গামের্ন্টস শ্রমিকদের উসকানী দিয়ে মাঠে নামাচ্ছে কেন সাহজাহান খান আর হলুদ মিডিয়া একটু ভেবে দেখবেন কি?

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৭:২২:৩০ সন্ধ্যা



গতকাল হইতে গাজীপুর আশুালয়া, নারায়ণগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশে আবার শ্রম অসোন্তষ ছড়িয়ে পড়েছে। রানা প্লাজা ধসের পরও শ্রমিকরা ভাংঙ্গচুর চালিয়ে ছিলো। এরপর সেটা কমে যখন স্বাভাবিক পর্যায় ছিলো তখন হঠাৎ করেই পরিকল্পিত ভাবে নৌমন্ত্রী সাহজাহান খান এবং ৭১ বাংলাদেশ প্রতিদিন বাংলা নিউজ টাইপের হলুদ মিডিয়া জল ঘোলা করতে মাঠে নামে।

নৌমন্ত্রী সাহজাহান খানকে কোন দিনও গামের্ন্টস শ্রমিকদের জন্য কাজ করতে দেশবাসি দেখেনি।

তিনি মূলত পরিবহন শ্রমিকদের নেতা।

টকশোতে বিএনপির এক নেতার চোখ তুলে নেবার হুমকির পর বায়তুল মোকারোমে ধর্ম নিয়ে উল্টা পাল্টা বলায় তাকে জুতা ছুড়ে মারা হয়। জুতা বৃষ্টির পর তিনি মিডিয়া থেকে আত্ম গোপনে চলে যান।

এরপর হলুদ মিডিয়ায় শফি হুজুরের কিছু বক্তব্যর ভুল ব্যাখা করে গামের্ন্টস শ্রমিকদের উত্তেজিত করতে একটি নীল নকশা করে মাঠে নামে। তবে তা হালে পানি পায়নি। কিন্তু চক্রান্তকারীরা থেমে থাকেনি। তারা শ্রমিকদের কবতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবী পুরণের আশ্বাস দেবার মিছে কথা বলে শ্রমিক সমাবেসে তাদের আসতে বলেন। কিন্তু হলুদ মিডিয়ায় বলা হয় শফি হুজুরের তেতুলত্ব পতিরোধে নাকি এই সমাবেশ!! সরকারী দলের খরচে এবং কয়েক জায়গায় সরকারী পরিবহনে গতকাল সকাল থেকেই শ্রমিকদের সমাবেশ স্থলে আনতে শুরু করে। নানান সম্যসায় আক্রান্ত গামের্ন্টস প্রতিষ্ঠান তাদের কর্ম দিবষ নষ্ট করতে চায়নি। কেননা বছরের শুরুতেই কাজের সিডিউল দেওয়া থাকে এই অবস্থায় গতকাল চালু ফ্যাক্টরী থেকে জোর কাজ বন্ধ করে শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

অবশ্য সকাল থেকেই সারা দেশে চলে শ্রমিকদের ভাংঙ্গচুর।

অশিক্ষিত বঞ্চিত এই সব খেটে খাওয়া মানুষকে লেলিয়ে দিতে তৎপর ছিলো শ্রমিক লীগ নামক সংগঠনটি।

বাংলাদেশের গামের্ন্টস শিল্পকে ধ্বংশ করার উদ্দেশ্যে নিয়ে এরা কাজ করছে বলেই বেশির ভাগ গামের্ন্টস মালিকদের ধারণা।

কেননা সাহজাহান খান এই সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী। তিনি যদি সত্যি সত্যি শ্রমিকদের উন্নতী চান তাহলে মেঠো বক্তব্যর কি দরকার? বিশ্বের যে সকল দেশে ট্রেড ইউনিয়ন করা হয়েছে সেখানের অবস্থা কি?

যদি ট্রেড ইউনিয়ন দরকার হয় আর শ্রমিকের বেতন আট হাজার করার দরকার হয় তাহলে মন্ত্রী তার কেবিনেটে কেন বলেন নাই। গত পোনে পাচ বছর শ্রমিকদের জন্য এই সরকার কি এমন কাজ করেছে? বরং একাধিক বার তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদুতের দাম বাড়িয়ে এবং গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়ে গামের্ন্টস শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তারপরও যদি সরকার মনে করে তারা শ্রমিকদের জন্য বেতন বাড়াবে তখন একটি আইন করে দিলেইতো হতো! কেন এই নাটক?

গরু ছাগল চিনতে পারলেই এই সন্ত্রী তার দলীয় কর্মীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। এছাড়া গত পোনে পাচ বছর নানান রকম গণবিরোধী কাজ করে তিনি আলোচিত। তার হঠাৎ করে গামের্ন্টস শ্রমিক নেতা হয়ে উঠার ব্যাপরটা তাই সন্দেহ জনক।

সামনে নির্বাচন। আওমীলীগ বলছে তারা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করবে। বিএনপি তা প্রতিরোধের হুমকি দিচ্ছে এরকম একটি সময়ে সাহজাহান খানের অপতৎপরতাকে উপেক্ষা করা যায় না।

একজন পোশাক শ্রমিক হিসেবে আমি আমার কর্মস্থল নিয়ে চিন্তিত। কেননা আমার কারখানা বন্ধ হলে আমার উর্পাজন বন্ধ হয়ে যাবে।

নানান কারনে এখন চাকুরীর বাজার মন্দা তাই আমি আমার প্রিয় গামের্ন্টস শ্রমিক ভাইদের বলবো দয়া করে কোন স্বার্থপর রাজনৈতিক নেতাদের খপ্পরে পড়বেন না। ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য তারা আমাদের ব্যাবহার করতে চাচ্ছে আসুন সর্তক হই।

নিজের কর্মস্থানকে ভালোবাসি। দাবী দাওয়ার জন্য কর্মস্থল ভাংঙচুর করে নিজের চাকুরী হালকা না করে মালিকদের কাছে দাবী তুলে ধরুন।

রাজনৈতিক নেতারা বছরের পর বছর আপনাদের আবেগ আর অধিকার নিয়ে খেলছে।

এখন পযন্ত কোন সরকার আপনাদের জন্য শ্রম বান্ধব পরিবেশ সৃস্টি করেনি। এই অবস্থায় কারো পাতা ফাদে পা না দেওয়ার অনুরোধ করছি।

বিষয়: বিবিধ

২২৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File