অতি সম্প্রতি ট্রাইবুনালের কিছু রায় দেখলে যে কেউ বুঝবে যে এটা কে লিখেছে, হুবহু একই কথা আমরা টকশোতে আগে শুনি তারপর আদালত এর রায়ে একই কথার পুনরাবৃত্তি দেখি।
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১১ জুন, ২০১৩, ০৬:৫১:৩৮ সন্ধ্যা
রাষ্ট্র আমার করের পয়সায় চলে, অথচ তার ভালো কাজের প্রসংশা করিতে পারলেও খারাপ কাজের সমালোচনা করা যাবেনা! তাহলে রাষ্ট্র আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহীর কলংঙ্ক দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে। ফেসবুক এবং ব্লগে আমরা যখন লিখি তখন নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান মনে হয়। আবেগের উত্তেজনায় অনেক বড় বড় কথা লিখে ফেলি। অনেক সময় সেসব কথা রাষ্ট্রের পছন্দ হয়না।
ইতিমধ্যে অনেক ব্লগার কে ধরে রাষ্ট্র জেলে নিয়েছে। অনেক ফেসবুক ইউজার পুলিশি হয়রানিতে পড়েছে। অথচ রাষ্ট্র ঠিকই আবুল আর সুরঞ্জিত বাবুদের মত চোর বাটপারকে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় বেতন বোনাস দিয়ে যাচ্ছে। খুনের মামলায় সাজা প্রাপ্তদের রাষ্ট্র স্বসম্মানে মাফ করে দিচ্ছে!
আহা কি দারুন!!
আদালতের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, যদি তারা ফেনসেডিল বিক্রি করে ধরা পড়ে! তারপরও না! এমনকি বিচারকদের গাড়িতে টোল চাইলেও জেল জরিমানা!
মাননীয় বিচারক যদি অসৎ পন্থায় ভিন দেশে বাড়ি ঘর কিনে তাহলেও তা নিয়ে নিউজ করা যাবেনা। স্কাইপ আলোচনা করে রায় লিখলেও তা প্রকাশ করা যাবেনা। মহান আদালত কে রাখতে হবে সব কিছুর উর্দ্ধে।
দুঃভাগ্য মাহমুদুর রহমানের তিনি মানিক নিয়ে ঘাটাঘাটি করায় জেল খাটছেন!
আদালতের বিচার নিয়ে তাদের রায় নিয়ে ইতিপূর্বে টিআইবি রায় দিয়ে ছিলো যে বিচার বিভাগ নাকি সেরা দুঃনীতিগ্রস্থ!
কথাটা কঠিন হলেও ইহার ন্যায় সত্য আর নেই। অতি সম্প্রতি ট্রাইবুনালের কিছু রায় দেখলে যে কেউ বুঝবে যে এটা কে লিখেছে, হুবহু একই কথা আমরা টকশোতে আগে শুনি তারপর আদালত এর রায়ে একই কথার পুনরাবৃত্তি দেখি।
ন্যায় বিচারের নামে নাটক চলছে মনে করলেও ভুল হবেনা।
আমি ছোট বেলা থেকে গণতন্ত্রর যেই সংজ্ঞা মুখস্ত করে পাশ করে ছিলাম সেই গণতন্ত্র বইয়ের বাইরে পাইনি। জীবনের ত্রিশটি বছর পেড়িয়েও আমি এমন একটা নির্বাচন দেখিনি যেখানে জনগণের ভোটের রায় প্রতিয়মান হয়েছে। একটি কার্যক্রর সংসদও দেখিনি।
রাষ্ট্র আমাকে এমন নিশ্চয়তা দিতে পারেনি যে আমি ভোট দিলে সত্যিই একজন ভালো শাসক পাবো। বরং চোর বাটপারদের ভোট দেবার আয়োজন করে রাষ্ট্র!
আমার মত লোকদের রাষ্ট্র কখনোই ভালো চোখে দেখবে না। কেননা আমরা রাষ্ট্রের সমালোচনা করে যাচ্ছি।
প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।
রাষ্ট্র সব সময় তার সমালোচকদের গলা টিপে ধরতে পছন্দ করে। গনতন্ত্রকে সুরক্ষিত করার কথা বলে ক্ষমতালোভি শাসকরা বার বার গনতন্ত্রকে গণধর্ষন করে আসছে।
বর্তমান সময়ে সেটা চরম পর্যায় পৌছে গিয়েছে। রাষ্ট্র তার গনতন্ত্র রক্ষা করার স্বার্থে এখন বাকশাল ফিরিয়ে এনেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভিন্নমতের সকল মিডিয়া।
এক অদ্ভুদ উটের পিঠে বসে আছে সরকার।
প্রকৃত অর্থে আজও এই দেশে গনতন্ত্র তো আসেই নি বরং স্বৈরতন্ত্র বিকাশিত হয়েছে।
সহষা এর থেকে জাতি পরিত্রান পাবে বলে মনে হয়না।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন