হাসিনা খালেদার টেলিসংলাপ ফাসের পেছনে শুধু কি মোজাম্মেল বাবু নাকি রাষ্ট্র নিজেই জড়িত?

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:০৩:১০ রাত



হাসিনা - খালেদা, দুজনই বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানীত ব্যাক্তি। তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রধান ছিলেন, আছেন। নির্দলীয় আর সর্বদলীয় নিয়ে বাংলাদেশের এখন চরম রাজনৈতিক সংকট চলছে। দেশ জুড়ে খুন, বোমা হামলাসহ নানান দাঙ্গা চলছে। এমন একটি সময়ে যখন তাদের মধ্যে একটি আলোচনার সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছিল, সেখানে হঠাৎ করেই ৭১ চ্যানেল একটি অডিও টেপ প্রকাশ করলো। যেখানে হাসিনা - খালেদার ফোন আলাপ রয়েছে।

যদিও আগের দিন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ নেতা ইনু বলেছিলেন, ফোন আলাপ প্রকাশ করা হবে। কিন্তু ৭১ চ্যানেল আলাপটি গভীর রাতে প্রচারের পর আওমীলীগ বললো, এটা প্রচারের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেনা!

প্রশ্ন হলো, জানেনা বলার পরও হানিফসহ অন্যরা এটি প্রকাশের যে খুশি সেটা কেন বললো ?

আরো একটি প্রশ্ন এবার করতেই হয়, তাহলে রাষ্ট্রের একজন বিচারপ্রতির ক্রাইম ( বিচারাধীন মামলা বিষয়ে সিভিল পাবলিকের সংগে আলোচনা করা একটি অপরাধ) কথোপকোথন প্রচারের অভিযোগে কেন মাহমুদুর রহমানকে জেলে যেতে হয়ে ছিলো?

এবং এখনো তাকে জেলে রাখা হয়েছে কোন যুক্তিতে??

৭১ চ্যানেল এর মোজাম্মেল বাবুরা আওমীলীগের দলীয় লোক। তাদের দিয়ে সরকার তাদের বিভিন্ন এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করাচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

মোজাম্মেল বাবুরাই এই দেশে হলুদ সংবাদের পাহাড় তৈরী করে যাচ্ছে। সাংবাদিকতার মান কে তলানিতে নিয়ে গিয়েছেন। অসত্য তথ্য প্রচারের মাধ্যেমে জনগণ কে বিভান্ত করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। মোজ্জাম্মেল গংরা এদেশে শাহবাগ নাটকের জন্ম দিয়েছিলো। যারা বিচার নয় ফাসি চেয়ে আদালতের সম্মানকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে।

যার কারনে গভীর দুঃখের সাথে জাতি দেখছে যে

সাংবাদিকরা এখন হরতাল সমর্থকদের টার্গেট!!

সরকার কি মনে করে যে তাদের এই টেলি নাটক জনগণ বুঝতে পারেনি?

আমারতো এখন মনে হচ্ছে পুরো টেলিফোন সংলাপটি আগে থেকেই সাজানো ছিলো। খালেদার ফোনটি নষ্ট হওয়া এবং তিনি অভিযোগ করার পরও সেটা সচল না করা এবং টেলিফোন টেলিফোন নাটক এর সময়ে প্রধানমন্ত্রী বারবার একটি ভিত্তিহীন কথা বলে খালেদা জিয়াকে উত্তপ্ত করে দেওয়াটাও ছিলো একটি কুট কৌশল।

টিভি ক্যামেরা ডেকে এবং ফোনে রেকর্ডার অন করে সংলাপের আহব্বান জানানোর বিষয়টিও একই সূত্রে গাথা।

এটি প্রকাশের পর ইনু মোজাম্মেল গংরা হয়ত ভাবছেন যে খালেদার খুব বদনাম হবে। কিন্তু হিতে বিপরীদ হয়েছে।

খালেদার কর্মী এবং ভক্তদের পাশাপাশি আমজনতাও খালেদার দৃঢ়তা আর আত্ম বিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়েছে।

এবং ইনু-মোজাম্মেলদের লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে।

এতো বড় একটি ফাস করার পরও বেসরকারী বিটিভি বলে খ্যাত ৭১চ্যানেলের বিরুদ্ধে কেউ তেমন একটা কথা না বলায় আমি বিস্মিত হয়েছি।

যেই আদালত মাহমুদুর রহমানের বিচার করে যাচ্ছেন, এবং তাকে জামিন না দিয়ে জেলে পুরে রাখছেন তাদের জন্য করুনা করছি। নিশ্চয় আল্লাহ এই অবিচারকদের একদিন শাস্তি দিবেন।

আমরা লক্ষ করেছি এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বার বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাস হয়েছে। বিচারপতি দের গোপন সংলাপ ফাস হয়েছে, এমনকি আদালতের ফাসির মামলার রায় পযন্ত ফাস হয়েছে। এতদিন জনগণের ধারণা ছিলো এগুলো কোন সংর্ঘবদ্ধ দুঃবির্ত্তদের কর্ম।

কিন্তু এখন ধারণাটি থেকে মানুষ সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। কেননা রাষ্ট্রর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা থেকে সরকারী লোকের সহযোগীতা ছাড়া কিছুতেই ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামীর রায়ের কয়েকশত পৃষ্টার রায় ফাস করা সম্ভব নয়।

তেমনি সম্ভব নয়, বিচারপতির স্কাইপ আলোচনা ফাস করা।

অর্থাৎ একটি গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়েই সরকার চালাচ্ছেন আওমীলীগ।

কিন্তু এর শেষ টা দেখতে পাচ্ছি। অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে এরা।

সেটা যত দ্রুত হয় জনগণের জন্য ততই মঙ্গল।

http://mmobidur.wordpress.com/2013/10/29/হাসিনা-খালেদার-টেলিসংলাপ/#more-256

বিষয়: বিবিধ

১৮৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File