এতো লাশ এতো খুন! এ মিছিল থামবে কবে?
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২২ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৪৫:৪০ রাত
কোন মানুষের হত্যাই আমার কাছে কাম্য নয়। আমি চাই ভালোবাসায় ভালো লাগায় মুগ্ধ হয়ে মানুষ গুলো বেচে থাকুক তাদের প্রিয়জনদের মাঝে। মৃত্যু যদি আসে, আসুক তা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে। হঠাৎ করে কারো জীবনে কারবালা নেমে আসুক তা কিছুতেই চাইনা।
প্রতিদিন সকালে পত্রিকাটা হাতে নিলেই মন খারাপ হয়ে যায়। হত্যা গুম আর লাশের ছবি দেখে মনটা বিষন্ন হয়ে যায়। মনে হয় নরকের ভেতরে আছি। সকালের লাল সূর্যটা ফ্যাকাসে লাগে। বাতাশের ভেতর অক্সিজেনের বদলে তীব্র বিষের গন্ধ পাই। অসহ্য! জানিনা এই রকম করে চলবে আর কত দিন। কতদিন চলবে রাষ্ট্রের মদদে অথবা রাষ্ট্রের নুসপুংসুকতার সুযোগে নর হত্যা!
অথবা কতটা রক্ত জমিনে পড়লে ভাঙবে রাষ্ট্রের ঘুম?
মিডিয়ায় রাত জেগে মন্ত্রীদের টক শো করতে দেখি। সুনু পাউডার মেখে হিজলার মত নানান কসরত করে তারা নিজেদের উপস্থাপন করেন। ভালো ভালো কথা বলেন। দেশ যে ইউরোপ আমেরিকা বানিয়ে ফেলছেন তারা সেই আষাঢ়ের গল্পে সঞ্চালকের মুখ গদগদ হয়ে যায়।
কিন্তু আম জনতার ভাগ্যের বদল হয়না। মন্ত্রী সাহেব সারা রাত টকশো করে ঘুমান বারোটা পযন্ত। তিনি পত্রিকা অথবা টিভি নিউজ দেখার সময় পাবে কখন? পত্রিকা পড়ার যোগ্যতাও বা আছে কয়জনের?
আসলেই আমি ভীষণ অসহয় বোধ করছি। খুন গুম অপহরণ কবে থামবে আমি জানিনা। কেউ থামাতে চায় এসব বলেও আমার জানা নেই।
গতকাল সন্ধায় দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ডা. হামিদুর রহমান হেলাল ও তার মেয়ে মিতু (১৮) নিহত হয়েছেন। মনিরাম পুরেও নিহত হয়েছেন একজন নিরহ গ্রামবাসি, ঢাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে একজনকে।
খবর গুলি চাপা পড়ে গেছে। কোন ষ্ট্রাটাস দেয়নি কেউ ব্লগেও সাড়া ফেলেনি। কেননা তারা কেউ সরকার দলের অথবা প্রগতীশীল মিডিয়ার লোক নয়। তাই এই হত্যায় মিডিয়া নির্বিকার। আমজনতার লাশ তাই বাড়ছে প্রতিদিন। কেউ নেই এসব নিয়ে সংসদে গিয়ে দুটো কথা বলার অথবা রাজ পথ বন্ধ করে একটা মঞ্চ তৈরী করার।
একটু আগে এক পসলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আমার সামনে এখন ঝকঝকে কালো পিচ। আমি রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি। এমন একজনের প্রতিক্ষা করছি যার ডাকে ঘুম ভাঙ্গবে সবার।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন