আমাকে পথ দেখাও হে রহমান, রহিম
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২২ জুলাই, ২০১৩, ০৩:১২:০০ রাত
যেদিকে তাকায় ঘোর অন্ধকার সীমাহীন
যেন পাপগুলো ডাকছে আমায় বিরামহীন
আমার চিন্তায়, আমার কাজে, আমার দৃষ্টি
সবই যেন ভোগ বিলাসের নব নব সৃষ্টি
আমাকে পথ দেখাও হে রহমান, রহিম
লা ইলাহা ইল্লা আনতা ! সোবহানাকা !
ইন্নি কুনতু মিনায জলিমিন"
আমিতো অনেক দূর দিয়েছি পাড়ি
ভাবিনি তেমন করে ছিলাম আনাড়ি
পেছনে তাকিয়ে দেখি আমার ভুল পথে
ক্ষমা কি পাবনা স্বীকার করার অজুহাতে!
আমাকে পথ দেখাও হে রহমান, রহিম
লা ইলাহা ইল্লা আনতা ! সোবহানাকা !
ইন্নি কুনতু মিনায জলিমিন"
আমিতো ভেবেছি জীবন লাল নীল আলো
আমিতো ভাবিনি কভূ মন্দ কিংবা ভালো
হিসাব নিকাশের ধার ধারিনি বেহিসাবি মন
হিসাবের খাতা দেখলাম আজ শূণ্যের ভূবন
আমাকে পথ দেখাও হে রহমান, রহিম
লা ইলাহা ইল্লা আনতা ! সোবহানাকা !
ইন্নি কুনতু মিনায জলিমিন"
#######################################
لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
"লা ইলাহা ইল্লা আনতা ! সোবহানাকা ! ইন্নি কুনতু মিনায জলিমিন"
আমরা অনেক সময়েই এই কুরানিক দুয়াটি পড়ে থাকি বিভিন্ন বিপদ-আপদে ! কিন্তু, আমরা
দুইয়াটির মর্মার্থ বুঝি নাহ !
ইউনুস আলাইহিস সালাম আল্লাহর অভিমুখে অথৈ জলরাশির গভীর অন্ধকার তলদেশ থেকে মাছের পেটের অন্ধকারের মধ্য থেকে হৃদয়বিগলিত হয়ে আর্তনাদসহ দয়াময় পরম দয়ালু, সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী ও একমাত্র আশ্রয়স্থল মহান রবের নিকট সকরুণ হয়ে প্রার্থনা স্বরূপ এই দুয়াটি করেন।
এই দোয়া'টির ৩ টি দিক আছে ! মানে ৩ টি দিক'কে সামনে রেখে ইউনুছ (আঃ) মহান আল্লাহপাকের নিকট ফরিয়াদ করেছিলেন।
لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ ( আল্লাহ্ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই)
__ এদ্বারা তিনি মহান আল্লাহপাকের তাওহীদের ঘোষণা দিলেন। এবং তার আকিদা তথা বিশ্বাসে বদ্ধমূল করলেন যে, আল্লাহ্ ছাড়া কেউ এহেন বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন নাহ ! আর, এ থেকে আমরা শিক্ষা পেলা যে, বিপদে পড়লে কেবল আল্লাহপাক কেই এবং বিনা কোন ব্যক্তির উসিলায় ডাকতে হবে, ইউনুছ (আঃ) এর মতো।
سُبْحَانَكَ ( আল্লাহ্র মহত্ত্ব )
__ এদ্বারা তিনি আল্লাহ্র জিকির তথা আল্লাহপাক কে স্বরন করেছেন। আর, আমরা শিক্ষা পেলাম, যেকোন বিপদে পতিত হলে আল্লাহ'র স্বরন থেকে গাফেল হওয়া চলবেনা !
إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ ( তুমি যদি ক্ষমা না করো, আমি গুনাহগার হিসেবে জালিমদের মধ্যে শামিল হয়ে যাবো )
__ এদ্বারা তিনি নিজেকে দোষী হিসেবে আল্লাহ্র দরবারে উপস্থাপন করেছেন, এবং নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। আর, আমরা বুঝতে পারলাম, আল্লাহ্র কাছে যখন আমরা কোন ভুল স্বীকার করবো অথবা তাওবা করবো, তখন নিজেকে তুচ্ছ, ছোট, অসহায়, অপরাধী হিসেবে পেশ করে আল্লাহপাকের করুণার পাত্র হতে চেষ্টা করবো, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহপাক আমাদের দোয়া শুনবেন, ইনশা'আল্লাহ। যেমন, আল্লাহপাক পরের আয়াতে বলেন,
فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ ( 88 )
অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি। { সুরা আল আম্বিয়া } —
বি.দ্র. নিচের ব্যাখ্যাগুলো সংগ্রিহীত.........
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন