নিরস্ত্র মানুষের বুকে গুলি করে এতো আনন্দো পাওয়া যায় তা হয়ত আগে জানতো না পুলিশ!
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ০৮ মে, ২০১৩, ০৯:০৪:০৪ সকাল
পুলিশের বন্দুক নিয়ে খুব হাসি ঠাট্রা করতাম একসময়। আমরা বলতাম, বেচারারা সারা জীবন বন্দুক কাধে নিয়েই ঘুরবে গুলি করতে পারবে না।
পত্রিকায় কখনো পুলিশের গুলিতে ডাকাত ছাড়া মানুষ মরেছে, এমন নিউজ পড়িনি।
সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী বাবর এর যুগে পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। আধুনিক অস্ত্রের পাশাপাশি তাদের গাড়ি সহ অনেক কিছুরই পরিবর্তন আসে। পুলিশ বাহিনী মনোগ্রাম পযন্ত বদলে দেওয়া হয়।
বাবর ভুল ইংরেজি আর অতিরিক্ত পোশাক সচেতন ছিলেন, মাথায় জেল মেখে ফিটফাট থাকতেন।
তবে স্বরাষ্টমন্ত্রী হিসেবে মোটামুটি খারাপ ছিলেন না।
তার সময়ের সেই অস্ত্র এখন দারুন পারর্ফম করছে। প্রতিদিনই পুলিশের গুলিতে একাধিক মৃত্যুর খবর পড়ছি।
কখনো কখনো এমনও শুনছি একরাতেই নাকি হাজারের উপরে মানুষকে হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী!
এই মরনাস্ত্র ব্যাবহার করতে গিয়ে গণরোষে তাদের দুএকজন পুলিশও যে মারা যাচ্ছেনা, তা নয়। তারাও মরছে।
চোর পুলিশ খেলা বাদ দিয়ে দেশে এখন চলছে গোলাগুলি খেলা।
ভিন্নমতের বিরুদ্ধে অস্ত্রর এমন ব্যাবহার আগে কখনোই দেখিনি আমরা।
নিরস্ত্র মানুষের বুকে গুলি করে এতো আনন্দো পাওয়া যায় তা হয়ত আগে জানতো না পুলিশ!
সে যাইহোক দিনকাল যা পড়েছে এখন আমাদের সাহসও নেই এসব নিয়ে প্রতিবাদ করার। পাশ থেকে বউ উৎ পেতে থাকে মনিটরের দিকে। তার উপদেশ বাদ দাও লেখা লেখি। কে পড়বে এসব? পড়েই বা হবে কি?
তাইতো?
কথা সত্যি!
সারা জীবন দেখেছি বাম দলের নিউজ প্রিন্টের ছোট ছোট লিফলেট গুলিতে কত ভালো ভালো কথা লেখা!
আর সেই বাম দল এখন যখন ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে কি হয়েছে?
রাশেদ খান মেনন এর মতো লোকও নাকি স্কুলের টাকা মেরে খেয়েছেন, এমন অভিযোগ করছেন অনেক অভিভাবক!
আর ইনু এখন বাকশালের মুখপত্র। তিনি একরাতে কোন রকম কারন দর্শানো ছাড়াই বন্ধ করে দিলেন দুটি টিভি ষ্টেশন। পত্রিকা বন্ধ করতে না পেরে দৈনিক আমারদেশের প্রেসে তালা মেরেছেন।
মুখশের আড়ালে সব রাজনৈতীক দলের লক্ষই একটা তা এখন পরিস্কার।
অতএব সামনের অন্ধকার দেখছি।
বিষয়: বিবিধ
১৯৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন