সাহারা মখারা বিদেয় নিলেও তাদের প্রেত আত্মা এখনও পুলিশের কাধে চেপে আছে।
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২২ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৫৪:৩৯ রাত
তখন ব্যাচেলর হিসেবে গুলশান ১নং একটি ফ্লাটে আমরা কয়েক জন ভাড়া থাকতাম। বাসার মালিক খুব প্রভাবশালী লাকি আপা বলতেই সবাই চিনে।
এক দুপুরে আমাদের বন্ধু রশীদ লাকি আপার পরকিয়া প্রেমের দৃশ্য দেখে ফেললো। হয়েছে কি উনি তিন তলা মনে করে দোতলার অটোলকের দরজা খুলে ফেলেছিলো। ভিতরে লাকি আপর আবার লক করতে ভুলে গিয়ে ছিলো।
ফলাফলে একদিনের মধ্যে বাসা থেকে উচ্ছেদ!!
এর পরও ব্যাচেলর হিসেবে ঢাকায় পাঁচ বছর ছিলাম। চরম গ্লানিকর জীবন ছিলো।
সহজে কোথাও ভাড়া পেতাম না। যা পেতাম, দেখা যেত নিচতলা। স্যাতস্যাতে কক্ষ। আলো বাতাস নেই। ড্যামেজ দেয়াল। সব মিলিয়ে ভবনের সবচেয়ে বাজে রুমটাই ছিলো ব্যাচেলরদের ভাড়ার জন্য। দীর্ঘ উপদেশ। আদেশ নিদেশ।
ভাঢ়াটে হিসেবে সব সময় মাথা নিচু করে পরাধীন থাকতে হতো। এমনকি অনেক সময় বাড়ি ওয়ালার মেয়েদের ইভটিজিং শুনেও চুপ করে থাকতে হতো।
ঢাকায় বেশিরভাগ ব্যাচেলগণ আছে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এই যখন অবস্থা তখন পুলিশের উদ্ভট ঘোষণায় জাতি আসলেই বিনোদন পেয়েছে। ফেসবুকে এটা নিয়ে খুব হাস্যরস চলছে। গোপালগঞ্জের পুলিশরা যে আসলেই বুদ্ধিহিন এতে সেটাই প্রমান হয়েছে।
এ যেন মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মত অবস্থা।
ভাবছি সাহারা মখারা বিদেয় নিলেও তাদের প্রেত আত্মা এখনও পুলিশের কাধে চেপে আছে।
বিষয়: বিবিধ
১১২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন