"হ্যালো নাসু"
লিখেছেন লিখেছেন লেলিন ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:২৫:৪৯ রাত
হ্যালো নাসু। তুমি কি শুনছো।
কি শুনছো না !
ওহ আচ্ছা ! ঠিকঠাক বুঝি সংযোগ পাচ্ছে না।
যেখানে গেলে সহজে সংযোগ মেলে সেখানে দাড়াও না!
কতদিন তোমার সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি হয় না।
গত কয়েকদিন ধরে ঘুমাতে গেলেই তোমায় স্বপ্নে দেখছি,
দেখছি তুমি আমায় হাত বাড়িয়ে ডাকছ।
বিশ্বাস কর, তুমি যখন হাত বাড়িয়ে ডাকো।
আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারি না।
তোমার সাথে সেই চেনাজানা সৃতিগুলো,
দেহমনে আস্টেপিস্টে থাকা মহুত্যগুল,
আমাকে হাউ মাউ করে কাঁদায়।
এই একাকীত্ব এবং তোমার শূন্যতায়।
হ্যালো নাসু............ প্রিয়তমা!
অভিমান কর না। লক্ষ্মীটি, ভুল বঝনা।
আকাশ বদলে গিয়ে কারণে অকারণে মেঘ করতে পারে,
সময় ফুরিয়ে গেলে চাঁদ ডুবে অন্ধকার আসতে পারে।
শিউলি বকুলেরা সামান্য আঘাতে ঝড়ে যেতে পারে।
টুনটুনি, ময়নারা আহার শেষে যেতে পারে ঘরে ফিরে।
শুধু এটুকু বিশ্বাস রাখতে পার
তোমার প্রিয়তম সেই আমি আগের মতই আছি, থাকব।
সহজে বদলাতে পারি না তোমায় ছেড়ে।
নাসু... কি চুপচাপ কেন? শুনছো না ! ওহ বুঝেছি...
আমার জীবনের এই উত্থানে তোমার ভয় হচ্ছে?
তুমি ভাবছ বুঝি !
সমাজের নষ্টামি আর নোংরামিগুলো আমাকে যেন না ছোঁয়।
তুমি ভয় পেয়না প্রিয়তমা।
ইতিহাসের মাঝখানের কোন পাতা হয়ত,
নষ্টামি নোংরামিগুলো যায়গা করে নিয়েছে।
তবে তুমি জেনে রাখো,
আমিও সততা, প্রেম, ভালবাসা, বিশ্বাস দিয়ে,
ইতিহাসের প্রথম পাতা দখল করে তোমায় দিব।
তখন তুমি দেখো, ইতিহাসের প্রথম পাতায়
একসাথে শুধু তুমি আর আমি। অনেক সুখি।
হ্যালো, নাসু...
আর চুপচাপ থেকো না। এবার একটু হাস লক্ষ্মীটি!
তোমার হাসির শব্দ আমাকে অনেক দূর এগিয়ে দিতে পারে।
তোমার হাসির স্থায়িত্বর জন্যেই আমার এ প্রবাস।
তুমি এবার একটু হেসে, আমাকে আর একটু এগিয়ে দাও।
তাতে তোমার কাছে ফেরা আরও সহজ হবে।
আচ্ছা নাসু............
তুমি কোথায় দাড়িয়ে কথা বলছ।
উঠানের ঐ ডালিম গাছটায় হেলান দিয়ে বুঝি !
এবার কেমন ডালিম ধরেছে?
এখনো কি খাবার লোক না থাকায়
ডালিম পেকে, ফেটে একা একা ঝড়ে যায়?
গেলবার যখন বাড়িতে গেলাম,
তুমি নিজহাতে পেরে খাইয়েছিলে আমায়।
বড্ড বেশী স্বাদ ছিল। আচ্ছা
তোমাদের পেয়ারা গাছটাও কি আগের মতো
পেয়ারার ভারে নুইয়ে পড়ে এখন।
হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো,
সংযোগ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। তারাতারি দাড়াও,
ডালিম গাছের নিছে না হয় পেয়ারা গাছের নিছে গিয়ে।
এবার বল, তোমার কি সেই আগের মত রূপচর্চা করে,
বই পড়ে, টিভি দেখে, , কবিতা লিখেই সারাদিন কাটে?
নাসু ......
কিছু বলছ না যে।
তোমার নীরবতা দেখে আমার মনে হচ্ছে
এখন বুঝি আর এসব করে তোমার দিন কাটে না ।
দিন কাটে বুঝি শুধু আমার পথ চেয়ে।
সত্যি কথা বলতে কি। আমিও ঠিক তোমার মত
মাঝে মাঝে নিরব হয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ থমকে দাঁড়াচ্ছি।
অদম্য সাহস, সফলতার পিছে ঘোড়ার মত প্রচণ্ড বেগে ছোটাছুটি,
মাঝেমাঝে সবি মরিচিকা মনে হয়। ভাল লাগে না।
তোমার কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে হয়।
কি করব বল ? বাস্তবতা যে আমাকে ছেড়ে দেয় না ।
নাসু............
ওহ তোমাকে তো এতক্ষণ বলাই হয়নি
এ মাসের বেতন পেয়েই
তোমার জন্য এক ডজন কাঁচের চুরি কিনে রেখেছি।
সাথে লাল সবুজে মোড়ান একটি সাড়িও কিনেছি।
তবে ছুটি মিলছে না বলেই, তোমার কাছে আসা হচ্ছে না।
তুমি ভুল বোঝনা প্রিয়তমা।
আমি খুব তারাতারি তোমার কাছে ফিরবো।
এবার আমাকে ফোন রাখতে হবে। প্রচণ্ড কাজের চাপ!
তুমি ভাল থেকো, নিজের প্রতি খেয়াল রেখো।
ঠিকমতো ভাত খাইয়ো। তোমার তো আবার ভাত ছাড়ার অভ্যাস।
খেতে ইচ্ছে না হলেও একটু জোর করে খাইয়ো।
আর হা নাসু............
আমার জন্য মন খারাপ করে থেকো না। অভিমানে আবার ভুলিয়ো না। ভাল থেকো, সুস্থ থেকো।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন