প্রচন্ড তৃষ্ণায় নিজের প্রস্রাব খেয়ে ২ দিন কাটিয়েছি' বললেন বেঁচে আসা এক নারী
লিখেছেন লিখেছেন ফেরারী মন ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:১১:০১ রাত
সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ যেন এক কঠিন জাহান্নাম। প্রাণে ফিরে এসে এমনটাই বলছেন আটকা পড়া নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা। এই তিনটা দিন যেন তাদের কাছে কয়েকটা বছরের সমান। আলো নেই, বাতাস নেই, হাত পা নাড়াচাড়া করার মত একটু খোলা জায়গা নেই আবার সেই মুহূর্তে শরীরের উপর এসে পড়ছে কংক্রিটের ধুলা ময়লা আবর্জনা। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দেয়ালে চাপা পড়ে শত শত লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব কিছু সহ্য করে থাকাটা কত কষ্টের কত যাতনার তা কেবল এই ভুক্তভোগীরাই আঁচ করতে পেরেছে। ঠিক তেমনি এক ভুক্তভোগী নারী আজ দুপুরে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে বর্ণনা করছিলেন লোমহর্ষক সেই কাহিনীর। বেসরকারী টিভি এনটিভিকে দেওয়া তার সেই বর্ণনাটি শুনলে কান্নার ঢেউ যেন আছড়ে পড়ে বুকের পিঞ্জরে।
"পানি বেগরে আত্মা ফাট্টা যায়, প্রস্রাব খাইছি, খায়া খায়া দুইদিন কাটাইছি" ।
এই ছিল এক নারীর আবেগ মাখা কণ্ঠের বর্ণনা। এরকম আরো বহু নারীর জীবনে ঘটেছে এরকম ভয়াবহ ঘটনা। বিশাল আকৃতির ভবনটির ৫টি তলার সম্পূর্ণ এসে পড়ে তিন তলার উপর। ফলে উপরের সবগুলো তলার মানুষ আটকা পড়ে ভবনের মধ্যে। ভবনের আশেপাশের অংশে কেটে বা ভেঙে কিছু মানুষকে খাবার, পানি, জুস, অক্সিজেন পৌঁছানো গেলেও ভিতরে পৌঁছানো ছিল অতি দুঃসাধ্য। আর এরকম অবস্থায় যারা পড়েছেন তাদের যে কি করুণ পরিণতি স্বীকার করতে হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
বেঁচে যাওয়া লোমহর্ষক সেই মেয়েগুলোর ভিডিও দেখুন
বিষয়: বিবিধ
২১৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন