রেশমা নাটক দেখে আমি মুগ্ধ হতে পারেনি, দূর্বল চিত্রনাট্য আমাকে হতাশ করেছে। হেফাজতের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার ইস্যু মুছে দেওয়া সহজ হবেনা।
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ১১ মে, ২০১৩, ০৭:৪৯:৫৭ সন্ধ্যা
গতকাল মুন্নি সাহাকে নিয়ে বেশ কিছু স্ট্রাটাস দেবার পর। রাতে আমার কাছে বেশ কিছু ইনবক্স আসে। যা পড়ে আমি খুবই হতাশ। রেশমা উদ্ভার যে টোটালি নাটক ছিলো এটা বুঝতে পেরে আমার মন ভেংঙ্গে গেছে। আমার অনেক বন্ধু লেখায় নানান যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন যে বুম হাতে মুন্নি সাহা সঠিক কাজটিই করেছে।
মুন্নির প্রশ্ন গুলিও সঠিক ছিলো।
এই নাটক যারা সাজিয়েছেন তাদের গল্পে অনেক দূবলর্তা ছিলো। অনেক ফাক ফোকর ছিলো।
আমি নিজে একজন গল্প লেখক বলেই সহজে গল্পের গাথুনি বুঝতে পেরেছি।
প্রথমেই বলি
রেশমার পোশাক পরিচ্ছদ নির্বাচনটা ভুল ছিলো। ১৭ দিন পর একটি মানুষ ঝকঝকে একটি জামা পড়ে ধ্বংশ স্তুবের ভেতর থেকে বের হলে দর্শক মাত্রই পরিচালকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করবে! এই দূবলর্তা নাটকটির মান নিয়ে প্রথমেই দর্শক কে ধাক্কা দিয়েছে।
আরো হাস্যকর হলো, রেশমা গলা বের করে প্রথমেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চাইলো কেন?
ইতিপূর্বে আরো আড়াই হাজার মানুষকে উদ্ভার করা হয়েছে, তারা কেউ প্রধানমন্ত্রী কেন কোন এমপি সাহেবকেও দেখতে চায়নি।
নাটকের এটাও একটা দূর্বলতা। কেননা ভবন ধসের পর প্রধানমন্ত্রীর সাভার যেতে সময় লেগেছিলো পাঁচ দিন। আর রেশমাকে দেখতে কয় মিনিট?
রেশমার ঝকঝকে দাত নিয়ে প্রশ্ন আসে।
রেশমা শুকনো খাবার কৈ পেলো? না খেয়ে আসলে কত দিন বেচে থাকা যায়?
চরম গোজামিল আর বাংলাফ্লিমি টাইপের গল্প।
রেশমাকে উদ্ধারের পর ঐগর্তে বেসরকারী এক কিশোর উদ্ভার কর্মী প্রবেশ করে দেখেছে যে সেখানে হাটুমুড়ে বসে থাকা যায় দাড়ানো যায়না। এমন একটি অবস্থায় থেকে কোন মানুষের পক্ষে কি হাসি মুখে কথা বলা সম্ভব?
এরকম অনেক প্রশ্নই হয়ত চলে আসবে। তবে সিএনএন এর ভাষায় বলতে হয় এই রহস্যও কোনদিন প্রকাশ হবে না।
বিষয়: বিবিধ
৩৪০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন