বাসের কাঁচহীন জানলার সেই গল্পটা
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:১৪:১০ রাত
সেই হাসির গল্পটা মনে পড়ে গেল, বাসের জানলার পাশে বসা দুই প্যাসেঞ্জার ঝগড়া লাগিয়ে দিল, একজন বন্ধ রাখবেনতো অন্যজন খোলা রাখবেন, ঝগড়াঝাটির পর দেখা গেল জানলায় কাচ নেই, সুতরাঙ খোলা থাকলেও খোলা, বন্ধ রাখলেও খোলা, ঝগড়াটা ফাও।
এবার আসি আসল কথায়, মমতা সফর নিয়ে, হাসিনা সরকার যেহেতু কারো কাছে তার বৈধতা অর্জন করতে পারছেনা সেখানো কোন বিদেশী কুকুর আসলেও লালগালিচা বিছানো হবে এটা দেখানোর জন্য যে, দেখ আমাকে বৈধতা না দিলেকি আসতো! সেটা দেখানোর জন্য মমতাকো আনানো হলো, মমতা এসে ইলিশ খেয়ে গেলেন। আমরা জানি তিস্তা চুক্তি হচ্ছেনা মমতার ভোট ইস্যুর জন্য, মমতা এটা নিয়ে রাজনীতি করতে ইচ্চুক তাই সে নিমরাজি, তাকে যখন প্রশ্ন করা হল সে বল ঠেলে দিল দিল্লীর দিকে, বলল এটা দুই রাষ্ট্রের ব্যাপার, অথচ দিল্লী বল ঠেলে দেয় মমতার দিকে বলে তাদের সাথে মিটমাট করে এসো। ব্যাপারটা এমন যে, অনেক পুরুষ এড়িয়ে যাবার জন্য বউ এর সাতে কথা বলে জানাবে বলে, অথবা বরে বউ এর সাতে তুমি কথা বলে দেখ আমার আপত্তি নেই, এইদিকে আমরা চুক্তি করি ভারত এর সাথে আর আমরা চুক্তি অনুযায়ী সব দিয়ে বসি, ওদিকে ভারত গড়িমসি করে বল ঠেলে দেয় বউ এর দিকে, এভাবেই প্রতারণাটা করে আসছে দিল্লী আমাদের সাথে।
বাংলাদেশের অন্যতম পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলতে বাধ্য হলেন মমতা আসার ফলে "তিস্তা চুক্তি আরও পিছিয়ে গেল"।
( বাংলাদেশ প্রতিদিন )
"পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবার তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য আগ্রহী ছিলেন- এমন ধারণা ভুল। বরং এ সফরের মধ্য দিয়ে মমতা তিস্তা চুক্তির বিষয়টিকে আরও ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বলতে দ্বিধা নেই যে, ভারতের সঙ্গে তিস্তা বিষয়ে চলমান সমস্যায় বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে গেছে। মমতা মনে করেন, তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তিনি সমস্যা যত জিইয়ে রাখবেন ততই তার রাজনৈতিক লাভ হবে। তবে তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা বা দর-কষাকষির কোনো অবকাশ নেই। এ প্রসঙ্গে ঢাকা-দিলি্লর মধ্যে আলোচনা হতে পারে। কারণ এটি বাংলাদেশ ও ভারত- এ দুই সরকারের মধ্যকার বিষয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারও তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে আমি মনে করি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত এসব কথা বলেন। বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনাকালীন কমিটির একজন উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছরে প্রতিবারই লক্ষ্য করেছি, এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হতো। কিন্তু আমরাও তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব না বলে জানিয়েছি। "
(নতুনদিন)
পশ্চিমবঙ্গ না সিকিম?
তিস্তানদী ও এর শাখা-প্রশাখায় বাধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পগুলো অধিকাংশই সিকিমে। আর পশ্চিমবঙ্গে তিস্তানদীর পানি মূলতঃ সেচ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। এ কারণে তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কোন চুক্তি করতে হলে; তা কেবল পশ্চিমবঙ্গেরই বিষয় থাকছে না, তা সিকিম রাজ্যেরও নীতিগত বিষয়। তিস্তায় বাধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বশেষ বিনিয়োগগুলো পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে না, হবে সিকিমে। একারণে তিস্তার পানিবন্টনে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সিকিম। তিস্তানদীর ওপর কমপক্ষে ৩১টি বাধ হয়েছে। এর সিংহভাগই হচ্ছে সিকিম অঙ্গরাজ্যে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন সেই বাসের কাচহীন জানলা নিয়ে হাঙগামার গল্পটা কেন আসল, আমরা এতো বছর ধরে কাঠখড় পুড়িয়ে যদি মমতাকে রাজিও করাই তাহলেও আমাদের কোন কাজে আসছেনা যদিনা সিকিম এখানে না আসে, সুতরাঙ দিল্লী আমাদের নিয়ে খেলছে এবং খেলতেই থাকবে যতদিন আমরা এটা বুঝবনা, পশ্চিমবংগকে রাজী করানো গেলে সে বলবে ঠিক আছে মেনে নিলাম তোমরা পানি পাবে কিন্তু পানি কোথায়? আমার কাছেতো তো পানি নাই! আমরা বলব কেন, দিল্লী বলেছে তোমার কাছে পানি তাই তোমার কাছে পাঠাল, সে হেসে বলবে সিকিম যাও, শুধু শুধু আমার পেছনে ঘুরছ।
সবশেষে আমার চুটকি কাব্য আট আবার দিতে বাধ্য হলাম
# চুটকি কাব্য (৮)
প্রসূন এল দেব এল
রসুনের পাছা এক
মমতা এল ইলিশ খেল
ফলাফল মল ত্যাগ।
বিষয়: বিবিধ
৯৯১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘুরতে হবে মমতার পাছে
আমার যা দেবার দেব শতভাগ
নেবার বেলায় হব হতবাক
এটা উনাদের(দাদাদের) কমন ডায়লগ ।
এসব বলে উনারা বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার গুলো ভালই চেটে পুটে খেয়ে যান ।
আমরা বোকা বাংলাদেশীরা মনে করি যে উনারা আমাদের কত ভালবাসেন !
এই মমতা এখন খুব দেখিয়ে গেল যে তিনি কত বাংলাদেশ দরদী ! মনমোহন যখন আসে তখন সে আসেনি , আসার কথা থাকলেও ।
পরে বলেছিল যে রাজ্যের সমস্যা রেখে উনি বাংলাদেশকে পানি দেবার বিপক্ষে। এও বলেছিলেন যে বাংলাদেশ নাকি ন্যায্য হিস্যার চেয়ে বেশী পানি পাচ্ছে !
নিজ রাজ্যের জন্য উনি ঠিক আছেন । কিন্তু বাংলাদেশের জন্য উনি কংস মামা।
ঠিকই রাজ্যে ফিরে গিয়ে উনি তিস্তা চুক্তির বিপক্ষেই বলবেন ।
কলিকাতার মত একটা ব্যাকডেটেড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এটা পাত্তা দেওয়া আমাদের হীনমন্যতারই পরিচায়ক ।
বাংলা ভাষার জন্য আমরা বাংলাদেশী বাঙ্গালীরা রক্ত দিয়েছি । তাই বাংলা এই বাংলাদেশী বাঙ্গালীদের প্রানের ভাষা। ওদের ওখানে তো হিন্দীর আগ্রাসনে বাংলা ভাষা নুয়ে পড়েছে ।ওদের লেখকদের কাটতি আছে বাংলাদেশে বাংলা ভাষা ভালই চালু আছে বলে । নিজের দেশে ওদের কেউ দাম দেয় না , বাংলাদেশীদের কাছে পাত্তা পায় বলে কোন রকমে খেয়ে পড়ে বর্তে আছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন