নিতান্তই একান্ত
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:০০:০০ দুপুর
ভারত যখন চীন এর সাথে কোন বিষয়ে প্রতিযোগীতা করতে চায়, তখন চীনারা খুব মজা করে বলে, আগে তুমি তোমার দেশের টয়লেট ঠিক কর, তোমার দেশের অধীকাংশ লোকেরা পথে ঘাটে কাজটা সারে, যে দেশ তাদের জনসাধারণ এর পয়নিশ্কাসন ব্যাবস্থা করতে পারেনা সে হতে চাই সুপার পাওয়ার!!
চীন এর ভারত এর দ্বন্দ চলে আসছে, চলতে থাকবে আজীবন, যতদিন দেশ দুটো বিদ্যমান আছে, বাংলাদেশের জন্য ভারত অবশ্যই একটা ভয়ংকর প্রতিবেশী, বঙ্গবন্ধু ভারত বান্ধব ছিল তবে তিনি বুঝতেন ভারক এর রাজনীতিটা, যেটা বুঝতে পারেননা বা চাননা শেখ হাসিনা।
বিবিসি খ্যাত প্রবীণ সাংবাদিক সিরাজুর রহমান তার লিখায় বার বার এসব ব্যাপারে লিখে আসছিলেন, শেখ মুজিব পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে যাননি ভারতে, গিয়েছেন সোজা ই্ংল্যা্ন্ড, আবার দেশে ফিরে এসে পরবর্তিতে বলে বসলেন দেশ থেকে যেন ভারত এর সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়, শোনা যায় তখন ইন্দিরা গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, " তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়ে আমি কি ভুল করলাম!"
না ভুল হয়নি, তখন সৈন্য প্রত্যাহর হলেও, তখন যেসব স্বার্থ পুরন করা সম্ভব হয়নি এখন যেচেই পাওয়া যাচ্ছে শেখ হাসিনা থেকে, আমাদের দুর্ভাগ্য অন্তত শেখ মুজিব যতটানা বুঝতে ভারতের রাজনীতি তার ছিটাফোটা বুঝতে চান না শেখ হাসিনা, আবারও সিরাজুর রহমান এর কথা বলতে হয়, তিনি খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, হাসিনা দিনের পর দিন র এর তত্বাবধানে ছিলেন, তারা খুব সুক্ষভাবে হাসিনার ব্রেইন ওয়াস করে রেখেছেন, সেই ছক আর ফ্রেম থেকে এক বিন্দু সরে আসেনি শেখ হাসিনা
শুরুটা করেছিলাম চীন আর ভারত নিয়ে, ডা. জাফরুল্লার সম্প্রতি একটা মন্তব্যে আমি খুব আশান্বিত, আগামী দশ বছরে ভারত ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে, ব্যাপারটা আমার মনেও ঘুরপাক খায় সবসময় তবে দশ বছর না, আরো একটু বেশী সময় লাগবে তা নিশ্চিত, ব্যাপরটা একটা খোলসা করা যাক আমার মতো করে এবং সেটা চীন এর সাথে একটা তুলনামুলক আলেচনা দিয়েই করা যাক
প্রথমে চীনের কথায় আসি, চীন একটা বিশাল রাষ্ট্র এবং ভারত ও, তবে তাদের মধ্যে মিল এর চাইতে অমিলটাই বেশী, সেই অমিলগুলোই ভারত ভাংগার কারণ বলে আমি মনে করি, প্রথমেই ধরা যাক জাতি কেন্দ্রিক বিষয়গুলো, বর্তমানে প্রতিটা রাষ্ট্রই তার মূল ভিত্তি হচ্ছে জাতিয়তাবাদ, আর জাতিয়তাবাদের মুল উপাদানগুলো হল, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, শিক্ষা সংস্কৃতি এসব উপাদানগুলো
চীন এর ভাষা, ধর্ম, বর্ণ সবগুলো সম উপাদান কিন্তু ভারত এর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত, এখানে ভাষা হাজারে হাজার, রাষ্ট্র ভাষা হিন্দি কিন্তু অর্ধকাংশ রাজ্যে হিন্দি জানেনা, ভাষার দিক দিয়ে তারা ভিন্ন, ধর্মের কথা ধরা যাক, তারা হিন্দু জাতি, কিন্তু হিন্দু বলতে আদতে কোন ধর্মই বোঝায়না, বিস্তারিত না বলে শুধু এটুকু্ই বলি, এখানে মুর্তিপুজা প্রধান ধর্ম হলেও প্রত্যেকে একই মুর্তির পুজা করেনা এবং পুজার সময়কালও ভিন্ন সময়ে, আমাদের পামে কলকাতায় দূর্গাপূজা হলেও কেরেলায় দেখা যাবে গণেশপুজা হচ্ছে এবং সময়কাল ভিন্ন, এভাবে জাতি গঠনের উপাদানগুলো এখানে কিন্তু খুবই ভংগুর
তবুও জাতি হিসেবে ভারত টিকে আছে ব্যাপারটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকে, অনেক রাজ্য হয়তো চাই মনে মনে স্বাধীন হবার তবে প্রকাশ করেনা ভয়ে, তবে স্বাধীন যদি হয় তবে প্রথমেই বলতে হয় সেভেন সিস্টার নামক রাজ্যগুলো, যেগুলো দমানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে ট্রানজিট চুক্তির পায়তারা, কেননা, এসব রাজ্যগুলো চিনের সহায়তায় স্বাধীন হতে চাইলে ভারত কেন্দ্র থেকে সৈন্য পাঠাবে, তারপর দমন করবে এটা একটা কঠিন বিষয় ভারত এর জন্য, কারন ভারতের নিজের যে যোগাযোগ এর পথ তা অনেক জটিল আর ঘুর্ণি, কিন্তু বালাদেশ থেকে ট্রানজিট এর নামে সর্টকার্ট রোড ইউস করলে ভারতের সুবিধা হয় বিদ্রোহ দমনে
বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মন কষাকষি, তার সাথে যোগ হলো দেবযানি ইস্যু, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের স্বার্থেই ভারতকে উঠাতে চাইছিলেন, কিন্তু এখন দেখা যা্চেছ ভারত আর তার রাডারের অধীন থাকবেনা, মুরুব্বীর সব কথা রাখছেননা, তাই যুক্তরাষ্ট্র যদি মনে করে ভারত এর পাখা গজিয়েছে একটু ছাটাই করা দরকার, তাহলে তাকে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে হবে পাকিস্তান এর চীন এর সাথে এবং তাদের মিলিত সমন্বযে একটু কাজ করলেই, প্রথমে স্বাধীন হয়ে যাবে সেভেন সিস্টার, আর তা যদি হয় তাহলে তার প্রতিক্রিয়া পড়বে অন্যান্য রাজ্যে তখন কিন্তু ভারত ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে যাবার সম্ভবনা শতভাগ, আমরা্ও একটু শান্তি পাব
কথা আর বাড়ালামনা, খুব বেশীদিন নেই, ভারত এর দাদাগিরী শেষ হবে আর আমরা একটু শান্তিতে ঘুমাব, সেই অপেক্ষায় রইলাম
বিষয়: বিবিধ
২২৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন