জাতীয় ব্লগার প্রতিনিধি সম্মেলন, ৪ মে, শনিবার, ২০১৩ যা বললেন ব্লগাররা- দ্বিতীয় পর্ব।
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১৭ মে, ২০১৩, ০৭:০৮:৩৭ সন্ধ্যা
ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও স্বাধীন-সার্বভৌম, অখণ্ড বাংলাদেশে বিশ্বাসী ব্লগারদের নিয়ে রাজধানীর তিন তারকা ‘হোটেল প্রিন্স’-এ অনুষ্ঠিত হলো ব্লগার প্রতিনিধি সম্মেলন। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেওয়া ব্লগাররা ব্লগিং ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিষয়ে নিজেদের সুচিন্তিত, বিচক্ষণ ও সৃজনশীল মতামত তুলে ধরেন। মতামতে স্বাধীন ও শালীন মত প্রকাশের ওপর জোর দেন তারা। সম্মেলনে ব্লগাররা যা বললেন আজ থাকছে তার দ্বিতীয় পর্ব...
নূর নবী (ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট): বিশ্বাস ও দেশ বাঁচানোর আন্দোলনে সাইবার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সঙ্গে রাজপথেও থাকতে হবে আমাদের, আরব বসন্তের পথিকৃৎ বিশ্বাসী ব্লগাররা যেমনটি করেছিলেন। মোট কথা সবদিকে প্রকৃত ব্লগারদের লড়াই করতে হবে। আমরা কোথাও আবদ্ধ থাকবো না, যে ব্লগে বা সাইটে বার বার ব্লক-ব্যান খাচ্ছি আমরা সেখানেও যু্ক্তির লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা সবসময় গণতান্ত্রিক মানসিকতা ধারণ করবো, দৈনিক আমার দেশ বন্ধ হলে আমরা যেমন প্রতিবাদ জানাই, একুশে টিভি বন্ধ হলেও আমাদের তেমন প্রতিবাদ জানানোর মানসিকতা থাকতে হবে।
মামুন সিদ্দিক (ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট): দেশ বাঁচানোর এ লড়াইয়ে সারা দেশের সকল ব্লগারকে একত্রিত করার জন্য সমন্বয়ক কমিটি জরুরি। এ লক্ষ্যে বিভাগী সমাবেশ করার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করে ঢাকায় চূড়ান্ত মহাসমাবেশ করে কেন্দ্রিয় সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হবে। এখান থেকে প্যানেল কমিটি দেশের যে যে ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনা করার, রাজপথে নামার যে সিদ্ধান্ত দিবেন তাই করবেন ব্লগাররা। এছাড়া, সাইবার ওয়ার্ল্ডের নব্য রাজাকারদের সঙ্গে লড়াইতো সবসময় থাকবেই।
বাহা উদ্দিন (ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট): আমরা বিশ্বাস, দেশ, মা ও মাটির জন্য লড়বো এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সাইবার যোদ্ধাদের এ লড়াইয়ে।
লোকমান বিন ইউসুফ (ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট): প্রথমত, নিজেদের মিশন-ভিশন ঠিক করে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের। আমাদের সামাজিক পাথও নির্ধারণ করে এগোতে হবে।নিজেদের আর্থিক, মানসিক পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বিশ্বাস ও দেশ বাঁচানোর তাগিদে সিবিএফ যে প্লাটফর্ম তৈরি করেছে সেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিক ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে একত্রিত করতে হবে। ঠিক একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম আমরা, জাতির এই ক্রান্তিকালে তেমন ভূমিকাই রাখতে হবে এ প্রজন্মের যোদ্ধাদের। আমাদের প্রাথমিক আন্দোলনের লক্ষ্য হবে, সোনার বাংলাদেশ ব্লগ, বর্ণমালা ব্লগ ও দৈনিক আমার দেশ খুলে দেওয়া এবং সোনার বাংলা ব্লগ সম্পাদক মোহায়মেন ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দেওয়া।
আমরা বিশ্বাস করি আজ গণহত্যাকে যেসব মিডিয়া চেপে যাচ্ছে, জায়েজ করে দিচ্ছে, এসব মিডিয়া সিবিএফের কাছে পদানত হবে। সিবিএফ এসব মিথ্যাবাদী, দালাল মিডিয়ার মুখোশ খুলে দেবে।
আবদুল মাজেদ (ব্লগার নেহায়েত): একা কোনো কাজেই সফলতা অর্জন সম্ভব নয়, তারওপর যখন মিথ্যাবাদীরা ভয়ানক খেলা শুরু করে তখনতো আরও নয়। এ জন্য একত্রিত হয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে আমাদের। সবার মতামতের ভিত্তিতে মিথ্যাবাদী ও যুক্তিহীনদের পদানত করবো আমরা।
মেজবাহ উল আলম (ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট): ভোগ-বিলাসের প্রলোভন দেখিয়ে নিষ্পাপ তরুণদের নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিচ্ছে মিথ্যাবাদীরা। এটা এখনি থামানো না গেলে বিশ্বাসী ও দেশপ্রেমিক প্রজন্মকে অনেক বেশি আফসোস করতে হবে। এ জন্য শান্তির ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে বোঝাতে হবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে। পন্থা নির্ধারণ করে শিগগির এ কাজটি শুরু করতে হবে আমাদের। এছাড়া, মিথ্যাবাদী-যুক্তিহীন কথিত ব্লগারদেরকে হারাতে সবসময় আমাদের অনলাইনে অ্যাকটিভ থাকতে হবে।
গুল্লা সানোয়ার (ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট): আমার সামনে যখন ল্যাপটপটি আসে তখন মনে হয় পুরো পৃথিবীই আমার ল্যাপটপের কাছে পরাজিত। কম্পিউটার ও ল্যাপটপের এ লড়াইয়ে দেশপ্রেমিক ও বিশ্বাসী প্রজন্ম হিসেবে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে চাই আমরা। বদ্ধমূল ধারাকে ভেঙে দিয়ে নতুন করে দেশ গঠনের জন্য আমরা ব্লগাররাই একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হতে পারি।
জাতীয় ব্লগার প্রতিনিধি সম্মেলন,৪ মে, শনিবার, ২০১৩ যা বললেন ব্লগাররা – প্রথম পর্ব
Visit Plz
বিষয়: বিবিধ
১৩১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন