ালে তাকে প্রমাণ করতে হয় যে সে একজন খাঁটি খৃষ্টান। ওমাবাকে এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল ।
পরে বুশের চেয়েও বেশী বেশী করে ইরাফ-আফগানিস্তান সহ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে তাকে সেটা প্রমান করে যেতে হয়েছে ।
অথচ সে যুদ্ধ কমিয়ে আনবে বলে বলেছিল ।
হাজারে হাজারে , লাখে লাখে এসব লোক মুসলমান হলেও কি সে সব সমাজে মুসলমানদের প্রতি তাদের যে মনোভাব তার কোন পরিবর্তন আসবে ?
চালিয়ে যান,,,,,
মন্তব্য করতে লগইন করুন