মুক্তিযোদ্ধা কোটার আড়ালে সরকারী দলের নিয়োগ বানিজ্য চলছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং আওমীযোদ্ধা দের চাকুরি দিচ্ছে সরকার।

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১০ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৩৫:২৭ বিকাল



চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র ফল বাতিলের দাবীতে শাহবাগে তরুণরা একত্রিত হয়েছে। তারা জানিয়েছে অমানবিক কোটা প্রদ্ধতী বাতিল করতে হবে। অন্যথায় তাদের আন্দোলন চলবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, এই কোটা নাগরিকদের ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এসব নিয়ে কখনোই প্রকাশ্য কিছু হয়নি। কারণ এসব নিয়ে বললে সে ছাগু হয়ে যেতে পারে। মুক্তি যুদ্ধের চেতনা নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের মনক্ষূন্য হতে পারে।

কয়েকদিন আগে এই শাহবাগে খুব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসা হয়েছে। সরকারী বিরিয়ানি খেয়ে লাফালাফি করে চেতনা বিক্রি হয়েছে। কথায় কথায় যাকে তাকে রাজাকার বলে ট্যাগ করা হয়েছে। আমি তখন তাকে একেবারেই গুরুত্ব দেইনি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে হয়ত রায় পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাতে মূলত দেশের কোন শান্তি বা উপকার হবেনা।

তরুণরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আজ একই স্থানে তারা একটি যোক্তিক আন্দোলনে নামছে। যদিও আমার পরিবারে একটা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট আছে তারপরও আমি এই আন্দোলন কে সার্পোট করি।

সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের একটি যোক্তিক কোটা দিতে পারে আপত্তি নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে নানান কায়দার কোটা বেড়ে ৫৬% হয়েছে।

যা কারো কাছেই কাম্য নয়।

আবার এই যে কোটা তারও কি সঠিক ব্যবহার হচ্ছে?

কোটার আড়ালে কর্ম কমিশনের বিরুদ্ধে ঘুষ এবং ভিআইপি তদবীর গ্রহন করার অভিযোগ রয়েছে। সংবিধান যেখানে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক কে সম অধিকার দিয়েছে সেখানে কেন কোটার এত বাড়াবাড়ি?

ভুয়া মুত্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। কোটা প্রদ্ধতি একটি যোক্তিক পর্যায় রাখতে হবে। মোট কথা সংবিধানকে সুবিধা মতন ব্যবহার না করে সকল মানুষের জন্য যেটা ভালো হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৩২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File