পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এক দল আওয়ামীলীগ। ৪০ দলটি থাকলেও এই নব্যবাকশালীদের পাশে কেউ নেই। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় ক্ষমতায় যাচ্ছে তারা!!

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৫:৫৬ রাত

৩০০ আসনের মধ্য অর্ধেক আসনেই( ১৪৯ ) আওমীলীগ নামক দলটির সাথে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসতে রাজী হয়নি। প্রায় ৪০টি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে সক্রিয় রাজনীতি করলেও আওমীলীগকে বিশ্বাস করে এমন রাজনৈতিক দল খুজে পায়নি আওমীলীগ। নানা প্রলোভন এবং লোভনীয় পদ পদবী, অবিশ্বাস্য অংকের অর্থনৈতিক সুবিধা দেবার পর ও যখন কেউ রাজি হলো না তখন রনে ভংগ না দিয়ে মামলা হামলা করেছে নব্য বাকশাল খেতাব পাওয়া আওয়ামীলীগ।

ইতিমধ্য দলটি চেতনা ব্যবসা, শাহবাগ নাটক, দলীয় মিডিয়া থেরাপীসহ নানান কায়দা করেও জনগনকে আস্বস্ত করতে পারেনি। বরং ৯০ভাগ জনগণ এখন আওয়ামীলীগ নামক দলটি কে ঘৃর্না করে বলে পত্রিকার জরীপের ফল বেড়িয়েছে!

এমনকি আওমীদের সবচেয়ে বিস্বস্ত রাজনৈতিক পার্টনার স্বৈরশাসক এরশাদ কেও শেষ পযন্ত আস্বস্ত করতে পারেনি সরকার। নানান কায়দায় তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছে আওয়ামীলীগ। এমন কি আওয়ামীদের গডফাদার ইনডিয়া সরকারও বাথ্য হয়ছে। যার পরিনামে এরশাদকে গ্রেফতার করে নানান ছল চাতুরি অব্যাহত রাখছে ।

অর্ধেক আসনে আওয়ামীলীগ এর বিরুদ্ধে এখনো যারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে তারা মূলত আওমী ঘরনার বা পাতানো খেলোয়াড়। এদের জন্য কেউ ভোট ঘরে যাবে আমি অন্তত তা বিশ্বাস করিনা।

তাহলে প্রশ্ন করা যায় এই ফালতু নির্বাচন কেন দিচ্ছে সরকার?

উত্তর খুব সহজ। আওমীলীগের একটি অংশ ভাবছে তাদের প্রভু ভারত সরকারের অশুভ মদদে আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকা সম্ভব! কিন্তু প্রধান বাধা জামায়াত শিবির। যারা ইতিমধ্য আওমী নেতা কর্মীদের কাছে চরম ভিতিকর হয়ে দাড়িয়েছে। গ্রাম গঞ্জে অনেক আওমী নেতাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ধারণা জামায়াত শিবির এবং কিছু কিছু জেলায় বিএনপি কর্মীরা তাদের বাচতে দিবে না!!

এই তথ্য দলটি উদ্ধতন কর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। কর্মীদের আস্বস্ত করার জন্যই সরকার নেমেছে কিলিং মিশনে। গণহারে গুলি করা হচ্ছে। প্রতিদিনই রাস্তায় পড়ে থাকছে বিরোধী দলের কর্মীদের লাশ। পুলিশ র্রাব এখন জনবিচ্ছিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে দাড়িয়েছে।

কিন্তু এভাবে কত দিন?

ইতিহাস বলে বন্দুকের নল দিয়ে পৃথিবীর কোন স্বৈরশাসকেই নিজেদের পতন রুখতে পারেনি।পারবেনা আওয়ামীরাও। কিন্তু ততদিনে আরো রক্ত ঝরবে, দেশের ব্যবসা ব্যানিজ্য ধ্বংশ হবে। বন্ধ হয়ে যাবে কল কারখানা। দেশ পড়বে অস্তিত্ব সঙকটে। চাকুরি হারাবে মানুষ। গৃহহীন হবে অনেক পরিবার।

আওয়ামী প্রধানের হয়ত কিছুই হবে না। কেননা তার পরিবারের সবাই আমেরিকার নাগরিক। চরম সংকটে দেশকে রেখে তিনি তার প্রভুদেশ ইনডিয়া অথবা তার বিয়াইয়ের দেশ আমেরিকা চলে যেতে পারেন।

আওমী সরকারেরর নেতাদের হাতে চলে যাওয়া মিডিয়া ক্রমশ গনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মিথ্যা মনগড়া প্রগন্ডামূলক নিউজ শুনতে শুনতে দর্শক বিরক্ত। ইনডিয়ান র এর প্রথম আলোর পথ অনুসরন করছে সবাই। এই অবস্থায় ফেসবুক আর ব্লগে এর উপর ঝুকছে তরুনরা। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেই নেট এর বাইরে, যার ফলে মুখ বুজে তথ্য সন্ত্রাসদের অত্যাচার সইতে বাধ্য হচ্ছে তারা।তবে এখন মোবাইল ফোন নির্ভরযোগ্য নিউজ সোর্স হয়ে উঠছে। যার ফলে সরকারের তথ্য মুখ থুবড়ে পড়ছে।

প্রধাণ দল চারটি। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি দলেই অনুউপস্থিত । তাই যেকোন সুস্থ মানুষেই বোঝ হাসিনা সরকার যে নির্বাচন করতে যাচ্ছে সেটা একটা হাস্যকর গণ বিরোধি প্রহসন মূলক নির্বাচন। দেশ বিদেশে কোথাও এর গ্রহনযোগ্যতা থাকবে না। সুজাতা সিংহরাও হয়ত মুখ থুবড়ে পড়বে। সময়ের জন্য এখন অপেক্ষা করছে মানুষ। বাকশালীদের পতনের জন্য মানুষ চুপ করে বসে আছে।

এখন একটি সকালের অপেক্ষায় আছি আমিও। যে সকালের সূর্য নিয়ে আসবে স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্ত বাতাশ।

এম এম ওবায়দুর রহমান।

সন্ধা/ ১৪.১২.১৩

নারায়াণগঞ্জ

http://mmobidur.wordpress.com/2013/12/14/পৃথীবির-ইতিহাসে-বিরল-এক-দ/

বিষয়: বিবিধ

১৫৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File