সাংবাদিকদের উপর হামলা কেন হলো? হলুদ সাংবাদিক ভাইরা একটু ভেবে দেখুন প্লিজ!

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৫২:৫৪ সকাল

গতকাল জুমার নামাজ শেষে আমাদের মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব দোয়া করলেন প্রায় ত্রিশ মিনিট। তিনি কোথাও শাহবাগী কথিত শহীদ থাবা বাবার জন্য কিছু বললেন না। বরং দোয়ায় বললেন, আল্লাহ যারা তোমার নবী রাসুলকে অবমাননা করে কুৎসা লিখে সাধারণ মমীনদের মনে ব্যাথা দেয়। তাদের তুমি হেফাজত করা না হলে তাদের ধংশ করে দাও। পাগল বানাইয়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়াও.! চারদিক থেকে উচ্চ স্বরে আমিন আমিন বলে চিৎকার শুনলাম।

নামাজ শেষে মুসল্লীরা মিছিল করলো।

আমি বাসায় এসে টিভি অন করতেই দেখি শুরু হয়ে গেছে মিছিল সংঘর্স। একটানা চার ঘন্টা টিভি দেখলাম।

কয়েকটি টিভি চ্যানেল আমি ইচ্ছে করেই দেখিনা যেমন সময় টিভি একাত্তর টিভি এদের নিউজ বা প্রগাম দেখলে মনে হয় বাম দল বা আওমী অফিসে বসে আছি। হলুদ সাংবাদিকতার চরম উদাহরন।

৭১ চ্যানেলে যেতেই দেখি এক মহিলা সাংবাদিক(!!) বলছে জংগি মিছিল চলছে.. যেমন করে ওরা এক সাথে সারা বাংলা দেশে বোমা ফাটিয়ে ছিল..চেহারা দেখে মনে হচ্ছে এরা সবাই বাংলা ভাইয়ের মত জংঙ্গি!!!!!!!!? দ্রুত চ্যানেল প্লাটে দিলাম। জিটিভিতে গিয়ে দেখলাম এটিএনের এক সাংবাদিক গেটে আটকে দেওয়া মিছিল কারীদের ছবি তুলতে যেতেই তাকে কয়েক জন মুছল্লি মাইর দিতে শুরু করলো। পড়ে টেলপে দেখলাম অনেক জায়গায় এরকম সাংবাদিকদের মাইর দেওয়া হয়েছে।

ব্যাপারটা খুবই দুঃখ জনক। আগে কখনোই এরকমটা দেখিনি। সাংবাদিকদের আগে শুধু পুলিশরাই মাইর দিতো। এখন মিছিলকারীদের টার্গেট হয়ে পড়েছে তারা।

কিন্তু কেন?

কেন ক্ষেপে গেল তাদের উপর আম জনতা?

এর উত্তর হবে সম্ভবত একটাই। প্রতিটি চ্যানেল এখন সরকারের লেজুর বৃত্তি করছে।

শাহবাগে বাম এবং আওমী পন্থি বেশ কিছু দলীয় লোকদের একটি অবস্থান সমাবেশ চলছে বেশ কয়েক দিন ধরে। সেখানে অবস্থান নেয়া লোকদের সরকারী খরচে খাবার পানি এবং মল ত্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা দিন রাত ফাসি চাচ্ছে। বিচার নয়!!

তারা ভিন্ন মতের মিডিয়া বন্ধের আলটিমেটাম দিচ্ছে। পত্রিকা পোড়াচ্ছে। ব্ঙ্গবীরকে রাজাকার বলছে। সম্পাদককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে বলছে!

সরকার মুখ টিপে হাসছে। আহা কি শান্তি।

কিন্তু বুঝতে হবে এদেশে সবাই গঞ্জিকা সেবন করে না। তাই টিভি জুড়ে দিনভর লাইফ সম্প্রচার দেখে অনেকেই বিরক্ত। গাটের পয়সা খরচ করে সবাই পাতানো খেলা দেখতে রাজি নয়।

বেসরকারী টিভি এখন বিটিভিকে হার মানাচ্ছে। সংকিত বোধ করছি সরকার বদল হলে হয়ত তখন এরা নতুন যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের পদলেহন করবে। অথাৎ জনগনের কাছে মিডিয়া এখন ভাড়াটে ...........মত হয়ে গেছে।

সাংবাদিকতার নৈতীকতা এখন শূন্যের কোঠায়। দলীয় বিবেচনায় তারা রিপোর্ট করে। যা দর্শক পাঠকের সাথে চরম প্রতারণা। দেশের সবচেয়ে সম্মানীত পেশার সাংবাদিকরা এখন এখন যেমন করে হলুদ সাংবাদিকতা করছে তা দেশের জন্য অভিসাপ ছাড়া কিছু নয়। গাটের পয়সা দিয়ে পত্রিকা কিনে দলীয় বিবেচনার মিথ্যে একদলীয় সংবাদ পড়তে গিয়ে পাঠক আজ বিক্ষুব্দ! সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু দেশের ভূমি দুশ্য আর আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়া দুশ্য দের হাতে মালিকানা থাকায় আর মালিকদের কথায় চলা সম্পাদকদের নিলজ্জ দলবাজি নিউজ সাধারণ পাঠকদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে। সাংবাদিকদেরও মান নেই। পথে ঘাটে পাবলিকদের হাতে মার খাচ্ছে ছিচকে চোরের মত। এই লজ্জা রাখি কোথায়?

এই অবস্থায় স্রোতের বিপরিদে চলছে দৈনিক আমার দেশ। তারা নির্ভিক ভাবে নিউজ প্রচার করছে। জেল জুলুম জরিমানা অফিস ভাংচুর। আর বিজ্ঞাপনে বাধা সহ নানান কর্ম করে যাচ্ছে সরকার এবং তাদের মদদপুষ্ট বাহিনী।

তারপরও থেমে যায়নি মাহমুদুর রহমান এবং তার ভক্ত পাঠকরা। বরং ১২ পাতার নিউজ পেপার কিনছে ১২ টাকা দিয়ে। এবং আমাদেশ এর অনলাইন ভিজিটর কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

অনেকেই বলবেন এটা জামাতি পত্রিকা। ঠিক আছে মানলাম। তাহলে বাকি আওমী বামদের ওতো অনেক গুলো বাহারী চকচকে পত্রিকা রয়েছে। লেখার জবাব লেখা দিয়ে দিন ! যুক্তিতে না পেরে এভাবে অস্ত্র উচিয়ে আর যাইহোক ভিন্নমত দলন ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে পারবে না সরকার।

বিষয়: বিবিধ

১২৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File