হুমায়ূন স্যার আপনাকে ভীষণ মিস করছি
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১৯ জুলাই, ২০১৩, ১২:৫৯:৫১ দুপুর
বইয়ের সাথে সর্ম্পক ছিলো ছোট বেলা থেকেই। তবে যেদিন প্রথম হুমায়ূন আহমেদ এর বই ধরলাম তারপর থেকে আমি সত্যিকারের পাঠক হয়ে উঠে ছিলাম।
হুমায়ূন স্যার আমাকে শুধু ভালো পাঠকই তৈরী করেনি বরং এই যে র্কিবোর্ডে শব্দ হচ্ছে, আমি লিখছি এটার অন্যতম প্রেরণাদাতা তিনি।
হুমায়ূন স্যারের বই পড়তে গিয়েই আমার বুকের ভেতর প্রথম স্বপ্ন জন্মেছে। মনে হয়েছে আমি কেন লিখছি না?
আমি যখন আমার প্রথম গল্পের বইটা প্রকাশের জন্য প্রকাশককে জমা দেই, তার কয়েক দিন পরে একদিন গভীর রাতে একটা ফোন পাই। প্রূফ রিডার ইলিয়াস হাসান ভাই ফোন করে অভিভূত গলায় বলেন, ওবায়দুর ভাই আপনিতো অসাধারণ গল্প লিখেন। একেবারে হুমায়ূন আহমেদের গল্পের মতো! ভাই আপনি চালিয়ে যান আপনাকে দিয়ে হবে!!
ইলিয়াস হাসান হয়ত অনেক বাড়িয়ে বলেছে।
আমি কখনোই স্যারকে অনুকরন করতে চাইনা। সেটা সম্ভবও নয়। সেই মেধা নিয়ে পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ জন্ম নিবে সেটাও বিশ্বাস করিনা। হুমায়ূন স্যারের মত মেধাবী সাহ্যিতিক বার বার জন্ম নেয় না।
হুমায়ূন স্যার চলে যাবার পর বেশ কয়েকদিন ঘুমুতে পারিনি। তার মৃত্যু শোক আমার কাছে এখন পযন্ত সবচেয়ে বড় শোক।
ব্যাক্তি জীবনে স্যার দ্বিতীয় বিবাহ করায় অনেকেই তার সমালোনা করতো। এনিয়ে বন্ধু মহলে অনেক সময় তর্কে জড়াতাম।
একদিন খেয়াল করলাম তারাই হুমায়ূন স্যারের সমালোচনা করতো যারা স্যারের বই গুলো পড়েনি। স্যারের গল্প উপ্যনাস যারা পড়ে তারাও স্যারের মত কিছুটা পালাগে টাইপের। তারাও স্যারের গল্পের চরিত্রের মত নিজেদের ভাবতো। আমি কতবার যে হিমু হয়েছি। কতরাত যে জোছনা দেখে কাটিয়েছি!
স্যার নেই এখন আর জোছনা দেখা হয়না। মনে হয় স্যার যেন সব জোছনা নিয়ে ঘুমিয়ে আছে নূহাস পল্লীর নির্জণ কবরে!
স্যারের মৃত্যুর পর সব পুরানো বই গুলো আবার পড়েছি। বই গুলো পড়ার সময় মনে হয়েছে স্যার যেন এখন বেচে আছে আমাদের মত সাধারণ পাঠকের হৃদয়ে।
আজ একবছর পর সেই দিনটা চলে এসেছে ১৯ জুলাই। বড় নির্মম একটা দিন। আজকের আকাশটাও মেঘে ঢাকা।
এমন বাদল দিনে স্যারকে অনেক ভীষন অনুভব করছি। স্যারের রোমান্টিক গল্প গুলিতে বৃষ্টির খুব প্রভাব ছিলো।
স্যার আপনি ভালো থাকুন। পবিত্র জুমায় আপনার জন্য মসজিদে নামাজ পড়ে দোয়া করছি।
বিষয়: বিবিধ
২৭৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন