থাবা বাবার মৃত্যুর পর সুফি বাবা হওয়ার পথে ...!

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৩৭:০৪ রাত

ব্লগার রাজিব ওরফে থাবা বাবাকে আমি চিনতাম না। যদিও আমি তিনটা বাংলা ব্লগে গত আড়াই বছর যাবত লিখছি এবং পড়ছি।

থাবা বাবা মারা যাওয়ার খবর প্রথম পাই টিভি স্কলে। দ্রুত গিয়ে ল্যাপটপ অন করি। একজন ব্লগার হিসেবে নানান নিউজে ব্লগে নিজের প্রতিবাদ আর নিন্দা জানাই। খুবই আহত অবস্থায় থাবা বাবার ব্লগ এর লিংক খুজি। তাকে না চেনার কারন হলো আমি ব্লগে কেবল মাত্র মৌলিক আর সৃজনশীল ভালো প্রবন্ধ এবং গল্প কবিতা পড়ি। রাজনৈতীক পক্ষপাত মূলক বা অশ্লিল ক্যাচাল লেখায় আমি কখনোই যাইনা। আর ম্লাটি নীকধারীদের সব সময় দুরে রাখি।

তখন আমার সামহ্যোয়ারের এক ব্লগার বন্ধু এই বিখ্যাত থাবা বাবার ওরফে রাজিব সাহেবের লেখার একটি লিংক দিয়ে বলেন ওনার লেখা পড়ে তারপর প্রতিক্রিয়া জানান।

আমি থাবার লিংকে গিয়ে পাথরের মূর্তি হয়ে গেলাম। কোন সুস্থ মানুষ এই রকম নোংরা ভাষায় লিখতে পারে??!!

মাষ্টার্সে পড়ুয়া আমার স্ত্রীকে ডেকে লেখার শিরোনাম গুলো দেখালাম। ও কেদে ফেললো। প্রিয় নবী সাঃ কে নিয়ে এরকম অশ্লিল লেখা আমার হৃদয় ভেংঙ্গে দিলো।

আমি একজন সাধারণ মুসলীম। আমি আমার ধর্মকে বিশ্বাস করি। আমি আমার নবীকে শ্রদ্ধা করি। কথিত ব্লগার রাজিব আমার ধর্মকে বিশ্বাস নাও করতে পারে। তার ভীন্নমত থাকতে পারে। সে অন্য ধর্ম বা নাস্তিক হতে পারে তাতে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ বা অভিযোগ নাই। জোর করে কেউ তাকে বলে নাই তুমি ধর্ম কর্ম করো।

তারপরও সে ব্লগে যা লিখেছে তা আমার মত দূর্বল ঈমানদার মানুষকেও আহত করেছে।

তারপরও তার মৃত্যুতে আমি আহত। যারা তাকে নির্মম ভাবে কাপুরুষের মত হত্যা করেছে আমি তাদের ধিক্বার জানাই।

তার মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অনেক রাজনীতি হয়েছে। সরকারের প্রধান এবং পুলিশের প্রধান কোন রকম তদন্ত ছাড়াই বলে দিয়েছেন জামাত শীবীর রাজিবকে হত্যা করেছে।

সস্তা রাজনৈতীক সকল আচরণ ইতিমধ্যে সম্পূর্ন্ন করা হয়েছে। এমনকি তার জানাজার নামাজ নিয়েও প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি বলেছেন, কেন তাকে অজু ছাড়া জানাজা পড়ানো হলো?

১২ দিনের নোংরা রাস্তা পরিস্কার না করে অজু না করে নারী পুরুষ এবং নানান ধর্মের লোক তিন তাকবীরের মাধ্যেমে যেই নামাজ আদায় করলো তা সহি হয়নাই বলে কাদের সিদ্দিকি বলেছেন।

থাবা বাবা একজন চরম ইসলাম বিদ্বেসি মানুষ ছিল। সে মোহাম্মদ সাঃকে নিয়ে অনেক অশালীন কথা বলার পরও তাকে কেন ইসলাম ধর্মীয় রীতীতে জানাজা দিতে হল?

কেন থাবার আত্মাকে কষ্ট দিয়ে তাকে ইসলামী কায়দা কানুন মেনে কবলে দেওয়া হলো সেটা একটা প্রশ্ন বটে। পত্রিকায় জানতে পারলাম থাবা বাবার অশ্লিল লিংক গুলি খুজে খুজে নাকি ডিলিট করছে সরকার। এটা করে থাবা বাবা কে একজন সুফি ইসলামের খেদমত কারী বানানোর জন্য নাকি কাজ চলছে?!

যাইহোক পত্রিকায় জানলাম তার দুই শুশীল ব্লগার বান্ধবী কে নাকি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়েছেন।পরকিয়ার মত কিছু ঘটেছে কিনা তা নিয়েও কাজ করছে পুলিশ।

থাবা বাবা এখন একজন বিখ্যাত ব্লগার। তার নামে নানান স্থানের নাম করন করা হচ্ছে। সরকার তাকে নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস। তাদের তৎপরতা আসলেই মুগ্ধকর।।

আশা করছি অচিরের সরকারের পছন্দ মত কোন খুনিকে গ্রেফতার হতে দেখবো না হলে জজ মিয়া নাটক অথবা সাগর রুনীর মত কিছু ঘটতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৭০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File