হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল পরে বিভান্ত হলাম। জগাখিচুড়ি লেখা!
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২২ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:৫৭:১৫ দুপুর
দেয়াল হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ লেখা উপন্যাস টি পড়লাম। জগা খিচড়ি মার্কা লেখা। গল্পের চরিত্র গুলো কে পেছনে ফেলে লেখক মাঝে মাঝেই নিজেকে নিয়ে এসেছেন। নিজের কথা বলেছেন। মন্তব্য করেছেন। আবার হুট করে গল্প এ চলে গেছেন। পাঠক ধাক্কা খেয়েছে। গল্পটাও বার বার পথ হারিয়েছে। বইটা পড়ে আমি বিভান্ত হয়েছি।
কেন যেন মনে হয়েছে বেশির ভাগ অংশই অন্য কেউ লিখেছেন।
এই লেখা থেকে কোন রকম শেখার কিছু নেই। পাঠকের মনে হতে পারে যে তার টাকা জলে গেছে।
তবে এটা পরিস্কার হয়েছেযে বর্তমানে যেমন বিচার বিভাগ বলে কিছু নেই, শেখ মুজিবের শাসন আমলেও এমনটা ছিল। আইন আদালত সব চলতো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। কেউ তাকে সমালোচনা করতে পারতো না।
আওমীলীগ সর্মথন করলে তার জন্য কোন আদালত ছিলনা। হত্যা ধর্ষন ডাকাতি করলেও মাফ পেয়ে যেত। মুজিব কে খুশি করে কৈ মাছ সোনার নৌকা ইত্যাদি পাঠানো হতো আর মুজিব সাহেব তা সানন্দে গ্রহন করতেন। মতলব বাজদের প্রশয় দিতেন তিনি। সারা দেশ তখন যেন শেখ মুজিবের তাল্লুক হয়ে গিয়ে ছিলো!
রক্ষী বাহীনী নামের রাষ্টীয় সন্ত্রাস সরকারী ভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তাদের কাছে আইন আদালত ছিলো তুচ্ছ!
লেখক হুমায়ূন আহমেদের শহীদ পিতার নামে বরাদ্দ্য করা বাড়িটি দখল করে নিয়ে ছিলো রক্ষী বাহিনি। আর সেই বিচার দিতে লেখক কাদের সিদ্দিকির কাছে গেলে তাকে অপমান করা হয়। কাদের সিদ্দিকি মুখে এখন যাই বলুক সেও একজন রক্ষীবাহীনীর লোক ছিলো, বেয়াদপ ছিল । মুজিব হত্যার পর সিমান্তে নিরহ পুলিশ হত্যায় প্রমাণ পাওয়া যায়।
দেয়াল উপ্যনাসে কিছু অপ্রয়োজনীয় পত্রিকা কাটিং জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মুজিব সাহেবের পুত্রদের ঘটনা চেপে যাওয়া হয়েছে। আর মেজর জিয়াউর রহমান প্রসংঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি লেখক। এমনকি জিয়ার সৎ আর সুন্দর দেশ শাসনকেও তুলে ধরা হয়নি।
বরং মৃত্যুর পর রাষ্ট্র তার পরিবারকে কি সুবিধা দিয়েছে তার একটি তালিকা দেয়ালে দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে।
সর্বশেষে বলবো দেয়াল কোন কিছুই পরিস্কার করতে পারেনি। বইটি পড়ে পাঠক আনন্দ পাবেনা।
আমি দুঃখিত হুমায়ূন আহমেদের একজন সিরিয়াস ভক্ত হিসেবে দেয়াল আমাকে খুশি করেনি বরং বিরক্ত করেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন