# কন্যা তোমাদের ভাবী হবে চাচী ডেকনা।
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:১২:২৩ দুপুর
আমায় বুড়ো বলনা আমি বুড়ো না
আমার আছে মন গতরে শাহবাগী চেতনা
আমায় তেতুল এনে দাও আমি কাঠাল খাবনা
আর কতকাল থাকব একা ভাল লাগেনা।
আমায় তেতুল এনে দাও আমি কাঠাল খাবনা
আমার আছে মন মগজে শাহবাগী চেতনা।।
আমার শরম শরম লাগে পাত্রীর নাম বলবনা
আমরা দুজন প্রেমে প্রেমি অন্য কিছু না
আর কতকাল চিরকুমার থাকব বলনা
আমার আর ভাল লাগেনা, ভাল লাগেনা।
আমায় তেতুল এনে দাও আমি কাঠাল খাবনা
আমার আছে মন মগজে শাহবাগী চেতনা।।
বয়েস আমার ৬৭ এতো বেশী না
কন্যার বয়েস ২৬ হল দেখতে সুদর্শনা
দেখ আবার তোমরা তাকে চাচী ডেকনা
আমার বউ তোমাদের ভাবী অন্য কিছু না।
আমায় তেতুল এনে দাও আমি কাঠাল খাবনা
আমার আছে মন মগজে শাহবাগী চেতনা।।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবিবাহিত পুরুষের এবাদতের চেয়ে,
বিবাহিত পুরুষের ঘুম অনেক উত্তম।
তিনি তো ভাল কাজের দিকেই এগুচ্ছেন, তাহলে সমালোচনা কেন?
আমার শোনা কথা, আওয়ামীলীগের মাঝে যদি একজন গুণী মানুষের সন্ধান করা হয়, তাহলে তার নামটি নাকি সবার আগে উঠে আসবে। অনেক ধন্যবাদ
সময় থাকলে আমার তথ্য সম্বৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ন লিখাটি পড়তে পারেন, সেখানেই দেখানো হয়েছে কেন তারা এমন হয়।
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের এত ডিমান্ড কেন?
ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ ধর্মকে স্বীকার করেই রাষ্ট্র চালায় কিন্তু ইসলামকে পঙ্গু করতে বাধ্য হয়!
ধর্মনিরপেক্ষ কথাটি খুব সুন্দর আকর্ষণীয় হলেও, এদের চিন্তা ধ্যান-ধারনার সাথে ইসলামের সংঘর্ষ অনিবার্য।
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ ভারত সহ কয়েকটি দেশের জন্য সমস্যা হয়নি কেননা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, জৈন, শিখ, জরথুস্ত সহ সকল ধর্ম ব্যক্তিগত পর্যায়ে পালন করলে চলে। সে সব ধর্ম দাবী করেনা যে তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন মেকানিজম সুচারুরূপে চালাতে পারে। এক্ষেত্রে ইসলাম ধর্ম ভিন্ন! ইসলাম জীবন সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রের প্রতিটি সমস্যায় নাক গলায়, সেখানে ভূমিকা রাখতে চায়, মতামত পেশ কিংবা মতামত গ্রহণ করতে চাপ প্রয়োগ করে। যার কারণে ক্ষমতাসীন মহলের জন্য এটা বরদাশত করা কঠিন হয়ে যায়।
মুসলিম দেশে তারা যখন ক্ষমতা পায়, তখন সেটাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে, প্রথমেই ইসলাম ধর্মের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইসলামী শিক্ষাকে নিরুৎসাহ, স্কুল-মাদ্রাসায় ধর্মীয় বিষয় রাখতে অনীহা, জুমার খুৎবা নিয়ন্ত্রণ, বড় বড় ইসলামী সম্মেলন করতে না দেওয়া, ইসলামী স্কলারদের কে হেয় প্রতিপন্ন করা, তাদের চারিত্রিক দোষ-ত্রুটি বের করে সরকারী ভাবে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা। অন্যদিকে জাগতিক শিক্ষিত, দুনিয়ার ধান্ধায় সিদ্ধহস্ত, অযাচারে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের সাথে ইসলাম পালনকারীদের তুলনা করে দেখানো হয়, মুসলমান মানেই গরীব, অসহায়, দীন, হীন জীবন যাপন কারী সম্প্রদায়। আরো বুঝানো হয় এসব দুর্ভোগের মূল কারণ হল ইসলামকে যথাযথ মেনে চলার খেসারত। এতে তরুণেরা প্রভাবিত হয়। একই সাথে সরকারের পক্ষ অবলম্বনকারী একদল ধর্ম বিক্রয়ী আলেম গোষ্ঠী থাকে, তারা সর্বদা সরকারী কাজকে সমর্থন করবে। যাদের মুখে থাকবে দাঁড়ি, পোষাকে হবে মুসলিম, কথায় থাকবে ইসলাম, আচরণে হবে পরিপূর্ণ ফাসিক এবং আকিদায় হবে ভয়ানক প্রকৃতির জালিম ও মিথ্যুক!
ধর্মকে স্বীকার করে এবং তাকে পঙ্গু করেই রাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ চালু হয়। ধর্মের বন্ধনহীন সেই সমাজে নেতারা পরিপূর্ণ নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে বসে। নেতারা বৈষয়িক লোভে একপর্যায়ে নিজের আসল চেহারা হারিয়ে ফেলে, এবং তাদের শত শত নতুন চেহারার উদ্ভব হয়। ফলে অসহায় জনতা কোনদিন বুঝতে পারেনা তার প্রিয় নেতার আসল চেহারা কোনটি। পুরো যুবক গোষ্ঠী সমাজের প্রচ্ছন্ন মোহে নৈতিকতা হারিয়ে নিজেদেরকে সে জোয়ারে ভাসিয়ে দেয়। দিন দিন জাতির নৈতিকতা চরম অধঃপতনে যায়। রাষ্ট্র শক্তি এটাকে সহজ ভাবে নেয় এবং তাতে আরো নতুন উপাদান যোগ করে। নৈতিকতা হীনতাকে মামুলী ব্যাপার ভাবতে থাকে। এই চরম বিপর্যয় পরিস্থিতিতে এক সময় ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিরা সমাজ বিচ্যুত অপ্রয়োজনীয় হাস্যকর জীবে পরিণত হয়। তাদেরকে হয়ত সমাজ বিচ্যুত হতে হয়, নয়ত নিভৃতে বসবাস কারী হতে হয়। সেই সমাজ নৈতিকতাকে তামাশার বিষয় বানিয়ে ফেলে, ধার্মিককে হাস্যকর জীবে পরিণত করে, অন্যদিকে রাষ্ট্রে ধর্ম বেঁচে থাকে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত বৃদ্ধার ন্যায়। তাই ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রেখে, খুব সহজে রাষ্ট্র থেকে ধর্মের প্রভাব প্রতিপত্তি ধ্বংস করা যায় বলেই, পৃথিবীতে ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদের ডিমান্ড অনেক বেশী। এই নীতি বাস্তবায়নে পুঁজি হিসেবে লাগে ধর্মকে সাইজ করার মত সাহসিকতা আর বিচিত্র হঠকারিতা!
বর্তমান বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যাবস্থা ম্যাকিয়াভেলী দিয়েই চলছে, ম্যাকিয়াভ্যালি রাষ্ট পরিচালনায় যে কোন পন্থাকেই গ্রহণযোগ্য বলে বিচেবনা করেন, তার কথা হল সত্য মিথ্যা অস্ত্র যেভাবেই হোক ক্ষমতা টিকে থাকতে হবে, আর টিকে থাকার জন্য শিয়াল বলুন বাঘ বলুন হতে হবে, সেখানে নেই নৈতিকতা বা আদর্শ।
"আমাদের বর্তমান সরকার এ পদ্ধতিটা বেছে নিয়েছে কোন ভুল নেই" ক্ষমতার জন্য ধর্ম হতে এমন কোন ইস্যু নেই সে ব্যাবহার করছেনা আর বিতর্কিত করছেনা, বাদ দিয়ে দিল তত্বাবধায়ক ব্যাবস্থা, আমার ধারনা বিশ্বে এর চাইতে ভাল ব্যাবস্থা আপাতত নেই।
ইউরোপে রাজা আর পোপ দ্বন্দের সমন্বয় হতে হতে তারা ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলর এর জন্ম দিল, কারন তারা ধর্মের অধীনে আর থাকতে ইচ্ছুক না, ধর্ম দিয়ে তারা রাষ্ট চালাবেনা, ধর্মকে প্রয়োজনে ব্যাবহার করবেন আর প্রয়োজন না হলে ব্যাবহার করবেননা, ধর্ম এর এর সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ হলে তারা ধর্মকে ফেলে দেবেন, দ্বন্দ না হলে ধর্ম রাখবেন, সেই চিন্তা থেকে তারা বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেয়, কিন্তু এটাতে দ্বন্দ আসলে এটাও ছুড়ে ফেলবে কারন ধর্ম তাদের কাছে আর মূখ্য ব্যাপার নায়, এখানে ধর্ম হয়ে গেছে কালচার বা সংস্কৃতির অংগ হয়ে ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত ব্যাপার, এগুলো হলো সেকুলার এর উপাদান
এখন কথা হল আমরা কি এই দর্শন বা আদর্শ গ্রহণ করব কিনা, সেটা জাতীয়ভাবে ভাবার মতো পরিবেশ আমরা এখনো সৃষ্টি করতে পারিনি, ব্যাক্তিগতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে সবাই, এই যেমন আপনি লিখাটা লিখলে সেটাও একটা প্রচেষ্টা
আমাদের জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধর্মকে রাখব নাকি ছুড়ে ফেলব, বর্তমান সরকার কিন্তু ছুড়ে ফেলেছে শুধু মুখে বলছেনা ছুড়ে ফেলেছি, আসতে আসতে ইংগিত দেয়া শুরু করেছে যে তারা ধর্ম আর চায়না,
সেকুলার দিয়ে আমরা চলতে পারবনা কারন হল সেকুলার যারা গ্রহণ করেছে তারা আর্থিক, টেকনলজি সবদিকে দিয়ে একটা অবস্থানে আছে, ভেতরে ভেতরে তারা ঘুনে ধরা হলেও উপরে প্রলেপ দিয়ে বলছে আমরা খুব ভাল আছি, তোমরা আমাদের মতো কর, লেজকাটা শেয়াল এর মতো অবস্থা।
সেকুলার কিভাবে ব্যাক্তি আর পরিবার প্রথাকে ধ্বংসা করে দিচ্ছে আর তার থেকে উত্তরণ এর ধর্মের ব্যাবহার এর একটা উদাহরণ দেয়া যাক
আমেরিকায় সচেতন মহল একটা পদ্ধতি বের করেছে যে তাদের কন্যাদের ভার্জিনিট রক্ষার, পদ্ধতিটা হল, অভিভাবক, তাদের কন্যাদের ছোটবেলায় নিয়ে আসছে গীর্জায় পাদ্রির কাছে, সেখানে কন্যাকে শপথ করানো হচ্ছে যে, আমি শপথ করিতেছি যে বিবাহ পূর্বে আমি আমার ভার্জিনিট নষ্ট করবনা, তারপর তাকে একটা প্রতিকি জামা বা ড্রেস গিফ্ট করা হচ্ছে, বছর বছর সে যখন বড় হচ্ছে তাকে আবার নতুন একটা ড্রেস গিফ্ট করা হচ্ছে যেটা হল তার ভার্জিনিটি রক্ষার প্রতিক, ফ্রগটা আছে মানে হল তার ভার্জিনিটি রক্ষা করা হচ্ছে। বিয়ের শাড়ী যেমন সঙরক্ষণ করা হয় একটা বিশেষ মুহুর্তের প্রতিক তেমনি ফ্রকটা হল তেমন একটা প্রতিক
সুতরাঙ সেকুলার ইউরোপ আমেরিকাকে রক্ষা করতে পারছেনা ঠিকই আবার গীর্জায় গিয়ে শপথ পড়াচ্ছে তাদের কন্যাদের, পুত্র হলে সুবিধ্যা ঝামেলা কম হা হা হা
কন্যা কিন্তু রূপবতী
এবার ছাড়িল কুমারব্রতি
বিয়ে হবে সন্ধ্যারাতি
মন্তব্য করতে লগইন করুন